মঙ্গলবারের এ ঘটনায় বুধবার বাদী হয়ে হবিগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এ পাঁচজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন ধর্ষণের শিকার ওই শিক্ষার্থী।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান।
আরও পড়ুন: গ্রেপ্তার যুবক ‘সিরিয়াল রেপিস্ট’: র্যাব
মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়, হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বাতাসর গ্রামের শামীম আহমেদ মামুনের সাথে বৃন্দাবন সরকারি কলেজে অধ্যায়নরত ওই ছাত্রীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রায়ই ওই ছাত্রীর সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করত আসামি শামীম।
মঙ্গলবার দুপুরে ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে শামীম কৌশলে ওই ছাত্রীকে কলেজ থেকে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। এসময় সেখানে আগে থেকে অবস্থানরত ফজলুর রহমান (২৪), আলী হোসেন (২৫) ও জুনেদ লতিফ (২৭) ওই শিক্ষার্থীকে প্রাণনাশের ভয় দেখিয়ে বলপূর্বক জাতীয় উদ্যানের গহীন অরণ্যে নিয়ে পর্যায়ক্রমে ধর্ষণ করে। অপর এক আসামি আক্কাছ আলী তাদের পাহারা দেয়।
পরে আসামিরা ঘটনাস্থল থেকে চলে গেলে ওই ছাত্রী গুরুতর আহত অবস্থায় লোকালয়ে এসে চিৎকার করলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জে নিয়ে আসে।
এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনালের বিচারক জিয়া উদ্দিন মাহমুদ মামলাটি এফআইআর হিসেবে রুজু করে চুনারুঘাট থানাকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
এর আগে গত ১১ ডিসেম্বর সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে প্রেমিকের সাথে বেড়াতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হয় এক স্কুলছাত্রী।