বুধবার সকাল থেকে অভ্যন্তরীণ পথের বাস চলাচল বন্ধ থাকলেও দুপুর ২টার পর থেকে দূরপাল্লার সব বাস চলাচলও বন্ধ করে দেন মালিকরা।
মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম জানান, চাঁদাবাজি ও সড়ক নিয়ন্ত্রণ নিয়ে শ্রমিকদের সাথে তাদের দ্বন্দ্ব দীর্ঘ দিনের। ‘শ্রমিকরা নওগাঁ, পাবনা ও কিশোরগঞ্জ রুট দখলের চেষ্টা করলে দ্বন্দ্ব চরমে ওঠে। বিষয়গুলো নিরসন না হওয়া পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লাহসহ সব রুটে বাস চলাচল বন্ধ থাকবে।’
এদিকে, চাঁদাবাজি ও রুট দখলের অভিযোগ অস্বীকার করে নওগাঁ জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. মতিউজ্জামান মতি বলেন, ‘পাবনা ও কিশোরগঞ্জ রুটে নওগাঁর কোনো বাস চলাচল করে না। এতে শ্রমিকরা বঞ্চিত হয়ে আসছেন। তাই নিজস্ব উদ্যোগে দুটি বাস চলাচলের উদ্যোগ নেয়া হয়। এতে মালিক পক্ষের বাধা দেয়াকে কেন্দ্র করে উদ্ভূত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের শ্রমিকরা গাড়ি চালাতে প্রস্তুত আছে। মালিক সমিতির এ হঠকারী সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানাই এবং অবিলম্বে নওগাঁর অভ্যন্তরীণসহ দূরপাল্লার সব রুটে বাস চলাচল শুরু করার দাবি জানাচ্ছি।’
পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই এভাবে সব রুটে বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়ায় চরম বিড়ম্বনায় পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা।