ওটিটি প্ল্যাটফর্ম
‘অনেক অনেক কান্না জমে ছিল বুকের ভেতরে, অমি হয়তো বুঝতে পেরেছিল’
ডিসেম্বরের শুরুতে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বঙ্গতে মুক্তি পাবে কাজল আরেফিন অমি পরিচালিত ওয়েব ফিল্ম 'অসময়'। এর দৃশ্য ধারণের কাজ প্রায় শেষে। এতে অভিনয় করেছেন মনিরা আক্তার মিঠু।
ওয়েব ফিল্মটিতে অভিনয় করে তিনি বেশ উচ্ছ্বসিত। ফেসবুকে এক পোস্টে পরিচালকের প্রতি নিজের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এই গুণী অভিনেত্রী।
মনিরা আক্তার মিঠু লেখেন, ‘আজ (১১ অক্টোবর) শেষ হলো 'অসময়' ওয়েব ফিল্মে আমার শেষ দৃশ্যের কাজ। আলহামদুলিল্লাহ।’
আরও পড়ুন: এই সিনেমার গল্প কখনো জানতে চাইনি: আরিফিন শুভ
এমন একটি চরিত্রের জন্য তিনি অপেক্ষা করছিলেন উল্লেখ করে অভিনেত্রী আরও লেখেন, ‘হয়তো এমন একটি চরিত্রের জন্যই অপেক্ষায় ছিল আমার সময়! পরিচালক কাজল আরেফিন অমির দুইমাস আগে বলা একটা কথা বার বার মনে পড়ছে- আপা, এই চরিত্রটি তৈরি-ই হয়েছে আপনার জন্য।’
অমিকে উদ্দেশ্য করে মনিরা আক্তার মিঠু লেখেন, ‘অনেক অনেক কান্না জমে ছিল বুকের ভেতরে। অমি হয়তো বুঝতে পেরেছিল। আজ শুধু একটি শব্দই তোমাদের উদ্দেশ্যে বলবো, ‘অসময়’ ওয়েব ফিল্মের প্রতিটি সদস্যর প্রতি রইলো আমার আত্মার ভেতর থেকে কৃতজ্ঞতা।’
উল্লেখ্য, 'অসময়' ওয়েব ফিল্মে আরও অভিনয় করেছেন তাসনিয়া ফারিণ, রুনা খান, তারিক আনাম খান, ইরেশ জাকের, শরাফ আহমেদ জীবন, শ্বাশত দত্ত, আরফান মৃধা শিবলু, লামিমা লাম, শিমুল শর্মা, ইশরাত জাহিন প্রমুখ। একটি বিশেষ চরিত্রে রয়েছেন জিয়াউল হক পলাশ।
আরও পড়ুন: আবারও টলিউডের নায়িকার সঙ্গে শাকিব খান
১ বছর আগে
হামদ-নাত প্রতিযোগিতার শীর্ষ ১০ জনের নাম ঘোষণা ও পুরস্কার প্রদান
হামদ ও নাত প্রতিযোগিতা 'সুরের সাথে নূরের পথে’-এর শীর্ষ ১০ জন প্রতিযোগীর নাম ঘোষণা করেছে টফি। এটি বাংলাদেশের কোনো ওটিটি প্ল্যাটফর্মে আয়োজিত প্রথম হামদ ও নাত প্রতিযোগিতা। বাংলালিংক-এর কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে শীর্ষ অংশগ্রহণকারীদেরকে পুরস্কৃত করা হয়।
পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে আয়োজিত এই প্রতিযোগিতায় হাজার হাজার টফি কনটেন্ট ক্রিয়েটর এক মিনিটের হামদ ও নাত ভিডিও জমা দেওয়ার মাধ্যমে অংশগ্রহণ করে।
ভিডিওতে ভিউ সংখ্যার ওপর ভিত্তি করে টফি সেরা ১০ জন অংশগ্রহণকারীকে বেঁছে নেয়। প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কার অর্জন করেছে যথাক্রমে টাঙ্গাইলের মো. মোহসিন হোসাইন, সৈয়দপুরের মো. আখতারুল আলম শাহ ও ফেনীর মো. নাজমুল হোসাইন।
টফি-এর ডিজিটাল সার্ভিসেস ডিরেক্টর আবদুল মুকিত আহমেদ বলেন, 'বাংলাদেশের প্রথম ইউজিসি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে টফি দেশের কনটেন্ট ক্রিয়েটরদেরকে তাদের বৈচিত্র্যময় প্রতিভা বিকাশে উৎসাহিত করতে চায়।'
তিনি আরও বলেন, 'এই উদ্দেশ্য নিয়েই অভিনব হামদ ও নাত প্রতিযোগিতা চালু করা হয়েছে। আমরা শীর্ষ অংশগ্রহণকারীদের অভিনন্দন জানাই এবং আশা করি তারা আমাদের প্ল্যাটফর্মে কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে তাদের যাত্রা সফলভাবে চালিয়ে যাবে।'
আরও পড়ুন: সংগীতশিল্পী নোবেল গ্রেপ্তার
সব সীমারেখার ওপরে মানুষের বন্ধুত্ব: রাজ
১ বছর আগে
ওয়েব সিরিজ-২০২২: কনটেন্টের ‘নায়ক’ নির্মাতা
ওটিটি প্ল্যাটফর্মের জনপ্রিয়তা আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে গেছে ২০২২ সালে।
করোনাকালীন এই মাধ্যমের চাহিদা বিশ্বব্যাপী যেভাবে ছড়িয়ে গেছে সেই যাত্রায় কাঁধ মিলিয়েছিল বাংলাদেশের কনটেন্টও।
এর সঙ্গে এদেশেও ওটিটি প্ল্যাটফর্মের বাজারের পরিধি আরও প্রসারিত শুরু করল।
২০২০-২০২১ সালে ওয়েব সিরিজ নির্মাণের যেই মোড় ঘুরতে শুরু করেছিল তা আরও পরিণত হয়েছে ২০২২ সালে। এই সালে এমন কয়েকটি ওয়েব সিরিজ তাক লাগিয়েছে যেগুলোর নির্মাতারা এর আগের বছরগুলোতেও নিজেদের মুন্সিয়ানার প্রমাণ দিয়েছেন।
আর সেই হাল তারা ধরে রেখেছেন।
এই সূত্র ধরেই আজকের লেখায় জানাব ২০২২ সালে সবচেয়ে আলোচিত ওয়েব সিরিজগুলো নিয়ে।
আরও পড়ুন: 'কাবিলা' খ্যাত পলাশের ব্যাচেলর জীবনের সমাপ্তি
‘শাটিকাপ’:
রাজশাহীতে বসে ৮ পর্বের ওয়েব সিরিজ
এ দেশে ফিকশনের বাজার মূলত ঢাকাকে ঘিরে। রাজশাহীতে বসে একদল তরুণ একটি সিরিজ বানিয়ে কাঁপিয়ে দেবে, সেটি হয়তো ভাবাই যায় না। কিন্তু এই ফর্মুলা থেকে বের হয় ওটিটি যাত্রার শুরুতে আট পর্বের ওয়েব সিরিজ ‘শাটিকাপ’ দিয়ে এক বাজি ধরে ‘চরকি’। সিরিজটির অভিনয়শিল্পী ও কলাকুশলী সবাই রাজশাহীর স্থানীয়।
সেই সঙ্গে গল্পের প্রেক্ষাপট, ভাষা, দৃশ্যধারণ সবই হয়েছে রাজশাহীতেই।
আর এটি নির্মাণ করেছেন রাজশাহীর ছেলে তরুণ নির্মাতা মোহাম্মদ তাওকীর ইসলাম।
নির্মাতার মতোই পরিচিতির বাইরে রয়েছেন ‘শাটিকাপ’-এ অভিনয় করা সকলে।
প্রায় ১৩৭ জন অভিনয়শিল্পী দেখা গেছে এই সিরিজে।
আশফাক নিপুণ বললেন ‘সাবরিনা’র গল্প
২০২১ সালে ‘হইচই’ প্ল্যাটফর্মে ‘মহানগর’ দিয়ে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন আশফাক নিপুণ। দর্শকের তাই অপেক্ষা ছিল এ বছর ‘মহানগর ২’ নিয়ে হাজির হবেন এই নির্মাতা।
কিন্তু সেই আশায় শেষ পর্যন্ত জল পড়ল।
তাই বলে কিন্তু একদম নিরাশ করেননি নিপুণ। ওয়েব সিরিজ ‘সাবরিনা’ দিয়ে আবারও আলোচনায় আসেন তিনি।
যার মধ্য দিয়ে ওয়েব সিরিজে অভিষেক হয় মেহজাবিন চৌধুরীর।
টেলিভিশন নাটকের মতো ওয়েব সিরিজেও অভিনয়ের মুন্সিয়ানার প্রমাণ দিয়েছেন মেহজাবিন। আর আশফাক নিপুণ যেন আরও পরিণত হচ্ছেন তার গল্প বলার ভঙ্গিতে।
‘সিন্ডিকেট’:
ক্রাইম থ্রিলার দিয়ে ভিন্ন এক প্রেম দেখালেন শিহাব শাহীন
টেলিভিশনে হিট পরিচালকদের একজন শিহাব শাহীন। মূলত তার রোমান্টিক ঘরানার গল্প দর্শকদের কাছে বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছে। ওয়েব সিরিজেও তিনি প্রেম দেখালেন।
কিন্তু সেটি ক্রাইম থ্রিলারের মধ্য দিয়ে।
‘চরকি’তে এ বছর মুক্তি পায় ওয়েব সিরিজ ‘সিন্ডিকেট’। যেখানে দেখা যায়, এক ব্যাংকের ছাদ থেকে পড়ে গিয়ে নিহত হয় ব্যাংক কর্মকর্তা জিশা। শুরুতে একে আত্মহত্যা ধরা হলেও জিশার প্রেমিক ও সহকর্মী আদনানের ধারণা খুন করা হয়েছে তার প্রেমিকাকে।
আরও পড়ুন: ওটা সত্যি অভিনয় ছিল না, ছিল মায়ের জন্য আবেগ: ‘কারাগার-২’ প্রসঙ্গে চঞ্চল চৌধুরী
এই সিরিজের মাধ্যমে প্রথমবার একসঙ্গে দেখা যায় আফরান নিশো, তুষি ও ফারিণকে।
ওটিটিতে এ বছর দ্যুতি ছড়ালেন নুহাশ হুমায়ূন
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিজের কাজ নিয়ে এরইমধ্যে পৌঁছে গেছেন পরিচালক নুহাশ হুমায়ূন। সেই সঙ্গে দেশেও এখন জনপ্রিয় নির্মাতাদের একজন।
যার নির্মাণের মুন্সিয়ানা বরাবরই মুগ্ধ করেছে দর্শককে। তার গল্প বলার ধরন তার উজ্জ্বল সম্ভাবনাকে বরারবরই ইঙ্গিত দেয়।
এ বছর চরকির পর্দায় ভৌতিক ঘরানার চারটি ভিন্ন গল্প নির্মিত হয়েছে নুহাশ হুমায়ূনের প্রথম ওয়েব সিরিজ ‘ষ’।
প্রচলিত বিভিন্ন কুসংস্কার, লোককথার প্রেক্ষাপটে বর্তমান আবহে তৈরি এটি।
সিরিজটি দেশের দর্শকের কাছে ব্যাপক সফলতার পর পাড়ি দিয়েছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে।
২০২৩ সালের ২৫ জানুয়ারি ‘আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব রটারডাম’-এর ৫২তম আসরে বাংলাদেশ থেকে নির্বাচিত হয়েছে নুহাশ হুমায়ূনের ‘পেট কাটা ষ’।
‘কাইজার’ –এ পরিণত হয়েছেন তানিম নূর
২০২১ সালে তানিম নূরের পরিচালনায় ‘কন্ট্রাক্ট’ ওয়েব সিরিজটি বেশ আলোচনায় আসে। যার অন্যতম কারণ ছিল একই পর্দায় চঞ্চল চৌধুরী ও আরিফিন শুভর উপস্থিতি। কিন্তু মুক্তির পর কিছুটা হতাশ হতে হয়েছিল। বিগ কাস্টিং দিয়ে তিনি যেই আলোচনা তৈরি করেছিলেন সিরিজটি নির্মাণে তার ততটা চেষ্টার ত্রুটি ছিল বলে মনে হয়।
কিন্তু ২০২২ সালে ‘কাইজার’ দিয়ে পরিণত হলেন তিনি।
যদিও এখানে আফরান নিশো তার অভিনয় দিয়ে অধিকাংশ আকর্ষণ কেড়ে নিয়েছেন, তবুও গল্পটি নির্মাণে যত্নশীল ছিলেন তানিম নূর।
ভারতীয় প্লাটফর্ম হইচইতে মুক্তি পাওয়া এই গোয়েন্দা সিরিজে অভিনয় করেছেন আফরান নিশো, মোস্তাফিজুর নূর ইমরান, রিকিতা নন্দিনি শিমু, ইমতিয়াজ বর্ষণ, শতাব্দী ওয়াদুদ, সুমন আনোয়ার প্রমুখ।
অমিতাভ রেজা ‘বোধ’ কতটা জনপ্রিয় হলো?
‘আয়নাবাজি’র পর অমিতাভ রেজার প্রতি প্রত্যাশা অনেক বেড়ে গেছে দর্শকের। তার নতুন নির্মাণ মানে ভক্তদের কৌতুহলের শেষ নেই। তেমনটাই হয়েছিল এ বছরের শেষে ‘হইচই’ প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পাওয়া ‘বোধ’ দিয়ে।
সিরিজটির মূল ভূমিকায় নতুন দুই মুখকে দেখা যায়।
আর গুরুত্বপূর্ণ এক চরিত্রে অভিনয় করেন আফজাল হোসেন। অমিতাভ তার সিরিজে বলতে চেয়েছেন দেশের ভুমিদস্যুদের গল্প।
তবে ঘটনার শেষ জানতে হলে অপেক্ষা করতে হবে সিরিজে দ্বিতীয় সিজন পর্যন্ত।
দুই বাংলায় ‘কারাগার’-এর বাজিমাত
নির্মাতা সৈয়দ আহমেদ শাওকি এখন ওটিটি প্ল্যাটফর্মের তুরুপে তাশ। বাংলাদেশের ওয়েব সিরিজে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে আলোচিত ওয়েব সিরিজ ‘কারাগার’।
যার দুটি সিজন এরইমধ্যে মুক্তি পেয়েছে।
প্রথম সিজন মুক্তির পর মূল চরিত্রে রহস্যময় চরিত্রে থাকা চঞ্চল চৌধুরীকে নিয়ে এক ধাঁধাঁ তৈরি করেন শাওকি।
দ্বিতীয় সিজন মুক্তির আগ পর্যন্ত সেটিই ছিল প্রধাণ আকর্ষন।
এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আলোচনা হয়েছে। শেষ পর্যন্ত ‘কারাগার ২’ দিয়ে সকল রহেস্যে জট খুললো।
চঞ্চল চৌধুরী ছাড়াও ‘কারাগার’ দিয়ে দর্শকের আকৃষ্ট করেছেন ইন্তেখাব দিনার। দীর্ঘ বিরতির পর ওটিটি প্ল্যাটফর্ম দিয়ে পুরোদমে ফিরে আসেন এই অভিনেতা।
আরও পড়ুন: কবে অনুষ্ঠিত হবে ব্যাচেলর পয়েন্ট চতুর্থ সিজনের শেষ পর্ব?
১ বছর আগে
মানবাধিকার প্রেক্ষাপটে প্রশংসিত ‘জানা গানা মানা’
ভারতের দক্ষিণী সিনেমার এখন জয়জয়কার। বিশেষ করে তাদের গল্প নির্বাচনের কারিশমা দেখা যাচ্ছে নিয়মিতই। আলোচানার টেবিলে এবার রয়েছে মালায়ালাম সিনেমা ‘জানা গানা মানা’। মানবাধিকার প্লট নিয়ে নির্মিত সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম নেটফ্লিক্সে।সিনেমাটির গল্প শুরু হয় হায়দ্রাবাদের এক কলেজ প্রফেসরের গণধর্ষণ ও খুনের ঘটনা দিয়ে। যা নিয়ে দেশজুড়ে বেশ আলোড়ন তৈরি হয়। এরপর কলেজ ছাত্রদের আন্দোলনের চাপে পড়ে স্থানীয় পুলিশ এবং চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তীতে তাদের আদালতে নেয়ার কথা থাকলেও এনকাউন্টারে তাদের হত্যা করা হয়। এতে হায়দ্রাবাদ পুলিশের প্রশংসা করে দেশবাসী।
সিনেমার এই জায়গা থেকে ঘটনা মোড় নেয় ভিন্ন দিকে। প্রশ্ন উঠে মানবাধিকার নিয়ে। এনকাউন্টারের বিরুদ্ধে কেস উঠলো আদালতে। যার পক্ষে লড়েন অ্যাডভোকেট অরবিন্দ স্বামীনাথান। পুরো সিনেমায় উঠে এসেছে বর্তমান ছাত্ররাজনীতি, শিক্ষার্থীদের ওপর ধর্মীয় মৌলবাদী শাসন, এছাড়াও রয়েছে পুলিশের অত্যাচারসহ বিভিন্ন সামাজিক প্রেক্ষাপট।
আরও পড়ুন: বন্যার্তদের সহযোগিতায় অনন্ত জলিল১ ঘণ্টা ৬৫ মিনিটের এই সিনেমার গল্প লিখেছেন শারিস মোহাম্মদ। পরিচালনায় রয়েছে ডিজো হোসে অ্যান্টনি, আর প্রযোজনা করেছেন সুপ্রিয়া মেনন ও লিস্টিন স্টিফেন।‘জানা গানা মানা’ তেলুগু, তামিল, হিন্দিসহ বেশ কয়েকটি ভাষায় মুক্তি পেয়েছে। এতে অভিনয় করেছেন পৃথ্বীরাজ সুকুমারন, সুরজ ভেঞ্জারামুডু, মমতা মোহনদাস, শারী, ধ্রুবনসহ অনেকে।
আরও পড়ুন: ব্রিটনির থেকে ১০০ গজ দূরে থাকতে হবে আলেকজান্ডারকে
২ বছর আগে
ঈদে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মাজনুন মিজান
সপ্তাহ পার হলেই ঈদুল ফিতর। আর শেষ সময়ে শোবিজ তারকাদের কাজের চাপ যেন কয়েক গুণ বেড়ে যায়। এমনই কর্মব্যস্ততায় সময় পার করছেন অভিনেতা মাজনুন মিজান।
এবার ঈদে মাজনুন মিজানের মূল আকর্ষণ থাকছে ওটিটি ঘিরে। স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম ‘বিঞ্জ’-এ ঈদের দিন মুক্তি পাবে ওয়েব সিরিজ ‘আইজ্যাক লিটন’। যেখানে সাদা পোশাকে একজন পুলিশ কর্মকর্তার চরিত্রে অভিনয় করেছেন মিজান। আর কেন্দ্রীয় চরিত্রে দেখা যাবে মোশাররফ করিমকে।
আশরাফুজ্জামান পরিচালিত ওয়েব সিরিজটি প্রসঙ্গে মাজনুন মিজান ইউএনবিকে বলেন, ‘এটি ব্যাঙ্গাত্মক ঘরানার একটি গল্প। একজন বিজ্ঞানী দেশের দুর্নীতিবাজদের জন্য ভাইরাস আবিস্কার করেন। কিন্তু পরবর্তীতি তিনি নিজেই খুনের দায়ে ফেঁসে যান। যার দায়িত্ব পরে আমার ওপর।’
আরও পড়ুন: রাস্তায় ঘুরে বেড়ালেও আমাকে কেউ চিনত না: জয়া আহসান
মিজান আরও বলেন, ‘ওয়েব সিরিজটি বিনোদনের জন্য নির্মাণ করা হলেও এখানে সামাজিক অনেক বাস্তবতা দেখানো হয়েছে। গল্পের জায়গা থেকে অনেকগুলো স্ট্রং পয়েন্ট আছে। আশা করি দর্শকদের ভালো লাগবে।’
অন্যদিকে একাধিক ঈদের বিশেষ নাটকেও অভিনয় করেছেন মাজনুন মিজান। এরমধ্যে ‘গোলাপজান রোড’ নাটকটির কথা উল্লেখ করে অভিনেতা বলেন, ‘একটি তরুণ টিমের সঙ্গে কাজ করলাম। যারা সিনেমা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছে। আর শুরুতে তাদের এতো গোছানো প্রোডাকশন দেখে দারুণ লেগেছে।’
আরও পড়ুন: মনোজ ও ফারিয়ার ‘লাভ জার্নি’
এবার ঈদে বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে মিজানের একাধিক সিনেমা প্রচার করা হবে। সেগুলো হলো ‘ভূবন মাঝি’, ‘গন্ডি’ ও ‘মিশন এক্সট্রিম।
সম্প্রতি এই অভিনেতা শেষ করেছেন ‘জ্যঁ ক্যয়ে’ সিনেমার শুটিং।
তিনি জানান, সিনেমাটি পোস্ট প্রোডকশনের কাজও প্রায় শেষ। শিগগিরই হয়তো মুক্তির ব্যাপরেও জানা যাবে। এছাড়াও মাজনুন মিজানের হাতে রয়েছে ‘গন্ডি ২’ সিনেমার কাজ।
আরও পড়ুন: ঈদে ‘ইত্যাদি’তে দর্শকের মুখোমুখি অপূর্ব-পূর্ণিমা
২ বছর আগে
রাজনৈতিক ও সামাজিক অস্থিরতার শিকার সবচেয়ে বেশি হয় নারীরা: আশফাক নিপুণ
ওটিটি প্ল্যাটফর্ম ‘হইচই’-এ সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে ‘সাবরিনা’। ৮ পর্বের এই ওয়েব সিরিজকে নারীকেন্দ্রিক গল্প বলা হলেও এতে উঠে এসেছে দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক চিত্র। দুই নারীর গল্পের মধ্য দিয়ে যা দেখানো হয়েছে। ইউএনবির সঙ্গে আলাপকালে এ নিয়ে কথা বলেন ওয়েব সিরিজটির নির্মাতা আশফাক নিপুণ। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মোস্তাফিজ মিঠু
‘সাবরিনা’র গল্পের পাশাপাশি আপনার লোকেশন নির্বাচনও বেশ প্রশংসিত হয়েছে। কিন্তু শুটিং ঠিক কোথায় করেছেন সেটি জানা যায়নি। এ নিয়ে শুরুতে জানতে চাইব।
লোকেশনের বিস্তারিত আমি ইচ্ছে করেই জানাতে চাইনা। কারণ যখন আমরা স্ক্রিনে কোন দৃশ্য দেখি, তার লোকেশনও আমাদের আন্দোলিত করে। পরিচিত হলে কানেক্ট করে কোথাও, অপরিচিত হলে উৎসুক করে। যদি বলেই দেই কোথায় কোথায় শ্যটিং করেছি তাহলে সেই আগ্রহ শেষ হয়ে যায়। আমরা মেট্রোপলিটান শহরের আবহের বাইরে গিয়ে একটি গল্প দেখাতে চেয়েছি। তাই ঢাকার বাইরে দূরে কিছু লোকেশনে আমরা ২১ দিন শুটিং করেছি।
ওয়েব সিরিজটিকে শুরু থেকেই শুধু নারীকেন্দ্রিক গল্প বলা হচ্ছে। যদিও আপনি পুরো গল্পে রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরেছেন। তাহলে কী কেন্দ্রিয় চরিত্রে নারী কাস্টিং থাকায় এমনটা হয়েছে?
