বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শারমিন আক্তার নামে এক কিশোরীর মৃত্যু হয়। তার বাড়ি ফরিদগঞ্জের পশ্চিম লাড়ুয়া গ্রামে। এর আগে বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে একই ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আনোয়ারা বেগম নামে এক বৃদ্ধা মারা যান। তার বাড়ি ফরিদগঞ্জ উপজেলার নয়াহাটে।
হাসপাতালের সুপার ডা. মো. হাবিবুল করিম ও জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো সাখাওয়াতউল্লাহ এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. সুজাউদ্দৌলা রুবেল জানান, কিশোরী মেয়েটি জ্বর, শ্বাসকষ্ট ও ঠান্ডায় ভুগছিল। বুধবার রাতে সে এখানে ভর্তি হয়ে আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন ছিল। আজ দুপুর সাড়ে ১২টায় সে মারা যায়। করোনাভাইরাস আক্রান্ত সন্দেহে তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
অপরদিকে জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে গত মঙ্গলবার আনোয়ারা বেগম নামে ৭৫ বছর বয়সী এক নারী এ হাসপাতালে আসলে সন্দেহভাজন করোনা রোগী হিসেবে তাকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। বুধবার তার করোনা টেস্টের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এরপর বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে তিনি আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
ডা. রুবেল আরও জানান, ওই বৃদ্ধার নমুনা আগেই নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল, তাই নতুন করে আর নমুনা সংগ্রহের প্রয়োজন নেই। আগে পাঠানো নমুনার রিপোর্ট আসলে নিশ্চিত হওয়া যাবে তিনি করোনায় আক্রান্ত ছিলেন কি না।
করোনার সন্দেহভাজন রোগী হিসেবে তাদেরকে বিশেষ ব্যবস্থায় দাফন করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
ডা. রুবেল আরও জানান, বর্তমানে হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে তিনজন চিকিৎসাধীন রয়েছে। তারা সবাই পুরুষ।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বুধবার পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২০ জনে। এছাড়া এ পর্যন্ত মোট ৩ হাজার ৭৭২ জন করোনা আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছে সরকার।