মুন্সীগঞ্জ শহরের উত্তর ইসলামপুর এলাকায় সালিশ বৈঠকে তিন গ্রুপের সংর্ঘষে তিন যুবক নিহত হয়েছেন।
বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে সংঘর্ষের এই ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহতরা হলেন- ওই এলাকার কাসেম পাঠানের ছেলে ইমন পাঠান (২৩) ও বাচ্চু মিয়ার ছেলে সাকিব মিয়া (১৯) ও একই এলাকার মৃত আনোয়ার আলীর ছেলে ও বিগত পৌর নির্বাচনের পরাজিত কমিশনার প্রার্থী আওলাদ হোসেন মিন্টু (৪০)।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে কিশোর গ্যাংয়ের সাথে সংঘর্ষে যুবক খুন: আটক ২৪
স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, ইভটিজিং নিয়ে একে অপরকে দায়ী করে ইমন পাঠান একই এলাকার অভিকে চর থাপ্পর মারে। পরে ইমন পাঠান পক্ষের বড় ভাই মিন্টু আবার অভিকে ডেকে নিয়ে ধাপ্পর মারে। বুধবার রাত ৯টার দিকে এই ঘটনায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরে রাত সাড়ে ১১টার দিকে এই বিষয়ে সালিশ বৈঠক বসে। ওই বেঠকেই মিমাংসাও হয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু শেষ পর্যায়ে অভি গ্রুপের লোকজন আকস্মিক তিনজনকে এলোপাথারি ধরাল অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে আহতদেরকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ছুরিকাঘাতে কিশোর খুন, আটক ১
মুন্সীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবু বকর সিদ্দিক জানান, সৌরভ, অভি ও শামীম গ্রুপ এই হামলার সাথে জড়িত। পুলিশ এই তিনজনের কাউকে গ্রেপ্তার করতে না পারলেও এর সাথে সংশ্লিষ্ট পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে। এর মধ্যে বৈঠকে উপস্থিত সৌরভের বাবা জামাল প্রধান রয়েছেন।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় ছাত্রলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষ: আহত ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু
ওসি জানান, প্রথমে ছুরিকাহত তিনজনকে জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে পেটে ও বুকে জখম ইমন পাঠানকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। পরে পেট ও বুকে জখম সাকিব মিয়া ও বুকে ও শরীরে আঘাতপ্রাপ্ত আওলাদ হোসেন মিন্টুকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। সেখানে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক সাকিবকে মৃত ঘোষণা করেন। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে মিন্টু প্রধান ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।