বৃহস্পতিবার পাবনা পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
প্রসঙ্গত, পাবনা সদর উপজেলার দাপুনিয়া ইউনিয়নে স্বামী ও সন্তান নিয়ে বসবাস করা এক গৃহবধূকে গত ২৯ আগস্ট প্রতিবেশী রাসেল আহমেদ অপহরণ করে নিয়ে সহযোগীসহ ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
ভুক্তভোগী গৃহবধূ জানান, অপহরণের দুদিন পর তাকে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অফিসে নিয়ে তিনদিন আটকে রেখে আরও ৪-৫ জন তাকে ধর্ষণ করে। পরে তিনি বাড়ি ফিরে স্বজনদের বিষয়টি জানালে গত বৃহস্পতিবার তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পরে এ বিষয়ে গৃহবধূ সদর থানায় লিখিত অভিযোগ (মামলা) করলে পুলিশ অভিযুক্ত রাসেলকে আটক করে শুক্রবার থানায় গৃহবধূর আগের স্বামীকে তালাক দিয়ে রাসেলের সঙ্গে বিয়ে দেয়। আবার অভিযুক্ত ধর্ষক নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলছেন, পুলিশ রিমান্ডের ভয় দেখিয়ে তাদের বিয়ে দিয়েছে।
এদিকে মামলা না নিয়ে গৃহবধূকে জোর করে বিয়ে দেয়ার অভিযোগ ওঠার পর গত সোমবার ওসি ওবাইদুল হকের কাছে ব্যাখ্যা চায় এবং মামলা নেয়ার নির্দেশ দেয় কর্তৃপক্ষ।
এ প্রেক্ষিতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাসকে প্রধান করে গঠন করা হয় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি।