মঙ্গলবার বেলা ৩টার দিকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সোমবার রাত ১০টার দিকে তাকে আইসিইউতে নেয়া হয়।
তাকবীর বগুড়া শহরের মালতীনগর স্টাফ কোয়ার্টার এলাকার দুলাল মিয়ার ছেলে। তার মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ছাত্রলীগের দু’পক্ষের পাল্টাপাল্টি সমাবেশ, ধুনটে ১৪৪ ধারা জারি
বগুড়া সদর থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ১২ মার্চ রাত ৯টার দিকে শহরের জেলা স্কুল সংলগ্ন সাতমাথায় দুপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে ১৪ মার্চ রাতে নিহতের মা আফরোজা ইসলাম বাদী হয়ে বগুড়া সরকারী আজিজুল হক কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রউফসহ ৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৩০ থেকে ৩৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। অপরদিকে আজিজুল হক কলেজ ছাত্রলীগ নেতা সোহাগ হাসান বাদী হয়ে তাকবীর ইসলাম খানসহ ১২ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ২০ থেকে ২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
ছাত্রলীগ সূত্রে জানা যায়, গত ১২ মার্চ জেলা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা জেলার ধুনটে উপজেলা ছাত্রলীগের একটি সমাবেশে যোগ দেয়ার জন্য রওনা হয়। পথিমধ্যে শহরের সাতমাথায় জেলা ছাত্রলীগের নেতা তাকবীর ইসলাম খানের মোটর সাইকেলের সাথে কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রউফের এক কর্মীর মোটরসাইকেলের ধাক্কা লাগে। তখন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাইমুর রাজ্জাক তিতাস ও সাধারণ সম্পাদক অসীম কুমার রায় বিষয়টি মীমাংসা করে দেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ছাত্রলীগ কর্মী খুনের ঘটনায় আটক ৬
জানা যায়, ধুনটের সমাবেশ শেষে সাতমাথায় জিলা স্কুল সংলগ্ন বিলবোর্ড এলাকায় মোটরসাইকেলে ধাক্কার ঘটনায় তাকবীর ইসলাম খান ও আব্দুর রউফের কর্মীরা বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তাকবীর ইসলাম খান ছুরিকাঘাতে আহত হন। এছাড়া তার কর্মী শান্ত, ইমন, শাফিন, হাবিব ও আহত হন। অপরদিকে আজিজুল হক কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রউফের পক্ষের ছাত্রলীগের কর্মী দুলাল, জাহিদ হাসান, সানজিদ, রাজন আহত হয়।
এদিকে কোন মামলায় পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবীর জানান, আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে। লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ‘ছাত্রলীগের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে যুবক নিহত