চুয়াডাঙ্গায় বৃহস্পতিবার রাতে কালবৈশাখী ঝড়ে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। এসময় আরও সাতজন আহত হয়েছেন।
নিহত মোমেনা খাতুন (৪৭) দামুড়হুদা উপজেলার কুরুলগাছি গ্রামের আমিনুল ইসলামের স্ত্রী।
আহতরা হলেন- নিহত মোমেনা খাতুনের স্বামী আমিনুল ইসলাম (৪৮), একই উপজেলার হাউলি ইউনিয়নের রুদ্রনগর গ্রামের সাইদুল ইসলাম (৪০), ইউসুফ আলী (৩৮),আবু বক্কর (৪০), আক্কাস (৩৩),নাঈম (১৫) এবং সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের সড়াবাড়িয়া গ্রামের মওলা কবীরের স্ত্রী ফুলসিরাতুল খাতুন (৪২)।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক হাসনাত পারভেজ শুভ জানান, ঘাড়ে গুরুতর চোট নিয়ে আহতদের একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক এবং অন্যদের প্রাথমিক ওষুধ দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে কালবৈশাখী ঝড় ও বজ্রপাতে ৫ জনের মৃত্যু
দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএইচএম লুৎফুল কবির জানান,ঘটনার সময় নিহত মোমেনা ও তার স্বামী বাড়ির বারান্দায় বসে ছিলো। এসময় ঘরের পাশের একটি গাছের ডাল ভেঙ্গে টিনের চালে পড়লে ঘটনাস্থলেই আমেনার মৃত্যু হয় এবং আমিনুল আহত হয়।
এদিকে ঝড়ের সময় রুদ্রনগর গ্রামের স্কুল পাড়া এলাকায় কয়েকজন দোকানে আশ্রয় নিয়েছিল। এসময় দোকানের দেয়াল ধসে পড়ে কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানান ওসি।
ওসি জানান, ঝড়ের সময় বাড়ির ছাদে কাজ করার সময় গাছের ডাল মাথায় পড়ে ফুলসিরাতুল খাতুন আহত হন।
আবহাওয়া অধিদপ্তর চুয়াডাঙ্গার পর্যবেক্ষণ কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সামাদুল হক বলেন, সন্ধার পর প্রায় আধাঘণ্টা বৃষ্টি সঙ্গে ঝড়ো হাওয়া বয়ে গেছে। এসময় বাতাসের বেগ ছিল ৬৪ কিলিমিটার এবং ১০ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৬ বিভাগে বৃষ্টির পূর্বাভাস