গল্পটা আসলে সাবরিনাকে নিয়েই। এখানে মূল যে দুটি চরিত্র তারা নারী এবং তারাই কেন্দ্রীয় চরিত্র। নামকরণও তাই করা হয়েছে ‘সাবরিনা’। তবে আমি যখন গল্প বলি, সেটি ‘মহানগর’ ওয়েব সিরিজ হোক বা টেলিভিশনে শেষ যে কয়টি কাজ করেছি সেখানেও বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক অবস্থার প্রতিফলন রাখার চেষ্টা ছিল সবসময়। সেই জায়গা থেকে ‘সাবরিনা’তে দুই নারীর গল্পের মাধ্যমে দেশের বর্তমান সামাজিক রাজনৈতিক চিত্র তুলে ধরেছি। একটা দেশে রাজনৈতিক ও সামাজিক অস্থিরতার শিকার সবচেয়ে বেশি হয় নারীরা। অতি সম্প্রতি টিপ পরা নিয়েও একজন নারী হেনস্থার শিকার হয়েছেন। পুরো বিষয়টাই আসলে রাজনৈতিক। কখনো হয়তো ধর্মীয় রাজনৈতিক, কখনো সামাজিক রাজনৈতিক, আবার কখনো রাষ্ট্রীয় রাজনীতির শিকার আমরা। ‘সাবরিনা’ র পটভূমি এবং গল্পও তাই। আর এটি এখন পর্যন্ত আমার নির্মিত সবচেয়ে শক্তিশালী পলিটিক্যাল গল্প। আমি চেয়েছিলাম দর্শক নিজেই আবিস্কার করুক সেটা সিরিজ দেখতে দেখতে। তাই হয়েছে। দর্শকই বলছে সমকালীন রাজনৈতিক দুর্বিত্তায়নের প্রেক্ষাপটের মধ্য দিয়ে দুই নারীর এক শক্তিশালী গল্প ‘সাবরিনা’।
ওটিটি প্ল্যাটফর্ম আসার পর আপনি দেশের গল্পে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট যেভাবে দেখাতে পারছেন, টেলিভিশনে এমনটা দেখাতে পারতেন?
অবশ্যই না। আমাদের এখানে টেলিভিশন পৃথিবীর অন্যান্য দেশের টেলিভিশনের মত স্বাধীনচেতা না। একটা ভয়ের সংস্কৃতি এখন অনেক বেশি চলমান। রাষ্ট্রীয় সেন্সরশীপ এর ভয়ে সেল্ফ সেন্সরশীপ জেঁকে বসেছে টেলিভিশনের মাঝেই। তাই মূলত সংবাদ আর নিছক বিনোদন নির্ভর কন্টেন্ট দিয়েই তাই চলছে টেলিভিশন। কারণ যেকোনো সময় যেকোনো কনটেন্টের ওপর রাষ্ট্রীয় এবং সামাজিক বাঁধা আসার আশঙ্কাও রয়েছে। এছাড়া টেলিভিশন এখন পুরোটাই স্পনসর নির্ভর। স্পনসররাও রিস্কি কন্টেন্টের চ্যালেঞ্জ নিতে চান না, ফাইন্যান্স করতে চান না। আর ওটিটির সুবিধা এটি দর্শককে সাবস্ক্রিপশন নিয়ে দেখতে হয়। এখানে দর্শক স্বেচ্ছায় টাকা খরচ করে এমন কিছু দেখতে চান যা ফ্রি মিডিয়ামে (টিভি, ইউটিউব) এ সে দেখতে পায় না। এখানে দর্শক প্রিমিয়াম কন্টেন্ট খোঁজে। তাই এখানে কানেক্ট করতে পারে এমন সাহসী এবং ভিন্ন ধরনের গল্পের চাহিদা বেশি।
মহানগর’-এর মতো ‘সাবরিনা’ও শেষ করলেন না। দ্বিতীয় সিজন নিয়ে কী পরিকল্পনা?
‘সাবরিনা’ নির্মাণের শুরু থেকেই এটি দ্বিতীয় সিজনের পরিকল্পনা করেই এগোনো। প্রথম সিজন ছিল সূত্রধরের মত। যে কয়টি গল্প দেখানো হয়েছে সবগুলো আরও খোলতাই করে পরবর্তীতে দেখা যাবে। আসলে একটা গল্পকে তো চাইলে যেকোন সময় শেষ করা যায়। ‘সাবরিনা’কেও হয়ত ৮ পর্বে শেষ করতে পারতাম। কিন্তু সেটা চাইনি আমি কারণ ‘সাবরিনা’র ব্যাপ্তি অনেক বড়। পরবর্তী সিজন এলে দর্শক সেটা আরও ভালো বুঝতে পারবেন। শিগগিরই দ্বিতীয় সিজনের গল্প লেখার কাজ শুরু করব।
ছোটপর্দায় এই ধরনের গল্প দেখার পর দর্শকদের মধ্যে আপনার সিনেমাও দেখার আগ্রহও তৈরি হয়েছে। সেই খবর কবে দিচ্ছেন?
আমার প্রথম সিনেমা ‘গোল্লা’ নিয়ে ২০১৯ থেকে কাজ শুরু করি। কিন্তু মহামারির কারণে এর সব পরিকল্পনা ওলোটপালট হয়ে যায়। ‘সাবরিনা’ পোস্ট প্রোডাকশনের কাজের সময় ‘গোল্লা’ নিয়ে আবারও পরিকল্পনা শুরু করি। এখন তো ‘মহানগর’ এবং ‘সাবরিনা’ দুটি সিরিজের দ্বিতীয় সিজনের কাজ বাকি। আরও কিছু ওটিটি কন্টেন্টের ব্যাপারেও কথা চলছে। দেখা যাক কবে নাগাদ পুরোপুরি সিনেমার কাজে হাত দিতে পারি।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবসের বিশেষ নাটক ‘নিহত নক্ষত্র’
ওয়েব দুনিয়ায় আফসানা মিমির অভিষেক
বিয়ে বাড়িতে হলো ‘গুণিন’ সিনেমার প্রিমিয়ার!
২ বছর আগে
জনগণের কণ্ঠরোধ করতেই দুটি নীতিমালা হচ্ছে: বিএনপি
সরকার নিজেদের দুর্নীতি ও অপশাসনের তথ্য গোপন এবং জনগণের কণ্ঠ রোধ করতে ডিজিটাল ও সামাজিক মিডিয়া এবং ওটিটি প্ল্যাটফর্মের জন্য দুটি 'দমনমূলক নীতিমালা' প্রণয়ন করছে বলে মন্তব্য করেছে বিএনপি।
শনিবার গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জনগণের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা অক্ষুন্ন রাখতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের আহ্বান জানিয়ে এ মন্তব্য করেন।
দলটি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছে, দুটি নীতিমালা কার্যকর হলে দেশের জনগণের মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং অনলাইন ভিত্তিক স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক মিডিয়া, সাংবাদিক ও তাদের গোপনীয়তা বাধাগ্রস্ত হবে এবং মানবাধিকার উপেক্ষিত হবে।
আরও পড়ুন: মূল্যবৃদ্ধির পেছনে আ’লীগ জড়িত: ফখরুল
উক্ত দুটি নতুন নীতিমালা হল তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় কর্তৃক খসড়াকৃত ডিজিটাল, সোশ্যাল মিডিয়া ও ওটিটি প্ল্যাটফর্মের জন্য বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন রেগুলেশন, ২০২১ এবং ওভার দ্য টপ বিষয়বস্তু-ভিত্তিক পরিষেবা সরবরাহ ও ব্যবস্থাপনা এবং বিজ্ঞাপন নীতিমালা ২০২১।
ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা, ভোট ডাকাতি, মানবাধিকার লঙ্ঘন, জোরপূর্বক গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড প্রতিরোধে এসব দমনমূলক নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মানুষের ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করাই বিএনপির দায়িত্ব: গয়েশ্বর
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির বিরুদ্ধে জনগণের আওয়াজকে দমন করতেও সরকার এ নীতিমালা ব্যবহার করবে।
এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপি নেতা বলেন, সরকার উক্ত দুটি নীতিমালা বাস্তবায়ন করলে তাদের দল সরকারের বিরুদ্ধে কর্মসূচি হাতে নিবে।
ফখরুল বলেন, এসব নীতিমালা প্রণয়নের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হল সত্যকে আড়াল করে মিথ্যা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে জনগণকে নীরব করে একদলীয় বাকশাল শাসন টিকিয়ে রাখা।
আরও পড়ুন: দেশে নীরব ‘দুর্ভিক্ষ’ চলছে: বিএনপি
২ বছর আগে
রুদ্র দ্য এইজ অব ডার্কনেস: ওটিটি প্ল্যাটফর্মে সুপারস্টার অজয় দেবগন
