এছাড়া রোহিঙ্গা হস্তান্তরের চতুর্থ দফার দ্বিতীয় দিনের (প্রথম অংশে) কক্সবাজারের উখিয়া থেকে ২০টি বাসে করে ৮৭৯ জন রোহিঙ্গা চট্টগ্রামের পথে রওনা হয়েছেন। সোমবার বেলা দেড়টার দিকে ২০টি বাসে করে ৮৭৯ জন রোহিঙ্গা চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা শিবিরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ১৬ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ানের (এপিবিএন) কমান্ডিং কর্মকর্তা ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম তারিক।
তিনি বলেন, কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে চতুর্থ দফার দ্বিতীয় দিনের (প্রথম অংশে) ২০টি বাসযোগে ৮৭৯ রোহিঙ্গা ভাসানচরের উদ্দেশ্যে চট্টগ্রামে রওনা হয়েছেন।
আরও পড়ুন: ভাসানচর: ধীরে ধীরে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত হচ্ছেন রোহিঙ্গারা
রোহিঙ্গা সঙ্কটের স্থায়ী ও শান্তিপূর্ণ সমাধান চায় ইইউ
রোহিঙ্গারা ভাসানচরে খুশি, তবুও তারা মিয়ানমারে ফিরতে চায়
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয় সূত্র জানায়, গত ৪ ডিসেম্বর প্রথম দফায় ১ হাজার ৬৪২ জন, ২৯ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দফায় ১ হাজার ৮০৪ জন, ২৯ জানুয়ারি তৃতীয় দফার (প্রথমদিন) ১ হাজার ৭৭৮ জন ও ৩০ জানুয়ারি তৃতীয় দফার (দ্বিতীয়দিন) ১ হাজার ৪৬৪ জন ও সোমবার চতুর্থ দফার (প্রথমদিন) ২ হাজার ১৪ জনসহ এ পর্যন্ত ভাসানচর আশ্রয়ন প্রকল্পে স্থানান্তর করা হয়েছে ৯ হাজার ৮৭৬ জনকে।
তিনি বলেন, ভাসানচরের আশ্রয়শিবিরে ১ লাখ রোহিঙ্গাকে সরিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা আছে সরকারের। সেই লক্ষ্যে কক্সবাজারের টেকনাফ-উখিয়া রোহিঙ্গা শিবির থেকে স্বেচ্ছায় যেতে ইচ্ছুক এসব রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তর করা হচ্ছে।
তার আগে ২০২০ সালের মে মাসে অবৈধভাবে সাগরপথে মালয়েশিয়া যেতে ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসা ৩০৬ রোহিঙ্গা নারী, পুরুষ ও শিশুকে কক্সবাজার ও টেকনাফ থেকে উদ্ধার করার পর ভাসানচর নিয়ে যায় সরকার।
হস্তান্তর প্রক্রিয়ার সাথে যুক্ত সরকারি একটি সংস্থার কর্মকর্তা বলেছেন, স্বেচ্ছায় ভাসানচরে যেতে ইচ্ছুক এমন প্রায় ২৩ হাজার রোহিঙ্গার তালিকা পাওয়া গেছে। তাদের মধ্য থেকে চতুর্থ দফায় হস্তান্তরের জন্য প্রায় ৪ হাজার জনকে তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল। এসব রোহিঙ্গাদের বিভিন্ন শিবির থেকে ট্রাক ও বাসে তুলে উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠে জড়ো করা হয়।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে নোয়াখালীর ভাসানচর আশ্রয়ন প্রকল্প (প্রকল্প-৩) উপ-পরিচালক কমান্ডার মো. আনোয়ারুল কবির বলেন, চতুর্থ দফায় (প্রথমদিনে) বাংলাদেশ নৌবাহিনীর পাঁচটি জাহাজে করে ২ হাজার ১৪ জন রোহিঙ্গা সোমবার দুপুরে ভাসানচরে পৌঁছেছেন। কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে থেকে আসা রোহিঙ্গাদের জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করার পাশাপাশি আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে তাদের স্ব-স্ব ঘর বুঝিয়ে দেয়ার কাজ চলছে। আর সোমবার যারা উখিয়া থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছেন তারা মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রাম থেকে ভাসানচরে রওয়ানা দেবেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সঙ্কটের একমাত্র সমাধান প্রত্যাবাসন: তুর্কি রাষ্ট্রদূত