মঙ্গলবার সকাল পৌনে ৯টার দিকে চট্টগ্রাম মহানগরীর পতেঙ্গা থানার কর্ণফুলী নদীতে ১২ নম্বর ঘাট এলাকায় ইঞ্জিনচালিত যাত্রীবাহী নৌকা ডুবে যায়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে নৌকা ডুবির ঘটনায় ৪ জনের লাশ উদ্ধার
দুর্ঘটনায় মারা যাওয়া সৈকত বড়ুয়া (২৮) কর্ণফুলীর দক্ষিণ শাহ মিরপুর এলাকার প্রশান্ত বড়ুয়ার ছেলে। তিনি নগরীর কর্মস্থলে আসার জন্য প্রতিদিনের মতো নৌকায় উঠেছিলেন।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই আলাউদ্দিন তালুকদার জানান, সকালে নৌকাডুবির পর সৈকতকে উদ্ধার করে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: নাটোরে পদ্মা নদীতে নৌকা ডুবি: নিখোঁজ ২ ভাইয়ের সন্ধান মেলেনি
আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল রুমের লিডার শাফাতে হোসেন বলেন, ‘আমরা ৯৯৯ নম্বরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ডুবুরি দল পাঠাই। তারা উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করেছে। একজন যাত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।’
এদিকে, সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগরের কুড়িকাউনিয়ায় বেড়িবাঁধ মেরামতের কাজে যাওয়ার সময় বাঁধ ভেঙে সৃষ্ট খালে ভাটার টানে ট্রলার ডুবে তিন শ্রমিক নিখোঁজ হয়েছেন।
আরও পড়ুন: যমুনায় নৌকা ডুবিতে আরও ৪ লাশ উদ্ধার
সকাল ৬টার দিকে দুর্ঘটনার সময় ট্রলারে থাকা ১২ শ্রমিকের মধ্যে নয়জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
নিখোঁজ শ্রমিকরা হলেন- বাবুর আলী, শফিকুল, আজিজ। তারা আশাশুনির শ্রীউলা এলাকার বাসিন্দা।
স্থানীয় বাসিন্দা আলফাজ হোসেন জানান, বাঁধের কাজে যাওয়ার জন্য খাল পার হওয়ার সময় স্রোতের টানে ট্রলারটি ডুবে যায়। এখনও তিনজন নিখোঁজ রয়েছেন। ভাটার সময় হওয়ায় তারা মূল নদীর দিকে ভেসে গেছেন।
আরও পড়ুন: তিতাস নদীতে ৪০০ বস্তা সরকারি চালসহ নৌকা ডুবি
ট্রলারচালক নূর ইসলাম বলেন, ‘১২ শ্রমিক নিয়ে খাল পার হওয়ার সময় পানির টানে পড়ে ট্রলারটি ডুবে যায়। দুজনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এখনও তিনজন নিখোঁজ আছেন। ট্রলারটি নদীতে পাতা জালে আটকা পড়ায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।’
আশাশুনি উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অসীম বরণ চক্রবর্তী বলেন, নিখোঁজ শ্রমিকদের উদ্ধারে তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
আরও পড়ুন: পদ্মায় নৌকা ডুবি: নৌকার মালিকসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা
প্রসঙ্গত, ঘূর্ণিঝড় আম্পানে কপোতাক্ষ নদের বেড়িবাঁধ ভেঙে কুড়িকাউনিয়ায় বিশালাকৃতির খাল তৈরি হয়েছে।