সোমবার সুনামগঞ্জের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. খালেদ মিয়ার আদালতে হাজির হয়ে এই আসামিরা জামিন চাইলে বিচারক তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
১ ফেব্রুয়ারি দুপুরে জেলার তাহিরপুর উপজেলার যাদুকাটা নদীর তীর কেটে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ছবি তুলতে গিয়ে স্থানীয় সাংবাদিক কামাল হোসেন নির্যাতনের শিকার হন। তাকে ধরে এলোপাতাড়ি মারধরের পর একটি গাছের সাথে বেঁধে আবার নির্যাতন করা হয়। এ সময় তার মোটরসাইকেল, মুঠোফোন ও ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়া হয়। ওই ব্যক্তিরা পরে তাকে ধরে নিয়ে যান পার্শ্ববর্তী চকবাজারে।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক নির্যাতন: কুড়িগ্রামের সাবেক ডিসি, আরডিসির বিরুদ্ধে মামলা রেকর্ড
কামাল হোসেন দৈনিক সংবাদ এবং সিলেট থেকে প্রকাশিত দৈনিক শুভ প্রতিদিনের তাহিরপুর উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেন।
সাংবাদিক কামাল হোসেনকে গাছে বেঁধে নির্যাতনের একটি ভিডিওচিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এ নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়।
এ ঘটনায় পরদিন কামাল হোসেন বাদী হয়ে ঘাগটিয়া গ্রামের মাহমুদ আলী শাহ (৩৮), রইস উদ্দিন (৪০), দীন ইসলাম (৩৫), মুশাহিদ তালুকদার (৪৫) ও মনির উদ্দিনের (৫২) নাম উল্লেখসহ আরও ৫-৬ জন অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন।
এরপর পুলিশ মামলার এজাহারভুক্ত ২ নম্বর আসামি রইস উদ্দিন ছাড়াও ঘাগটিয়া গ্রামের ফয়সল আহমদ (১৯), আনহারুল ইসলাম (২০), তাহের হোসেন (২০) ও মাসরিবুল ইসলামকে (২৬) গ্রেপ্তার করেছে। এই আসামিরা জামিনে আছেন।
সোমবার মামলার এজহারভূক্ত অপর চার আসামি মাহমুদ আলী শাহ, দীন ইসলাম, মুশাহিদ তালুকদার ও মনির উদ্দিন আদালতে হাজির হয়ে জামিন চাইলে আদালতের বিচারক মাহমুদ আলী শাহ ও দীন ইসলামের জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: ভোলায় সাংবাদিক নির্যাতন, ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী সালেহ আহমদ দুই আসামির জামিন নামঞ্জুরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।