রবিবার রাতে নীলফামারি ৫৬ বিজিবির আওতাধীন ওই সীমান্তের ৪৫৩ মেইন পিলার এলাকা থেকে তাকে ধরে নিয়ে যাওয়ার এ ঘটনায় পতাকা বৈঠকে হবে বলে জানিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
আরও পড়ুন: পাকা করতে বিএসএফের বাধা, ভরসা তাই ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের সেতু
বিএসএফের কাছে আটক পুলিশ সদস্য ওমর ফারুক পঞ্চগড় জেলা জজ আদালতে নিরাপত্তার দায়িত্বে কর্মরত। তবে তারা কেন সীমান্ত এলাকায় গিয়েছিলেন সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানাতে পারেনি বিজিবি।
বিজিবি ও এলাকাবাসী সূত্র জানায়, রবিবার রাত ৯টার দিকে পুলিশ সদস্য ওমর ফারুকসহ তিনজন মমিনপাড়া সীমান্তের কাছে যান। এ সময় মমিনপাড়া সীমান্তের বিপরীতে ভারতের সিপাইপাড়া মহল্লার ভারতীয় নাগরিকরা তাদের আটক করেন। পরে সেখান থেকে দু’জন পালিয়ে আসলেও ওমর ফারুককে আটক করে ভারতের চানাকিয়া বিএসএফ সদস্যদের হাতে তুলে দেন স্থানীয় ভারতীয়রা।
আরও পড়ুন: বেনাপোল সীমান্তে গত বছর ১২০ কোটি টাকার মাদক, অস্ত্র ও সোনা জব্দ
বিজয় দিবসে বিজিবির পক্ষ থেকে বিএসএফকে মিষ্টি উপহার
স্থানীয়দের দাবি, মাদক চোরাচালানের সাথে জড়িত ওই তিনজনের মধ্যে দুজন পুলিশ সদস্য।
এ বিষয়ে জানতে নীলফামারি ৫৬ বিজিবি অধিনায়কের সাথে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
আরও পড়ুন: দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আরও সক্রিয় হতে হবে: বিজিবিকে প্রধানমন্ত্রী
প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরে কষ্টিপাথরের ১১ মূর্তি দিল বিজিবি
পঞ্চগড় অতিরিক্তি পুলিশ সুপার সুদর্শন কুমার রায় বলেন, ‘কোনো পুলিশ সদস্যকে বিএসএফ ধরে নিয়ে গেছে কিনা, তা বিজিবির পক্ষ থেকে এখনও জানানো হয়নি। এ ক্ষেত্রে আমাদের কাছে নাম ও ছবি দিয়ে জানানোর কথা। এ বিষয়ে আমরাও খোঁজ খবর নিচ্ছি।’
পুলিশ সদস্যকে আটকে রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করে পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু আক্কাছ আহমদ বলেন, ‘ওই পুলিশ সদস্য আদালতে বিচারকদের নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত ছিলেন। তার ব্যবহৃত মোটরসাইলেকটি উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। তার সাথে আরও দুজন ছিলেন বলে আমরা শুনেছি। তবে কারা ছিলেন এবং কেন সীমান্ত এলাকায় গিয়েছিলেন এ বিষয়ে আমরা এখনও নিশ্চিত না। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।’
আরও পড়ুন: পার্বত্য চট্টগ্রামে খালি সেনাক্যাম্পে পুলিশ, বিজিবি মোতায়েন হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী