মঙ্গলবার ভোর ৫টার দিকে শাহপরীর দ্বীপ বিওপির দক্ষিণে গোলারচর পয়েন্ট এই ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে ৫২ হাজার পিস ইয়াবা ও একটি বন্দুক পাওয়া গেছে।
এই ঘটনায় এক বিজিবি সদস্য আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ রোহিঙ্গা ‘ইয়াবা কারবারি’ নিহত
টেকনাফ ২ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান জানান, দুজন লোককে নৌকায় করে অনুপ্রবেশ করতে দেখে বিজিবি সদস্যরা তাড়া করেন। এ সময় বিজিবির উপস্থিতি লক্ষ্য করা মাত্র এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করেন তারা। আত্মরক্ষার্থে বিজিবি সদস্যরাও গুলি চালান। এক পর্যায়ে দুজনের মধ্যে একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে নদীতে পড়েন এবং অপরজন সাঁতার কেটে পালিয়ে যান। পরে নৌকাটি তল্লাশি করে ইয়াবা ও বন্দুক পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: ‘বন্দুকযুদ্ধে’ কক্সবাজারে ‘ইয়াবা ব্যবসায়ী’ নিহত
টেকনাফ মডেল থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুল আলিম বলেন, ‘সকালে স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে খবর পেয়ে জালিয়াপাড়া বিওপি সংলগ্ন এলাকা থেকে একটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।’
এর আগে, সোমবার ভোর ৪টার দিকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের গর্জনবনিয়া চাকমাপাড়া সীমান্তে বিজিবির সাথে ‘গোলাগুলিতে’ দুই রোহিঙ্গা ‘ইয়াবা কারবারি’ নিহত হন।
আরও পড়ুন: রাঙামাটিতে দুই রাজনৈতিক পক্ষের বন্দুকযুদ্ধে নিহত ১
বিজিবির দাবি, গোলাগুলিতে বাহিনীর দুই সদস্য আহত হন। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
নিহতরা হলেন কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং ১ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি/২ ব্লকের ফোরকান মাহমুদের ছেলে মো. জোবায়ের (২৮) ও একই এলাকার লম্বাশিয়া ২ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি/৩ ব্লকের হামজা মিয়ার ছেলে দীল মোহাম্মদ (২৫)।
আরও পড়ুন: সিলেটে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ১২ মামলার আসামি নিহত
কক্সবাজার ৩৪ বিজিবির সহকারী পরিচালক মো. ইয়ার হোসেন স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভোরে ৫-৬ জনের একটি দলকে পাহাড়ি এলাকা দিয়ে বাংলাদেশের দিকে আসতে দেখে চ্যালেঞ্জ করলে তারা বিজিবি টহল দলকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি বর্ষণ করেন। এ সময় টহল দল আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালালে এক পর্যায়ে ইয়াবা ব্যবসায়ীরা পাহাড়ি জঙ্গলের ভেতরে পালিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ৩ ‘ইয়াবা কারবারি’ নিহত
পরবর্তীতে টহল দল ঘটনাস্থলে থেকে দুই ব্যক্তিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার এবং এক লাখ পিস ইয়াবা, দেশীয় তৈরি দুটি একনলা বন্দুক, চারটি তাজা কার্তুজ ও দুটি খোসা উদ্ধার করে। সেখান থেকে আহতদের চিকিৎসার জন্য উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।