সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি কমতে থাকায় জেলার বন্যা পরিস্থিতি সামান্য উন্নতি হলেও যমুনার তীরবর্তী পাঁচটি উপজেলার নিম্নাঞ্চলের প্রায় ৪৫ হাজার মানুষ এখনও পানিবন্দি রয়েছে। প্রবল বর্ষণে চরাঞ্চলসহ নিম্নাঞ্চলের অসহায় মানুষের দুঃখ দুর্দশা আরও বাড়ছে। বর্তমানে যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার ১৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী (হেড কোয়ার্টার) নাসির উদ্দিন জানান, যমুনা নদীর পানি কমতে থাকায় সিরাজগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতি সামান্য উন্নতি হয়েছে। তবে যমুনার তীরবর্তী শাহজাদপুর, বেলকুচি, চৌহালী, কাজিপুর ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার নিম্নাঞ্চল বন্যাকবলিত এলাকার অনেক কাঁচা ও পাকা সড়ক যোগাযোগ এখনও বিচ্ছিন্ন রয়েছে। বহু অসহায় পরিবার স্থানীয় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধসহ বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিয়েছে এবং এখন মানবেতর জীবনযাপন করছে।
তিনি বলেন, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার পক্ষ থেকে বন্যা ও ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। এবার বন্যায় যমুনা নদীর তীরবর্তী ওই পাঁচটি উপজেলাসহ চলনবিল এলাকার তাড়াশ ও উল্লাপাড়া উপজেলার ৭ হাজার ২৯০ হেক্টর ফসলি জমি ডুবে গেছে। এর মধ্যে রোপা আমন, আঁখ ও সবজির বাগান উল্লেখযোগ্য। এছাড়া শাহজাদপুর, কাজিপুর, চৌহালী ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার অনেক স্থানে ভাঙনও দেখা দিয়েছে। তবে শাহজাদপুর উপজেলার জালালপুর ও খুকনী ইউনিয়ন এলাকায় তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যেই ভাঙনের মুখ থেকে অনেক পরিবার অনত্র আশ্রয় নিয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের এই কর্মকর্তা বলেন, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিম্নাঞ্চলে বন্যা ও ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় মানুষের মাঝে চাল বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। এদিকে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাস ব্যক্তিগত উদ্যোগে ও রেড ক্রিসেন্টের পক্ষ থেকে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। গত দুদিনে চৌহালী উপজেলা ও এনায়েতপুর থানার বিভিন্ন স্থানে প্রায় ৪’শ পরিবারের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
আরও পড়ুন: বরিশালে ৯ নদীর পানি বিপৎসীমার উপরে
সিরাজগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি, নতুন এলাকা প্লাবিত
সিরাজগঞ্জের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, পানিবন্দি লক্ষাধিক মানুষ