রাতভর পুলিশের অভিযানে রাঙ্গামাটির কাউখালীর ইটভাটা থেকে অহৃত তিন শ্রমিককে উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার (২ জানুয়ারী) ভোররাতে কলমপতি ইউনিয়নের তারাবুনিয়ার খাঁজা গরীবে নেওয়াজ ইটভাটা থেকে অক্ষত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: শিকলবন্দী পরিবহণ শ্রমিক উদ্ধার, গ্রেপ্তার ২
উদ্ধার হওয়া তিন শ্রমিক হলেন-মো. জিয়াউর রহমান (২৮), আহসান উল্লাহ (২৯) ও মো. মোসলেম উদ্দিন (৪০)।
কাউখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. পারভেজ আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, কাউখালী উপজেলার কলমপতি ইউনিয়নের দুর্গম ডাবুন্যাছড়ি ও আশে পাশের বিস্তৃত এলাকায় পুলিশের অভিযানের মুখে টিকতে না পেরে অপহরনকারীরা অপহৃতদের রাউজানের রাবার বাগান এলাকায় ফেলে পালিয়ে যায়।
খরব পেয়ে উদ্ধার অভিযানে থাকা কাউখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মো. আব্দুল হালিমের নেতৃত্বে কাউখালী থানা পুলিশের একটি দল তাদেরকে কাউখালীতে নিয়ে আসে।
তিনি আরও জানান, ৩১ ডিসেম্বর রাত ১০টায় কাপ্তাই উপজেলার চন্দ্রঘোনা লিচু বাগান এলাকা থেকে মুক্তিপনের অগ্রিম পাঁচ লাখ টাকা গ্রহণকালে দু’জনকে আটক করা হয়। পরে তাদের আদালতে পাঠিয়ে ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হলে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।
রিমান্ডে আসামিদের দেয়া তথ্যানুযায়ী অপহৃতরা ডাব্বুনিয়া এলাকায় সশস্ত্র সন্ত্রাসী বাবু মারমার হেফাজতে থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হয়।
রিমান্ডে নেয়া আসামিদের তথ্যৈর ভিত্তিতে সোমবার ভোর রাতে ওসি পারভেজ আলীর দিক নির্দেশনায় ও ওসি (তদন্ত) মো. আব্দুল হালিমের নেতৃত্বে পুলিশের পাঁচটি টিম বিভক্ত হয়ে কাউখালীর ডাব্বুনিয়া এলাকার সম্ভাব্য স্থানটি ঘিরে ফেলে।
পুলিশের সবকটি টিম একত্রিত হয়ে দূর্গম ডাব্বুনিয়ার ছড়া পাহাড়ে অভিযান পরিচালনা করে।
পুলিশের অভিযানের বিষয়টি বুঝতে পেরে সন্ত্রাসীরা অপহৃতদের কাউখালীর সীমান্তবর্তী রাউজানে ফেলে পালিয়ে যায়। পরে অপহৃতরা রাউজান হয়ে হাটহাজারীর থানার ফতেবাদ এলাকায় ইটভার মালিক আলমগীর কোম্পানীর সন্ধানে যায়।
খবর পেয়ে অভিযানে থাকা পুলিশের ওসি (তদন্ত) আব্দুল হালিম তাৎক্ষণিক ফতেয়াবাদ এলাকায় গিয়ে তাদের উদ্ধার করেন।
পরে তাদের কাউখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রাঙ্গামাটিতে নিয়ে যাওয়া হয়।
এ ঘটনায় পুলিশ অপহরণকারীদের ধরতে পারেনি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামের দুর্গম পাহাড় থেকে অপহৃত ৩ শ্রমিক উদ্ধার