চাঁপাইনবাবগঞ্জে সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গা ও আখেরআলী এলাকায় পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে একাধিক সিন্ডিকেট। সরকারি নিয়মের তোয়াক্কা না করে ড্রেজার দিয়ে প্রকাশ্যে চলছে বালু উত্তোলন।
বালু উত্তোলনের ফলে নদী ভাঙনের আশঙ্কার পাশাপাশি বালুবোঝাই ভারি ট্রাক্টর চলাচলের কারণে গ্রামীণ রাস্তাগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করলেও বালুদস্যুদের দৌরাত্ম থামছে না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
আরও পড়ুন: পিয়াইন নদীতে অবৈধ বালু উত্তোলন, অর্ধ শতাধিক বসত নদীগর্ভে বিলীন
স্থানীয়দের জানায়, ২০১০ সালে বালু উত্তোলন নীতিমালায় যন্ত্রচালিত মেশিন দিয়ে ড্রেজিং পদ্ধতিতে নদীর তলদেশ থেকে বালু উত্তোলন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়াও মূল্যবান স্থাপনার এক কিলোমিটারের মধ্যে বালু উত্তোলন করা বেআইনি। অথচ সরকারি নিয়মনীতি উপেক্ষা করে সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গা ও বাখেরআলী এলাকায় পদ্মা নদীতে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এভাবে বালু উত্তোলনের ফলে নদী ভাঙনের পাশাপশি নদীর গতিপথ বদলে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। হুমকির মুখে পড়বে পদ্মা নদীর তীররক্ষা বাঁধ ও নদী তীরবর্তী স্থাপনাগুলো।
স্থানীয়রা জানান, ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন অব্যাহত থাকলে বর্ষা মৌসুমে নদী ভাঙনে তাদের বসতভিটা ও ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে এছাড়াও পদ্মার ভাঙন থেকে রক্ষার জন্য সরকারের চরবাগডাঙ্গার ও শাজাহানপুর এলাকা রক্ষা প্রকল্প বাস্তবায়ন হুমকির মুখে পড়তে পারে। আর বালুবোঝাই ভারি ট্রাক্টর চলাচলের কারণে বেড়ি বাঁধ সড়কসহ গ্রামীণ রাস্তাগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এতে এলাকার মানুষকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
আরও পড়ুন: তিস্তা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তুলছেন ইউপি চেয়ারম্যান!
স্থানীয়দের অভিযোগ, বালু বাণিজ্যকে ঘিরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক দলের কিছু নেতার ছত্রছায়ায় গড়ে উঠেছে একাধিক সিন্ডিকেট। তারা সবকিছু ম্যানেজ করে চালিয়ে যাচ্ছে তাদের কাজ।
আরও পড়ুন:নগরকান্দায় বালুভর্তি ট্রাকের ভারে ভেঙে পড়ল বেইলি ব্রিজ
স্থানীয়রা জানান, অবৈধভাবে এই বালু উত্তোলন বন্ধে প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে, তারপরও বন্ধ হচ্ছে না বালু উত্তোলন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল ইসলাম সরকার জানান, পদ্মা থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ তিনি পেয়েছেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।