উপজেলার দিগরাজ বাজার এলাকা থেকে শনিবার রাতে তাদের আটক করে কোস্টগার্ড মোংলা পশ্চিম জোনের সদস্যরা। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য তাদেরকে বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
রবিবার কোস্টগার্ড মোংলা পশ্চিম জোনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় হরিণের মাংসসহ আটক ৩
আটকরা হলেন- খুলনা জেলার দাকোপ উপজেলার ডাংমারী গ্রামের আবু সরদারের ছেলে মোনা সরদার (৩২), বাগেরহাট জেলার রামপাল উপজেলার বন্নি গ্রামের জাফর শেখের ছেলে জাহিদ শেখ (৩৮) ও জেলার মোংলা উপজেলার চিলাগ্রামের মোহাম্মদ আলী শেখের ছেলে মো. শহিদুল শেখ (৪০)।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কোস্টগার্ড সদস্যরা অভিযান চালিয়ে দিগরাজ বাজার এলাকা থেকে হরিণ পাচারকারী চক্রের ওই তিন সদস্যকে আটক করে। এসময় তাদের কাছ থেকে ৪৭ কেজি হরিণের মাংস, একটি মাথা, হরিণের ভুড়ি এবং তিনটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে হরিণের ১৯টি চামড়াসহ ২ পাচারকারি আটক
তার আগে, গত ২২ জানুয়ারি বাগেরহাটের শরণখোলায় হরিণের ১৯টি চামড়াসহ বন্যপ্রাণী শিকার ও পাচারকারী সিন্ডিকেটের দুই সদস্যকে আটক করে পুলিশ।
তারা হলেন- শরণখোলা উপজেলার রাজৈর গ্রামের মো. মতিন হাওলাদারের ছেলে মো. ইলিয়াস হাওলাদার (৩৫) এবং একই উপজেলার বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন মো. মোশারেফ শেখের ছেলে মো. মনিরুল ইসলাম শেখ (৪৮)।
২৩ জানুয়ারি দুপুরে বাগেরহাট পুলিশ অফিসে এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায় জানান, ২২ জানুয়ারি রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শরণখোলা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বাগেরহাট ডিবি পুলিশ অভিযান চালায়। ডিবি পুলিশের সদস্যরা মো. মনিরুল ইসলামের বাড়ির কাছে পৌঁছালে আসামিরা পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় ধাওয়া করে মনিরুল এবং ইলিয়াসকে আটক করে ডিবি পুলিশ।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে বাঘের চামড়াসহ ‘শিকারি’ আটক
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আসামিদের তথ্য অনুযায়ী বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন মনিরুল ইসলামের কাঠের দোতালা ঘরের পাটাতন থেকে ছোট-বড় ১৯টি হরিণের চামড়া উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ সুপার জানান, বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের সম্পদ রক্ষা করতে বিগত সাত মাস ধরে বাগেরহাট পুলিশ সপ্তাহে সাতদিন সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসছে। তার ধারাবাহিকতায় হরিণের ১৯টি চামড়াসহ দুজনকে আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: বাঘ আতঙ্ক শেষে পঞ্চগড়ে বনবিড়াল আটক
এ সময় বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাফিন মহামুদ জানান, আটক দুজন সুন্দরবনের হরিণ শিকার ও চামড়া পাচারকারী সিন্ডিকেটের সক্রিয় সদস্য। তারা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বিভিন্ন সময় অবৈধভাবে সুন্দরবনে প্রবেশ করে বন্যপ্রাণী শিকার করার পর তার চামড়া বিক্রি করে আসছে। আটক ইলিয়াস হাওলাদারের বিরুদ্ধে এর আগেও হরিণ শিকারের মামলা রয়েছে। ইলিয়াস দীর্ঘদিন ধরে সুন্দরবনে হরিণ শিকারের সাথে জড়িত।