রাজশাহী জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) ইফতে খায়ের আলমের দাবি, রবিবার উপজেলার সীমান্তবর্তী ভানুকর গ্রামে এ ঘটনায় আহত পুলিশদের চারঘাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও গুলিবিদ্ধ মিলনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত মিলন হোসেন ওই গ্রামের মাসুম হোসেনের ছেলে।
আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন- বাঘা থানার এসআই লুৎফর রহমান, এএসআই নুরনবী, এএসআই মাসুদ ইকবাল, এএসআই রেজাউল করিম ও পুলিশ সোর্স শরিফ আহাম্মেদ (৪৫)।
বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলামের ভাষ্য, ভানুকর গ্রামের রিপন হোসেনের (৩৫) বাড়ি থেকে একই গ্রামের মিলন হোসেন ফেনসিডিলের একটি চালান পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে এমন খবরে বাঘা থানার পরিদর্শকের (তদন্ত) নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ওই বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে রিপন পালিয়ে যায়। তবে মিলন ওই বাড়ির একটি ঘরে ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে আত্মগোপন করে।
ওসির ভাষ্য, কৌশলে পুলিশ মিলনকে ধরতে গেলে তিনি ধারাল অস্ত্র নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। তার অস্ত্রের আঘাতে চার পুলিশসহ পাঁচজন আহত হন। পরে চারঘাট সার্কেলের সিনিয়র এএসপি নূরে আলমের নেতৃত্বে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে তাকে আত্মসমর্পণের আহ্বান জানায়। কিন্তু পুলিশের আহ্বানে সাড়া না দেয়ায় তাকে গ্রেপ্তার করতে গেলে দ্বিতীয় দফায় হামলা চালানোর চেষ্টা করেন মিলন। এ সময় পুলিশ গুলি চালালে মিলন পায়ে গুলিবিদ্ধ হন। পরে গুলিদ্ধি অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এ সময় ওই ঘরে তল্লাশি চালিয়ে ৮০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধারের দাবি করেন ওসি নজরুল ইসলাম।