ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছাত্রলীগ কর্মী আশরাফুল রহমান ইজাজকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি হাসান আল ফারাবী জয়কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
জয়কে ঢাকা ও নেত্রকোনা পুলিশের সহায়তায় গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। তিনি কলেজপাড়া এলাকার কলেজ শিক্ষক দম্পতি ইয়াকুব আলী ও রোকেয়া বেগমের একমাত্র ছেলে।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে স্বামী আটক
হাসান আল ফারাবী জয় গ্রেপ্তারে পর প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে হত্যার দায় স্বীকারোক্তি জবানবন্দি দিয়েছেন।
শনিবার (৮ জুন) দুপুর ১২টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তুলে ধরেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন।
পুলিশ সুপার বলেন, শুক্রবার ভোরে নেত্রকোণার আটপাড়ার কুতুবপুর গ্রাম থেকে জয়কে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া স্বীকারোক্তি মতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদরের ভাটপাড়ার একটি ঝোঁপ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্রটি উদ্ধার করা হয়।
জয়ের জবানবন্দির বরাত দিয়ে তিনি জানান, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ভিপি জালাল হোসেন খোকা এবং হাসান আল ফারাবী জয় খুবই ঘনিষ্ঠ। নিহত আশরাফুর রহমান ইজাজও তাদের সঙ্গে চলাফেরা করত। কলেজপাড়া এলাকায় এককভাবে প্রভাব বিস্তার করত খোকা ও জয়। তবে নিহত ইজাজ কিছু কিছু সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করত। এ বিরোধ চরম আকার ধারণ করে।
ইজাজ ও তার সঙ্গে চলাফেরা করা কয়েকজনকে চরম শিক্ষা দেওয়ার পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ২ জুন শহরের আরেকজনের কাছ থেকে খোকা গুলি করা অস্ত্রটি সংগ্রহ করে জয়কে দেয় এবং এজাজকে মারার সুযোগ খুঁজতে থাকে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নির্বাচনের দিন ৫ জুন সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় নির্বাচন শেষে কলেজ পাড়া এলাকায় বিজয় উল্লাস করার জন্য ২০/২৫ জন লোক জড়ো হয় এবং সেখানে খোকা, জয় ও ইজাজও ছিল।
খোকার সঙ্গে কোনো একটা বিষয় নিয়ে ইজাজের তর্ক বির্তকের মাঝেই জয় তার কোমর থেকে পিস্তল বের করে ইজাজকে প্রকাশ্যে গুলি করে পালিয়ে যায়।
এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রশাসন মো. ইকবাল হোসাইন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিশেষ শাখা জয়নাল আবেদীন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল বিল্লাল হোসেন, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসাইন ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আফজাল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।