হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৬৮টি স্বর্ণের বার জব্দ করেছে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)। এ সময় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একজন এয়ারক্রাফট মেকানিককে আটক করা হয়েছে।
রবিবার (২০ আগস্ট) রাত ১০টার দিকে বিমানবন্দরের হ্যাঙ্গারের সামনে থেকে তাকে আটক করা হয়।
আটক শফিকুল ইসলাম (৩৩) ২০১৩ সালে ক্যাজুয়াল স্টাফ হিসেবে বিমানে যোগ দেন এবং ২০১৭ সালে স্থায়ী হন। তিনি খুলনা জেলার দৌলতপুর থানার অধিবাসী।
আরও পড়ুন: রংপুরে ১৫টি স্বর্ণের বার জব্দ, আটক ১
এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ৬৮টি স্বর্ণের বারসহ বিমানের এয়ারক্রাফট মেকানিককে আটক করা হয়েছে। এ সময় তার কোমরে লুকানো অবস্থায় ৬৮টি স্বর্ণের বার পাওয়া যায় যার। জব্দ হওয়া স্বর্ণের বারের ওজন ৭ কেজি ৮৮৮ গ্রাম।
পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও জানান, রবিবার নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বিমানবন্দরের এপ্রোন সাইডে নজরদারি করছিল এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সাদা পোশাকে গোয়েন্দা দল।
সন্ধ্যা ৭টায় বাংলাদেশ বিমানের কুয়ালালামপুর থেকে ছেড়ে আসা একটি ফ্লাইট ঢাকায় অবতরণ করে। সকল কার্যক্রম শেষে বিমানটি রাতে ৯টা ৩০ মিনিটে হ্যাঙ্গারে নিয়ে যাওয়া হয় এবং এর সামনে পার্ক করে রাখা হয়।
বিমানের টেকনিশিয়ান, ক্লিনার এবং অন্যান্য স্টাফরা তাদের কাজ শেষ করে একে একে বিমান ত্যাগ করলেও বিমানটির দিকে নজর রাখছিল এপিবিএন।
বিমানের সকল কার্যক্রম শেষ হওয়ার পর রাত ১০ টায় যখন বিমানে আর কেউ ছিল না তখন খুবই দ্রুততার সঙ্গে বিমানের এয়ারক্রাফট মেকানিক অভিযুক্ত শফিকুল ইসলামকে বোয়িং ৭৭৭ মডেলের এই উড়োজাহাজে উঠতে দেখা যায়।
তিনি আরও জানান, তার চলাচল ও গতিবিধি দেখে সন্দেহ হয় এয়ারপোর্ট এপিবিএনের গোয়েন্দা দলের। কিছুক্ষণের মধ্যেই যখন সে নেমে আসে এবং দ্রুততার সঙ্গে স্থান ত্যাগের চেষ্টা করে তখন তাকে আটক করা হয়। আটকের পর তাকে হ্যাঙ্গারের সামনেই বিভিন্ন এজেন্সির উপস্থিতিতে তল্লাশি করা হয়।
এ সময় তার কাছে উল্লেখিত ৬৮টি স্বর্ণের বার পাওয়া যায়। এ সকল স্বর্ণের বারের ব্যাপারে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে শফিকুল জানান, তিনি বিমানের ডগ বক্স থেকে এই স্বর্ণের বার সংগ্রহ করেন। কিন্তু এই স্বর্ণের গন্তব্য সম্পর্কে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি সুস্পষ্ট কোনো তথ্য না জানিয়ে বিভিন্ন উদ্দেশ্যহীন কথাবার্তা বলতে থাকেন।
উদ্ধারকৃত স্বর্ণের বাজারমূল্য ৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা। তার বিরুদ্ধে নিয়মিত আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।