সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পদ্মা-মেঘনা নদীর চাঁদপুর সীমান্তবর্তী কাচিকাঠা এলাকায় ডাকাতির এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: মেঘনায় লঞ্চ ডাকাতি, যাত্রীদের সর্বস্ব লুট
এ ঘটনায় একজনকে আটক করছে পুলিশ। আটক বিল্লাল হোসেন খান (৪৫) নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পাইন্দি নতুন মহল্লার বাসিন্দা।
লঞ্চ মাস্টার হেলাল হোসেন বলেন, সকাল ৮টায় নড়িয়া থেকে লঞ্চটি ছেড়ে আসে। সাড়ে ৯টার দিকে কাচিকাটায় পৌঁছালে দুটি স্পিড বোট দিয়ে আসা ১৮ জনের সংঘবদ্ধ ডাকাত দল লঞ্চে উঠে। প্রথমে তারা লঞ্চের চালককে মারধর এবং পরে লঞ্চের গ্লাস ভাঙচুর করে।
পরবর্তীতে তারা অস্ত্রের মুখে লঞ্চে থাকা প্রায় ৫০ যাত্রীকে জিম্মি করে নগদ অর্থ, স্বর্ণের গহনা ও মূল্যবান জিনিসপত্র লুটপাট করে নিয়ে যায়। তবে এ সময় লঞ্চে থাকা পুলিশ সদস্য এসআই জয়নাল অন্য যাত্রীদের সহায়তায় এক ডাকাতকে ধরে ফেলতে সক্ষম হন।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে মেঘনা নদীতে ফের লঞ্চে ডাকাতি
লঞ্চের যাত্রী শরীয়তপুরের ভোজেশ্বর থানার পাঁচক গ্রামের কোহিনুর বেগম বলেন, তারা একই পরিবারের চারজন লঞ্চে ছিলেন। ডাকাত সদস্যরা তাদের জিম্মি করে নগদ পাঁচ হাজার টাকা ও গহনা নিয়ে যায়।
নড়িয়া থানার উত্তর নড়িয়া গ্রামের আরেক যাত্রী আব্দুল জাব্বার মাঝি জানান, তিনি চাঁদপুরের উদ্দেশে আসছিলেন। ডাকাত সদস্যরা তার নগদ ২০ হাজার টাকা ও একটি মোবাইল ফোন নিয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে মা ইলিশ রক্ষায় নৌ-পুলিশের যৌথ অভিযান
আরেক যাত্রী সুমন মিয়া বলেন, ডাকাতরা তার নগদ ৭ হাজার টাকা ও মোবাইল নিয়ে গেছে।
এভাবে লঞ্চে থাকা প্রায় সব যাত্রীর মূল্যবান জিনিসপত্র ২০ মিনিটের মধ্যে ডাকাতরা নিয়ে স্পিড বোটে পালিয়ে যায়।
চাঁদপুর নৌ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জহিরুল ইসলাম জানান, শাহ আলী লঞ্চটি বেলা ১১টার দিকে চাঁদপুর ঘাটে এসে পৌঁছায়। পরে এসআই জয়নাল ধরা পড়া ডাকাত সদস্যকে থানায় হস্তান্তর করেন।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে মেঘনা নদীতে ফের লঞ্চে ডাকাতি
ডাকাতির ঘটনায় লঞ্চের ম্যানেজার আক্তার হোসেন মামলা করেছেন। আটক ডাকাত সদস্যকে থানা হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এবং ডাকাতির সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে বলে এসআই জহিরুল জানান।
নৌ পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের সুপার (এসপি) কামরুজ্জামান বলেন, ‘আটক ডাকাত সদস্যের কাছ থেকে অন্য ডাকাতদের তথ্য জানার চেষ্টা চলছে।’