চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল থেকে ৫ দিন বয়সী এক নবজাতক চুরির অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) হাসপাতালের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে নিওনেটাল ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (এনআইসিইউ) এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নগরীর বেসরকারি রয়েল হাসপাতালে জন্ম নেওয়া শিশুটি চমেকের এনআইসিইউ’র ৩১ নম্বর বেডে চিকিৎসাধীন ছিল। তার মায়ের নাম আসমা বেগম ও বাবার নাম আবু মো. নোমান। তারা চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার আধুনগর সিকদার পাড়া এলাকার বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: চমেকে দুই পরিচ্ছন্নতাকর্মীর মারামারি, ১ জনের মৃত্যু
নবজাতকের মা আসমা বেগম বলেন, ‘আমার বাচ্চাটি রয়েল হাসপাতালে ডেলিভারি হয়েছিল। আমরা চমেক হাসপাতালে এসেছি গত পরশু। হাসপাতালের নিয়ম অনুযায়ী সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত শিশুদের কাছে কাউকে যেতে দেওয়া হয় না। সকালে আমার মা বাচ্চার দেখাশোনা করেন এবং এরপর নাস্তা করতে যান।’
তিনি আরও বলেন, ‘দুপুর ২টার পর ফিরে এসে আমার মা আমার মেয়েকে আর খুঁজে পাননি। তখন তিনি কর্তব্যরত ডাক্তার ও নার্সদের কাছে আমার মেয়ের সম্পর্কে জানতে চান। খোঁজাখুঁজি করার পরে আমার মেয়েকে না পেয়ে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়।’
বাবা আবু নোমান অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার বাচ্চা চুরি হয়ে গেছে। ডাক্তাররা সিন্ডিকেট করে বিক্রি করে দিয়েছে।’
আরও পড়ুন: চমেক হাসপাতাল থেকে ৫ ‘দালাল’ গ্রেপ্তার
চমেক হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান বলেন, ‘আমরা তাদের অভিযোগ অনুযায়ী সকাল ৭টা থেকে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত সিসিটিভি ফুটেজ চেক করেছি। এই সময়ে বাচ্চা বের হওয়ার মতো কিছু দেখা যায়নি। তার পরেও আমরা বড় স্ক্রিনে আবার দেখতেছি। এর পরের ফুটেজও দেখা হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা কিছুটা কনফিউশনে আছি। এর আগেও একবার চমেক থেকে একটি বাচ্চা চুরির অভিযোগ পেয়েছি, পরে ওই বাচ্চাকে শ্বশুর বাড়ি থেকে পাওয়া যায়। এনআইসিইউ একটি নিরাপদ ইউনিট এবং বাইরের কাউকে এখানে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না। বিকাল ৫টার দিকে আমরা বিষয়টি জানতে পারি এবং তদন্ত শুরু করি।’
পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সন্তোষ কুমার চাকমা বলেন, ‘বিষয়টি তদন্তে আমি চমেক হাসপাতালের এনআইসিইউতে যাই, সেখানের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’