তাদের মঙ্গলবার রাতে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়া হয়। এর আগে, সকালে গাজীপুর সদরের বাসন্তী থানা পুলিশের সহযোগিতায় তাদের উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনার সাথে জড়িত কাউকে আটক করা যায়নি।
উদ্ধার হওয়া শিশুরা হলো হোমনার ঘনিয়ারচর গ্রামের শরীফ উদ্দিনের ছেলে মাহিন (১২), ইউনুস মিয়ার ছেলে ফয়সাল (১০) ও অলি মিয়ার ছেলে শাহেদ (৯)।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে থেকে অপহৃত শিশু টাঙ্গাইলে উদ্ধার
আরও পড়ুন: গাজীপুরে অপহৃত ব্যক্তি উদ্ধার, কথিত সাংবাদিকসহ আটক ৩
তাদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, তারা সোমবার সকালে ঘনিয়ারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে সাইকেল নিয়ে খেলা করছিল। এমন সময় একটি কালো মাইক্রোবাস এসে তাদের কাছে থামে। গাড়ি থেকে তিনজন লোক নেমে এসে তাদের মেলায় নিয়ে ঘুরানো এবং পছন্দের জিনিসপত্র কিনে দেয়ার প্রলোভন দেখায়। প্রথমে তারা যেতে রাজি না হলেও পরে যেতে রাজি হয়। গাড়িতে ওঠার সাথে সাথেই তাদের মুখে স্প্রে করা হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই তারা ঘুমিয়ে পড়ে। চলার পথে তারা গাড়িতে বমিও করেছিল।
সন্ধ্যায় ঘুম ভাঙলে তারা অচেনা জায়গার একটি দোকানের সামনে বেঞ্চে বসা অবস্থায় নিজেদের আবিষ্কার করে। অচেনা জায়গা বুঝতে পেরে তারা ভয়ে কান্নাকাটি শুরু করে। এ সময় স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে মাহিন তাদের ঠিকানাসহ মামা ও বাবার মোবাইল নাম্বার দেয়। সেখান থেকে লোকজন পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে শিশুদের স্থানীয় বাসন্তী থানা হেফাজতে দেয়। মঙ্গলবার সকালে হোমনা থানা পুলিশ তাদের উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে অপহরণের ৩ দিন পর শিশুর লাশ উদ্ধার
আরও পড়ুন: অপহরণের পর মুক্তিপণ আদায়: সিএমপি কমিশনারের দেহরক্ষীসহ ৬ পুলিশ গ্রেপ্তার
আরও পড়ুন: ছোট ভাইকে অপহরণ করে কিডনি বিক্রি চেষ্টার অভিযোগ!
শিশুদের পরিবার জানায়, সোমবার সারাদিনেও বাসায় না ফেরায় পরিবারের মাঝে দুশ্চিন্তা সৃষ্টি হয়। সম্ভাব্য সব স্থানে খোঁজাখুঁজি করে কোথায়ও না পেয়ে পরে সাহেদের মামা মো. দেলোয়ার হোসেন হোমনা থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন।
হোমনা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মোতাব্বির হোসেন বলেন, ‘সোমবার শাহেদের মামা হোমনা থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন। মঙ্গলবার গাজীপুরের বাসন্তী থানা পুলিশের সহযোগিতায় অপহৃত তিন শিশুকে উদ্ধার করে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করা না গেলেও প্রকৃত ঘটনা উদ্ধার এবং অপহরণকারীদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।’