এস আলম গ্রুপ মিসর থেকে বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি করছে, এটি তার প্রথম চালান। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য আমদানিকারক দের আমদানিকৃত পেঁয়াজ কার্গো বিমানযোগে দেশে আসবে।
শনিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো সিনিয়র তথ্য অফিসার ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আব্দুল লতিফ বকসী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে শুক্রবার সরকার ঘোষণা দেয়, স্থানীয় বাজার স্থিতিশীল রাখতে জরুরি ভিত্তিতে বিমানযোগে বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আনা হচ্ছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানায়, দেশে পেঁয়াজের সরবরাহ ও মূল্য স্বাভাবিক রাখতে জরুরি ভিত্তিতে কার্গো উড়োজাহাজে করে পেঁয়াজ আমদানি করার প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করা হয়েছে এবং অল্প সময়ের মধ্যে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ বাজারে সরবরাহ করা সম্ভব হবে।এছাড়া সমুদ্র পথে আমদানিকৃত পেঁয়াজের বড় চালান বাংলাদেশের পথে রয়েছে, যা অতি শিগগিরই দেশে এসে পৌঁছাবে।
সেপ্টেম্বরের শেষদিকে ভারত তাদের রপ্তানি নিষিদ্ধ করার পর থেকে বাংলাদেশের রান্নাঘরের প্রয়োজনীয় উপাদান পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায়। দাম কমানো জন্য সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের পরও শুক্রবার কেজি প্রতি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে আড়াইশ টাকায়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে টিসিবি’র মাধ্যমে সরাসরি তুরস্ক থেকে, এস আলম গ্রুপ মিসর থেকে, বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান আফগানিস্তান ও সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে জরুরি ভিত্তিতে কার্গো উড়োজাহাজযোগে পেঁয়াজ আমদানি করছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কারণে টেকনাফ স্থলবন্দর, চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরসহ বিভিন্ন স্থানে আটকে থাকা পেঁয়াজের চালান কয়েকদিনের মধ্যে দেশে পৌঁছাবে।