তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রামের নালা নর্দমা খাল বিল যদি পরিষ্কার না হয় তাহলে তো হবে না, এগুলো পরিষ্কার করতে হবে। ওয়াকওয়ে পরিষ্কার থাকবে, মানুষও শ্বাস নিতে পারবে। বাংলাদেশকে বিচ্ছিন্নভাবে দেখার সুযোগ নেই। মিরসরাই ইকোনমিক জোন হবে, ৩০ লাখ লোকের কর্মসংস্থান হবে। এসব কার্যকর করার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত হতে হবে।’
শনিবার চট্টগ্রামের রেডিসন ব্লু’র মেজবান হলে এলইডি বাল্ব বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ সব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সমালোচনার পাশাপাশি ভালো কাজের স্বীকৃতি চান এলজিআরডিমন্ত্রী
রাজধানীর সব বেদখল খাল উদ্ধার করা হবে: মন্ত্রী
তাজুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়ন করতে হলে চট্টগ্রামকে গুরুত্ব দিতে হবে। চট্টগ্রাম বন্দর না থাকলে বাংলাদেশ এতো ভাগ্যবান হতো না। অনেক দেশ আছে যাদের বন্দর থাকলেও আমাদের দেশের মতো তারা তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়।’
২০৪১ সালে উন্নত দেশ গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ‘উন্নত দেশ হিসেবে গড়ার স্বপ্ন দেখেছেন বঙ্গবন্ধু। সে স্বপ্ন এখন বাস্তবায়ন করছেন তার কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। আমি তার সহকর্মী হিসেবে আছি।
‘শিক্ষা, স্বাস্থ্য, খাদ্যসহ সব সেক্টর উন্নত হয়েছে। এ ধারা অব্যাহত রেখে ৪১ সালে উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলব,’ বলেন তিনি।
আরও পড়ুন:এলইডি লাইট নগরবাসীর জন্য নববর্ষের উপহার: ডিএনসিসি মেয়র
স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে নাগরিক সেবা বৃদ্ধির আহ্বান এলজিআরডিমন্ত্রীর
চীন সরকার বাংলাদেশকে অনুদান হিসেবে ১৩ লাখ বাল্ব দিয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর হয়ে এ বাল্ব বাংলাদেশে আসার কারণে চট্টগ্রাম থেকেই সারা দেশে বিতরণ করা হবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা চীন সরকারের কাছে তাদের এ বন্ধুভাবাপন্ন আচরণের জন্য কৃতজ্ঞ। চীন সরকার পুরো বাংলাদেশের জন্য ১৩ লাখ বাল্ব দিয়েছে। আমরা চাই সারা বাংলাদেশ একইভাবে আলোকিত হোক।’
‘আমি চট্টগ্রাম, রংপুর, নোয়াখালী সব জায়গাকে সমান মূল্যায়ন করি। কিন্তু এ বাল্বগুলো চট্টগ্রাম দিয়ে এসেছে বলে আমরাই চট্টগ্রামে এসে এ বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করলাম। এখান থেকেই সারা দেশে ডিস্ট্রিবিউশন লিস্ট অনুযায়ী বাল্ব যাবে,’ বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: ডিএনসিসির সব ওয়ার্ডে মিনি ফায়ার স্টেশন হবে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম সচিব শাকিলা ফারজানার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুস সালাম, স্থানীয় সরকারের চট্টগ্রাম বিভাগের পরিচালক মিজানুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য দেন।