সকাল ৭টার দিকে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আহতের মধ্যে রহিমা বেগম নামে এক নারী সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
বাকি নিহতরা হলেন- সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার সালমান খান (২৮), ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের নুরুল আমিন (৫০), সাগর (১৯), সিলেটের ওসমানী নগরের মঞ্জুর আহমদ মঞ্জু (৩৫), একই উপজেলার জাহাঙ্গির হোসেন (৩০), ডা. ইমরান খান রুমেল (৪৮) ও সিলেট নগরের আখালিয়ার শাহ কামাল (৪৫)।
আরও পড়ুন: তিন জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫
চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় পুলিশের এএসআই নিহত
দক্ষিণ সুরমা থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘সকাল ৭টার দিকে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা সিলেটগামী লন্ডন এক্সপ্রেস ও সিলেট থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া এনা পরিবহনের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই চার জন নিহত হন। এছাড়া হাসপাতালে নেয়ার পর আরও তিন জন মারা যান বলে শুনেছি। এই দুর্ঘটনায় অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।’
আরও পড়ুন: বন্ধুর জন্য মোটরসাইকেল কিনে ফেরার পথে দুর্ঘটনায় পুলিশ সদস্য নিহত
২০২০ সালে কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় নিহত ৭২৯ শ্রমিক: বিলস
ওসি বলেন, ‘নিহতদের মধ্যে দুই বাসের চালকও রয়েছেন। হতাহতদের উদ্ধার করে ওসমানী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুর্ঘটনায় দুটি বাসের সামনে অংশ দুমড়ে মুছড়ে যায়। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। তারা প্রায় একঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে হতাহতদের উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় পুলিশ কনস্টেবল নিহত
দুর্ঘটনার পর কিছু সময় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকলেও এখন চলাচল অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসি।
জানুয়ারিতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪৮৪: আরএসএফ
চলতি বছরের জানুয়ারিতে সারা দেশে ৪২৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ৪৮৪ জন নিহত এবং ৬৭৩ জন আহত হয়েছেন।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের (আরএসএফ) তথ্যমতে, গত বছরের একই সময়ের তুলনায় সড়ক দুর্ঘটনা ২৫.৫৮ শতাংশ এবং হতাহতের সংখ্যা ৮.৭৬ শতাংশ বেড়েছে।
শনিবার আরএসএফ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত বছরের জানুয়ারিতে ৩৪০টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৪৫ জন নিহত হন।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ জানুয়ারির মধ্যে সারা দেশে ১৫৯টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৬৮ জন মারা গেছেন, যা মোট নিহতের ৩৪ শতাংশ এবং মোট দুর্ঘটনার ৩৭.২৩ শতাংশ।
যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৫৩ জন, যা মোট হতাহতের ১০ দশমিক ৯৫ শতাংশ।
চারটি নৌ দুর্ঘটনায় সাতজন নিহত, চারজন আহত এবং ছয়জন নিখোঁজ রয়েছেন। একই সময়ে ১১টি রেল দুর্ঘটনায় ১৪ জন নিহত এবং ছয়জন আহত হয়েছেন।
১৫৩টি দুর্ঘটনা (৩৫.৮৩ শতাংশ) মহাসড়কে, ১০৭টি দুর্ঘটনা (২৫.০৫ শতাংশ) আঞ্চলিক সড়কে এবং ১১টি দুর্ঘটনায় (২.৫৭ শতাংশ) অন্যান্য সড়কে ঘটেছে।
ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটেছে। সবচেয়ে কম দুর্ঘটনা ঘটেছে সিলেট বিভাগে।
দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, বেপরোয়া গতি, দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাসহ সড়ক দুর্ঘটনায় ১০টি প্রধান কারণ চিহ্নিত করা হয়েছে।
আরএসএফ সাতটি জাতীয় দৈনিক, পাঁচটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমের তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে।