এর আগে প্রথম দিনে বুধবার ২ হাজার ২৫৭ রোহিঙ্গা ভাসানচরে যান।
সকালে পতেঙ্গা বোট ক্লাব থেকে রোহিঙ্গাদের বহনকারী নৌবাহিনীর ৫টি জাহাজ ভাসানচরের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে।
টেকনাফ ও উখিয়ার বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে বাসযোগে চট্টগ্রামে বিএএফ শাহীন কলেজের অস্থায়ী ক্যাম্পে রাখা হয় রোহিঙ্গাদের।
আরও পড়ুন: ভাসানচর যাচ্ছেন আরও ৩ হাজার রোহিঙ্গা
অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. শামসুদ্দোজা নয়ন বলেন, ‘আজ দ্বিতীয় দিনে ভাসানচর যাচ্ছে ১ হাজার ৭৫৯ জন রোহিঙ্গা। তারা পঞ্চম দফায় দ্বিতীয় টিম। কক্সবাজার থেকে ভাসানচরে স্থানান্তরের জন্য গত দুই দিনে চার হাজার ১৬ জন রোহিঙ্গাদের চট্টগ্রামে নেয়া হয়েছে। সেখান থেকে ভাসানচর নেয়া হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সঙ্কটের স্থায়ী ও শান্তিপূর্ণ সমাধান চায় ইইউ
কক্সবাজারের আরআরআরসি কার্যালয় সূত্র জানায়, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চার দফায় কক্সবাজারের ক্যাম্প থেকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়েছে ৯ হাজার ৫৪০ জন রোহিঙ্গা। প্রথম দফায় গত ৪ ডিসেম্বর ১ হাজার ৬৪২ জন রোহিঙ্গা স্বেচ্ছায় ভাসানচরে গেছেন। এরপর ২৯ ডিসেম্বর দ্বিতীয় ধাপে যান ১ হাজার ৮০৫ জন ও তৃতীয় ধাপে দুইদিনে ২৮ ও ২৯ জানুয়ারি ৩ হাজার ২০০ জন রোহিঙ্গাদের ভাসানচর স্থানান্তর হয়। ১৪ ফেব্রুয়ারি প্রথম দিন ২ হাজার ১৪জন ও ১৫ ফেব্রুয়ারি ৮৭৯ জন রোহিঙ্গা ভাসানচরের উদ্দেশে উখিয়া কলেজের অস্থায়ী ট্রানজিট ক্যাম্প ত্যাগ করে। এবার মোট ৪ হাজারের বেশি রোহিঙ্গাকে ভাসানচরের পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। ক্যাম্পে আশ্রয়ে থাকাদের মাঝ থেকে এক লাখ রোহিঙ্গাকে ভাসানচর স্থানান্তর করার পরিকল্পনায় কাজ করছে সরকার।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার রোধে বৈদেশিক মিশনকে সজাগ থাকতে বললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
দেশের সফলতা তুলে ধরতে দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমের প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান