আরও পড়ুন: কনকনে ঠান্ডায় বিপর্যস্ত কুড়িগ্রামের জনপদ
সরেজমিনে ইউএনবির এ প্রতিনিধি হাসপাতালগুলোতে ঘুরে দেখেন, তীব্র শীতের কারণে মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানে ঠান্ডাজনিত ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টসহ নানা সমস্যা নিয়ে শিশু ও বয়স্ক রোগীর সংখ্যা হাসপাতালগুলোতে কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। প্রতিদিনই নতুন নতুন রোগী ভর্তি হচ্ছেন। অনেককেই হাসপাতালে আসন না পেয়ে হাসপাতালের বারান্দায় ও মেঝেতে চিকিৎসা নিতে দেখা গেছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে শীতজনিত রোগের প্রকোপ বাড়ছে
আরও পড়ুন: মৃদু শৈত্যপ্রবাহের কবলে পুরো কুড়িগ্রাম
ভুক্তভোগী রোগীসহ স্বজনরা জানান, হাসপাতালে পর্যাপ্ত আসন সংখ্যা না থাকায়, এই শীতে খোলা বারান্দায় ও মেঝেতে শুয়ে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। প্রচণ্ড শীতের মধ্যে এ অবস্থায় রোগীরা ঠান্ডায় আরও অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।
মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, পুরাতন ভবনের পুরুষ ও নারী মেডিসিন ওয়ার্ডে ২৬টি আসনের বিপরীতে রোগী রয়েছেন একশরও বেশি। সেখানে বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে ২০ জনের অধিক নতুন রোগী ভর্তি হচ্ছেন। শিশু ওয়ার্ডের ১০টি আসনের বিপরীতে রোগীর সংখ্যা রয়েছে ৯৬ জন। প্রতিদিন নতুন করে গড়ে ৩০-৩৫টি শিশু রোগী ভর্তি হচ্ছে। যার অধিকাংশই ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত।
আরও পড়ুন: শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে কুড়িগ্রাম, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৫.৫ ডিগ্রি
হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. নাহিদা ইয়াসমিন জানান, বর্তমানে হাসপাতালে প্রতিদিনই ঠান্ডাজনিত সমস্যায় শিশু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
সম্প্রতি হাসপাতালটিতে ভর্তিকৃত রোগীর ১০০ জনের মধ্যে ৯৯ জনই ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ শ্বাসকষ্টজনিত নানা সমস্যা নিয়ে ভর্তি হচ্ছেন বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে শীতজনিত রোগের প্রকোপ বাড়ছে
এদিকে, মাগুরায় ঘনকুয়াশা আর ঠান্ডার কারণে স্বাভাবিক জনজীবন ব্যাহত হচ্ছে। চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন খেটে খাওয়া দিনমজুর নিন্ম আয়ের মানুষেরা। এদের বেশি ভাগই কাজে যেতে না পেরে মানবতর জীবন যাপন করছেন।