এ সময় দুই লাখ মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করে ধ্বংস ও উদ্ধার হওয়া দুই মণ মা ইলিশ সিংগাইর উপজেলার বিভিন্ন এতিমখানায় বিতরণ করা হয়।
বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শিবালয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এএফএম ফিরোজ মাহমুদ, সহকারী কমিশনার জাকির হোসেন, দৌলতপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার জুয়েল মাহমুদ এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরিফ হোসেন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এই জেল-জরিমানা দেন। আটক জেলেদের মধ্যে ২৪ জনকে এক বছর করে কারাদণ্ড ও ১৩ জনকে মোট ৪৯ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এর আগে ভোর ৩টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক এসএম ফেরদৌসের নেতৃত্বে মা ইলিশ সংরক্ষণে এই অভিযান চালানো হয়। অভিযানে উপস্থিত ছিলেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামা, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আতিয়ার রহমান, নৌপুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলামসহ অন্যান্য মৎস কর্মকর্তারা।
জেলা মৎস কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান জানান, ইলিশের প্রজনন মৌসুমে সরকারিভাবে ইলিশ রক্ষায় গত ৯ অক্টেবর থেকে সারাদেশের নদীতে ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে যেন ইলিশ ধরতে না পারে সে লক্ষ্যে এই অভিযান চলমান আছে। আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত এই অভিযান চলবে।