নারায়ণগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সংর্ষের ঘটনায় বিএনপির পাঁচ নেতা-কর্মী আটক করেছে পুলিশ।

এ সময় বিএনপি নেতা-কর্মীদের ইটের আঘাতে আহত হয়েছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা ও মহারগর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহেদসহ ২০ জন।

শনিবার (২৯ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টায় সিদ্ধিরগঞ্জের হিরাঝিল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ গুলি ছুড়েছে।

আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে রেস্টুরেন্টে ঢুকে প্রকাশ্যে গুলি, গুলিবিদ্ধ ২

জানা যায়, শনিবার সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল মোড় থেকে তাদের আটক করা হয়। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে নেতা-কর্মীরা শিমরাইলে জড়ো হতে থাকে। পুলিশ তাদের সরে যেতে বললেও তারা সরে যায়নি। পুলিশ পরে লাঠিচার্জ করলে সংঘর্ষ বাধে।

আটকরা হলেন- মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন খান, সদর থানা বিএনপির সভাপতি আনোয়ার প্রধান, মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাগর প্রধান। বাকি দুইজনের নাম পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা সম্ভব হয়নি।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা। তিনি নিজেও আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুর রহমান সাগর জানান, তাদের কয়েকজন কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছে। এ ছাড়াও সিদ্ধিরগঞ্জের বাড়িবাড়ি গিয়ে বিএনপি নেতা-কর্মীদের খুঁজে যাকে বিএনপি মনে হচ্ছে তাকেই কোপাচ্ছে, পেটাচ্ছে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা।

আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে মাদক ব্যবসা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ১০, আটক ১৪

এর মধ্যে বাবু নামে মোবাইলের এক দোকানদারকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়েছে। তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

আহত ব্যবসায়ী বাবু জানান, আমি বাসার নিচে পরিষ্কার করছিলাম হঠাৎ দেখলাম একটি মিছিল এল “বিএনপি ধর স্লোগানে”। এর মাঝেই আমার বাড়িতে ঢুকে আমাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।

এর আগে ৭ নম্বর ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের নেতা তানজীম কবির সবুজের নেতৃত্বে একটি মিছিল হাতে লাঠি, দা হাতে মহড়া দেয়। তাদের মিছিল থেকেই এ হামলা হতে দেখা যায়।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা জানান, আমরা জেনেছি, অবশ্যই এ ঘটনায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে রাতভর মাদক ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষ, মাদক ও দেশীয় অস্ত্রসহ আটক ১৩