দিনাজপুর: বীরগঞ্জ উপজেলায় কাভার্ড ভ্যান ও পাওয়ার টিলারের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুজন এবং পার্বতীপুর উপজেলায় ট্রাক্টরের চাপায় একজন নিহত হয়েছেন।
বীরগঞ্জের ভোগনগর ইউনিয়নের পাচপীর এলাকায় দিনাজপুর-পঞ্চগড় মহাসড়কে মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে এবং পার্বতীপুরের হলদিবাড়ী ডাঙ্গাপাড়ায় রাত সাড়ে ৮টার দিকে এসব দুর্ঘটনা ঘটে।
বীরগঞ্জে নিহত দুজন হলেন ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বাসিন্দা সুদেল ইসলাম (২২) ও নুর আলম (১৮)। তারা পাওয়ার টিলারের চালক ও সহকারী ছিলেন।
অপরদিকে, পার্বতীপুরে নিহত হয়েছে উপজেলার পলাশবাড়ী ইউনিয়নের নওদাপাড়া গ্রামের উজ্জ্বল সরকারের ছেলে ইব্রাহিম হোসেন (১১)। সে নওদাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
আরও পড়ুন: জানুয়ারিতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪৮৪: আরএসএফ
চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় পুলিশের এএসআই নিহত
বন্ধুর জন্য মোটরসাইকেল কিনে ফেরার পথে দুর্ঘটনায় পুলিশ সদস্য নিহত
বীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মতিন প্রধান জানান, রাতে একটি কাভার্ড ভ্যান পঞ্চগড়ের দিকে যাচ্ছিল। সেই সাথে ঠাকুরগাঁও থেকে একটি পাওয়ার টিলার খড়ি নিয়ে বীরগঞ্জে আসছিল। পথে গাড়ি দুটির মুখোমুখি সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও বীরগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে।
দুর্ঘটনা পর কাভার্ড ভ্যানের চালক ও সহকারী পালিয়ে যান। দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ি দুটি থানা হেফাজতে রয়েছে।
এদিকে, পার্বতীপুর মডেল থানার ওসি মোকলেসুর রহমান জানান, রাতে শিশু ইব্রাহিম বাড়ি থেকে বাইসাইকেলে করে হলদিবাড়ী বাজারে আসছিল। পথে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি বালুভর্তি ট্রাক্টর তাকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরে স্থানীয় লোকজন ট্রাক্টরটি আটক করে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের জিম্মায় দেয়। তবে ট্রাক্টরের চালক ও সহকারী পালিয়ে যায়।
ঝিনাইদহ: হরিণাকুন্ডুতে বাসের ধাক্কায় রাহুল হোসেন রাতুল (২২) নামে রেডেক্স কুরিয়ার সার্ভিসের এক কর্মী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন প্রান্ত নামে আরেকজন।
বুধবার সকালে উপজেলার কাপাশহাটিয়া বটতলা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত রাতুল উপজেলার রতিডাঙ্গা গ্রামের মন্টু মিয়ার ছেলে। আহত প্রান্ত ভবানীপুর গ্রামের জয়দেব কুমারের ছেলে।
আরও পড়ুন: তিন জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় ছাত্রদলের সাবেক নেতাসহ নিহত ৪
২০২০ সালে কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় নিহত ৭২৯ শ্রমিক: বিলস
২০২০ সালে সিলেট বিভাগে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২৫০
স্থানীয়রা জানান, সকালে দুজন মোটরসাইকেলে করে হরিণাকুন্ডু থেকে সদরে যাচ্ছিলেন। পথে পেছন থেকে আসা একটি যাত্রীবাহী বাস মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দিলে রাতুল ও প্রান্ত গুরুতর আহত হন।
তাদের পরে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক রাতুলকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত প্রান্তকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হরিণাকুন্ডু থানার ওসি আব্দুর রহিম মোল্লা জানান, বাসটি আটক করা গেলেও চালক পলাতক রয়েছেন।