গর্জনবনিয়া চাকমাপাড়া সীমান্তে সোমবার ভোর ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
বিজিবির দাবি, গোলাগুলিতে বাহিনীর দুই সদস্য আহত হয়েছেন। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন:২০১৭ সালের চুক্তির ভিত্তিতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে অঙ্গীকারবদ্ধ মিয়ানমার: দেশটির মন্ত্রী
নিহতরা হলেন কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং ১ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি/২ ব্লকের ফোরকান মাহমুদের ছেলে মো. জোবায়ের (২৮) ও একই এলাকার লম্বাশিয়া ২ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি/৩ ব্লকের হামজা মিয়ার ছেলে দীল মোহাম্মদ (২৫)।
কক্সবাজার ৩৪ বিজিবির সহকারী পরিচালক মো. ইয়ার হোসেন স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সীমান্তের রেজুপাড়া বিওপির সদস্যরা জানতে পারেন যে কিছু ইয়াবা ব্যবসায়ী বিপুল পরিমাণ ইয়াবা নিয়ে মিয়ানমার হতে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী রোহিঙ্গারা বিবেচিত হচ্ছেন বাংলাদেশি হিসাবে: সৌদি দূত
এমন সংবাদের ভিত্তিতে রেজুপাড়া বিওপির দুটি টহল দল সীমান্তের ৪০ নম্বর পিলারের কাছে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে গর্জনবুনিয়া চাকমাপাড়া সেতুর পূর্ব পাশে পাহাড়ের ঢালুতে অবস্থান নেয়। পরে ভোরে ৫-৬ জনের একটি দল পাহাড়ি এলাকা দিয়ে বাংলাদেশের দিকে আসতে দেখে তাদের চ্যালেঞ্জ করলে তারা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে হাতে থাকা অস্ত্র দিয়ে টহল দলকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি বর্ষণ করেন। এ সময় টহল দল আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালালে এক পর্যায়ে ইয়াবা ব্যবসায়ীরা পাহাড়ি জঙ্গলের ভেতরে পালিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের ফেরাতে মিয়ানমার রাজি থাকলেও আন্তরিক নয়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পরবর্তীতে টহল দল ঘটনাস্থলে থেকে দুই ব্যক্তিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার এবং এক লাখ পিস ইয়াবা, দেশীয় তৈরি দুটি একনলা বন্দুক, চারটি তাজা কার্তুজ ও দুটি খোসা উদ্ধার করে। সেখান থেকে আহতদের চিকিৎসার জন্য উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: ফিরে দেখা ২০২০: রোহিঙ্গাদের জন্য যন্ত্রণার আরও এক বছর
ময়নাতদন্তের জন্য লাশ দুটি কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা করা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
আরও পড়ুন: বছরের ২য় প্রান্তিকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আশাবাদী বাংলাদেশ