ঝড়ের কবলে পড়ে ভোলার লালমোহন উপজেলার ৬০ জন জেলেসহ মাছ ধরার চারটি ট্রলারডুবির ঘটনায় আরও ১৭ জেলেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার বিকালে উদ্ধার হওয়া ওই জেলেদের চালনাবয়া এলাকা থেকে অন্য একটি ট্রলার ‘এফবি সাগরকন্যা’ মহিপুরে নিয়ে আসে। তবে এখনও ৩০ জেলে নিখোঁজ রয়েছেন।
জানা যায়, উদ্ধার হওয়া এই ১৭ জেলেই কক্সবাজারের ‘এফবি আমজাদ’ নামক ট্রলারের। বঙ্গোপসাগরের চালনার বয়া এলাকা থেকে ঢেউয়ের তোড়ে তাদের ট্রলারের তলা ফেটে তারা ডুবে যায়।
এর আগে শুক্রবার রাতে বঙ্গোপসাগরে কক্সবাজার ফিশিং গ্রাউন্ড পয়েন্টে ৬০ জন জেলেসহ চারটি মাছ ধরার ট্রলার ডুবে যায়। এসময় ১৩ জেলেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগর উত্তাল: নিরাপদ আশ্রয়ে ফিরছেন জেলেরা
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, লালমোহন বাতির খাল এলাকার হারুন অর রশিদ ফারুকে এফভি লামিয়া, লর্ডহার্ডিঞ্জ বুড়িরধোন এলাকার নূরুউদ্দিন মাঝির ট্রলার ও গাইট্টা এলাকার নাজিম উদ্দিন মাঝির ট্রলারসহ আরও একটি ট্রলার ঝড়ের কবলে পড়ে ডুবে যায়।
লালমোহনে উপজেলা মেরিন ফিশারিজ কর্মকর্তা তানভির আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, ডুবে যাওয়া ট্রলারে ৬০জন মাঝি-মাল্লা ছিলেন। এদের মধ্যে ১৩ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। পরে খবর নিয়ে উদ্ধার হওয়া জেলেদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া নিখোঁজ জেলেদের সন্ধান চলছে।
ডুবে যাওয়া বাতির খাল এলাকার এফভি লামিয়া নামের একটি ট্রলারের মালিক হারুন অর রশিদ ফারুক জানান, গত ১৭ আগস্ট দুপুরে বাতিরখাল ঘাট থেকে ১৩ জন মাঝি-মাল্লা নিয়ে গভীর সমুদ্রে যায় তার ট্রলার। শুক্রবার রাত ১০ টার দিকে বোটটি হঠাৎ গভীর সাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে ডুবে যায়। জেলেদের সন্ধান না পেলেও শনিবার সকালে সুন্দরবন এলাকা থেকে ফোনে জানতে পারেন, অন্য দুটি বোটে আট জন জেলে উদ্ধার হয়েছে। তারা সুন্দরবন এলাকায় আছে। বাকী পাঁচজনের এখনও কোন সন্ধান পাননি বলে জানান এই ট্রলার মালিক।
তার ট্রলারের নিখোঁজ জেলেরা হলেন- আব্দুল মোতালেব, আবুল কালাম, আরিফ, নিরব ও মাকসুদ।
অপর দিকে লালমোহনের লর্ডহার্ডিঞ্জ এলাকার বাকি তিনটি ডুবে যাওয়া ট্রলারের পাঁচজন উদ্ধার হওয়ার পর নোয়াখালীর হাতিয়ায় রয়েছে।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবি: ৩৪ জেলে নিখোঁজ