বুধবার সকালে চট্টগ্রামের পতেঙ্গাস্থ বিএফ শাহীন কলেজ মাঠের অস্থায়ী ট্রানজিট ক্যাম্প থেকে তাদের নিয়ে ভাসানচরের উদ্দেশে রওনা হয়েছে জাহাজগুলো।
নৌবাহিনী জানায়, পঞ্চম দফায় মোট তিন হাজার রোহিঙ্গা স্বেচ্ছায় নোয়াখালীর ভাসানচর যাচ্ছেন। বাকি রোহিঙ্গারা যাবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার।
আরও পড়ুন: ভাসানচর যাচ্ছেন আরও ৩ হাজার রোহিঙ্গা
রোহিঙ্গা সঙ্কট: আন্তর্জাতিক আদালতে বাংলাদেশের পাশে থাকবে ওআইসি
এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ২১টি বাস প্রথম দফায় ১ হাজার ৭৩ জন রোহিঙ্গা কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে আশ্রয়ে কেন্দ্র থেকে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় এসে পৌঁছে। তিনজন রোহিঙ্গা অসুস্থতার কারণে ট্রানজিট ক্যাম্পে অবস্থান করছে।
অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. সামছু-দৌজা নয়ন জানান, স্বেচ্ছায় ভাসানচর যেতে ইচ্ছুক রোহিঙ্গাদের নিয়ে আগের মতো যাত্রা করবেন সংশ্লিষ্টরা। এবারও দুদিন পৃথকভাবে যাত্রা করানো হবে। এর আগে চার দফায় নোয়াখালীর ভাসানচরে আবাসন নিশ্চিত করেছে ৯ হাজার ৫৪০ জন রোহিঙ্গা।
সামছু-দৌজা বলেন, পঞ্চম দফায় অন্তত ৩ হাজার রোহিঙ্গা নোয়াখালীর ভাসানচর যেতে স্বেচ্ছায় আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তাদের মধ্যে আজ এক হাজার ৭০ জন চট্টগ্রাম থেকে যাত্রা করেছে। আজ বুধবার উখিয়া টেকনাফ থেকে আরও রোহিঙ্গা ট্রানজিট পয়েন্টে যাবে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে বাইডেন প্রশাসনকে নেতৃত্ব দেয়ার আহ্বান ঢাকার
ভাসানচর: ধীরে ধীরে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত হচ্ছেন রোহিঙ্গারা
রোহিঙ্গা সঙ্কটের স্থায়ী ও শান্তিপূর্ণ সমাধান চায় ইইউ
কক্সবাজারের আরআরআরসি কার্যালয় সূত্র জানায়, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চার দফায় কক্সবাজারের ক্যাম্প থেকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়েছে ৯ হাজার ৫৪০ জন রোহিঙ্গা। প্রথম দফায় গত ৪ ডিসেম্বর ১ হাজার ৬৪২ জন রোহিঙ্গা স্বেচ্ছায় ভাসানচরে গেছেন। এরপর ২৯ ডিসেম্বর দ্বিতীয় ধাপে যান ১ হাজার ৮০৫ জন ও তৃতীয় ধাপে দুইদিনে ২৮ ও ২৯ জানুয়ারি ৩ হাজার ২০০জন রোহিঙ্গাদের ভাসানচর স্থানান্তর হয়। ১৪ ফেব্রুয়ারি প্রথম দিন ২ হাজার ১৪জন ও ১৫ ফেব্রুয়ারি ৮৭৯জন রোহিঙ্গা ভাসানচরের উদ্দেশে উখিয়া কলেজের অস্থায়ী ট্রানজিট ক্যাম্প ত্যাগ করে। এবার মোট ৩ হাজারাধিক রোহিঙ্গাকে ভাসানচরের পৌঁছে দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ক্যাম্পে আশ্রয়ে থাকাদের মাঝ থেকে এক লাখ রোহিঙ্গাকে ভাসানচর স্থানান্তর করার পরিকল্পনায় কাজ করছে সরকার।