হেফাজতে ইসলামের ডাকে চট্টগ্রামসহ সারাদেশে রবিবার হরতাল চলছে। শুক্রবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে আগমনের প্রতিবাদে ঢাকা-চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে পুলিশের সাথে সংঘর্ষ এবং চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে পুলিশের গুলিতে পাঁচ কর্মী নিহত হওয়ার প্রতিবাদে সারাদেশে রবিবার সকাল সন্ধ্যা হরতাল ডাকে দলটি।
হরতাল চলাকালে সকাল থেকে নগরীর বিভিন্ন সড়কে রিকশা, সিএনজি ও ব্যক্তিগত গাড়িসহ হালকা যানবাহন চলাচল করলেও কোনো ধরনের দুরপাল্লার যাত্রীবাহী গাড়ি চট্টগ্রাম ছেড়ে যায়নি।
আরও পড়ুন: সিলেটে শান্তিপূর্ণ হরতাল চলছে, ছেড়ে যায়নি দূরপাল্লার বাস
এদিকে, হরতালের সমর্থনে ভোরে ফজরের নামাজের পর বিভিন্ন এলাকায় হেফাজতের নেতা-কর্মীরা রাস্তায় অবস্থান নিয়েছে।
হাটহাজারীতে শুক্রবার দুপুরে সংঘর্ষের পর থেকে এখনও চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি সড়ক অবরোধ করে রেখেছে হাটহাজারী মাদরাসার ছাত্ররা। সেখানে শুক্রবার ইটের প্রাচীর তৈরি করে অবরোধ করলেও পরে সে দেয়াল তুলে ফেলে। রবিবার ভোর থেকে রাস্তা কেটে দিয়ে খালের মতো বিশাল লম্বা গর্ত করে অবরোধ অব্যাহত রেখেছে ছাত্ররা। এর মধ্যে শনিবার দ্বিতীয়বারের মতো বিক্ষুব্ধ মাদরাসার ছাত্ররা হাটহাজারীর ডাকবাংলোতে আগুন দিয়েছে।
আরও পড়ুন: হাটহাজারীর পরিস্থিতি থমথমে, মাদরাসা শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ
এব্যাপারে হাটহাজারী থানার ওসি (তদন্ত) রাজিব শর্মা জানান, বেশ কিছু নেতা-কর্মী বিক্ষুব্ধ হয়ে ডাকবাংলোয় আগুন ধরিয়ে দেন। এসময় তারা নিচ তলার স্টোর রুমে থাকা দুটি মোটরসাইকেলও পুড়িয়ে দেয়।
এর আগে হেফাজত-পুলিশ সংঘর্ষের সময় হেফাজতের বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা ডাকবাংলো ও স্থানীয় সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয়ে হামলা চালায়।
বর্তমানে হাটহাজারী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ব্যাপক পুলিশ ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: হাটহাজারীতে পুলিশের সাথে সংঘর্ষে নিহত ৪
মোদিবিরোধী বিক্ষোভ: বায়তুল মোকাররম এলাকায় পুলিশের সাথে মুসল্লিদের সংঘর্ষ
হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আল্লামা আজিজুল হক ইসলামাবাদী জানান, ভোর থেকে এখনও শান্তিপূর্ণ হরতাল চলছে। চট্টগ্রামসহ সারাদেশে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। ভোরে চট্টগ্রামের হালিশহর বাকলিয়া এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে নেতা-কর্মীরা। এছাড়া রাস্তায় অবস্থান করছে। জেলার বাঁশখালী পটিয়া ফটিকছড়িতসহ বিভিন্ন উপজেলায় হরতালের সমর্থনে বিক্ষোভ চলছে।