রুদ্র দ্য এইজ অব ডার্কনেস দিয়ে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে আত্মপ্রকাশ করলেন বলিউড সুপারস্টার অজয় দেবগন। গত ৪ মার্চ ২০২২ শুক্রবার বিখ্যাত ডিজনী প্লাস হটস্টারে সম্প্রচারিত হলো ওয়েব সিরিজটি। শুভ মহরোতের দিন থেকেই ভক্ত ও সমালোচকদের প্রশংসায় ভাসছে ওটিটি প্রোগ্রামটি। ওয়েব সিরিজের জনপ্রিয় ট্রেন্ডের সাথে একীভূত হয়ে অজয় দেবগনের চিরায়ত পুলিশি ভূমিকা সাদরে গ্রহণ করলেন দর্শকরা। রহস্য, উত্তেজনা ও নাটকীয়তায় ওয়েব কন্টেন্টটি ভারতীয় ভিডিও স্ট্রীমিং সাইটটির সর্বোচ্চবার দেখা প্রোগ্রাম হিসেবে কন্টেন্ট টপচার্টে অবস্থান করছে। চলুন, নতুন সিরিজটির ব্যাপারে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।
রুদ্র দ্য এইজ অব ডার্কনেস-এর চিত্রনাট্য
সিরিজটি মুম্বাই কেন্দ্রিক এক অন্ধকার জগতের প্রেক্ষাপটে রচিত। একদিকে অত্যন্ত বুদ্ধিমান অপরাধী আরেকদিকে তাদের পিছু গোয়েন্দাদের ধাওয়া করার ঘটনাকে নাট্যরূপ দেয়া হয়েছে এখানে। প্রতিটি পর্বে নতুন নতুন হুমকিগুলো যেন একেকটা টাইম বম্ব। যে কোন সময় বিস্ফোরণের পূর্বাভাসে শিরদাঁড়া বেয়ে হিম শীতল অনুভূতির যোগান দেয়।
শিরোনামের রুদ্র পুলিশের একজন ডেপুটি কমিশনার বা ডিসিপি। তুখোড় অপরাধী ও খুনিদের অনুসরণ করতে যেয়ে তার বন্ধুত্ব হয় ডক্টর আলিয়া চোকসির সাথে। ধীরে ধীরে অন্ধ জগতের অলিতে গোলিতে সাইকোপ্যাথিক গোলকধাঁধায় জড়িয়ে যেতে থাকে গোয়েন্দা রুদ্র বীর সিং।
আরও পড়ুন: প্রথমবারের মতো নুসরাত ফারিয়ার বিপরীতে যশ
ব্রিটিশ লেখক নীল ক্রসের বইয়ের উপর নির্মিত টিভি সিরিজ লুথার-এর বলিউড ভার্সন এই রুদ্র দি এইজ অফ ডার্কনেস।
রুদ্র দ্য এইজ অব ডার্কনেস-এর নেপথ্যে যারা আছেন
ওয়েব সিরিজটি পরিচালনা করেছেন রাজেশ মাপুস্কার। খুব অল্প বয়সে চিত্রজগতে আসা এই ভারতীয় পরিচালক কাজ করেছেন মুন্না ভাই এমবিবিএস ও থ্রি ইডিয়টসের মত ব্লকবাস্টার সিনেমাগুলোতে। তাঁর ২০১৬ সালের মারাঠি ভাষার চলচ্চিত্র ভেন্টিলেটরের জন্য তিনি সেরা পরিচালক হিসেবে ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। এই সিরিজে তাঁর পরিচালনা ইতোমধ্যে দর্শক সহ চলচ্চিত্র সমালোচকদের থেকে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে।
সিরিজটির সঙ্গীত আয়োজনে ছিলেন সিদ্ধার্থ পাণ্ডিত ও জাপজীসিং ভালেছা। অন্তরা লাহিড়ীর সম্পাদনায় সিরিজটি নিজের একটি সপ্রতিভ অবস্থান তৈরি করেছে ভারতের আধুনিক ধারাবাহিকগুলোর মধ্যে। সামগ্রিক ভাবে সিরিজটির প্রযোজনায় ছিলেন ভারতের স্বনামধন্য মিডিয়া ব্যবসায়ীদের মধ্যে অন্যতম ব্যক্তিত্ব সামীর নায়ার।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের আগেই বাংলাদেশে মুক্তি পাচ্ছে ‘দ্য ব্যাটম্যান’
২ বছর আগে
মুক্তি পাচ্ছে মনোজ প্রামাণিকের ‘একজন তেলাপোকা’
অভিনয়ের জন্য গল্প বাছাইয়ের ক্ষেত্রে অভিনেতা মনোজ প্রামাণিক বরাবরই প্রশংসিত। নতুন বছরটা শুরু করলেন তেমনই একটি কাজ দিয়ে। ওটিটি প্ল্যাটফর্ম ‘চরকি’তে ৬ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) রাত ৮টায় মুক্তি পাবে তার অভিনীত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘একজন তেলাপোকা’।
চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করেছেন তরুণ পরিচালক গোলাম মুনতাকিম। গল্পে দেখা যাবে আসলাম (মনোজ) একজন রিকশাচালক। দুর্ঘটনায় পড়ে সে তার রুটিরুজির একমাত্র সম্বল তার রিকশা হারায়। উদ্দেশ্যহীনভবে ঘুরতে ঘুরতে একদিন কুড়িয়ে পাওয়া একটি জিনিস তার জীবন পাল্টে দেয়।
মনোজ প্রামাণিক বলেন, ‘এই কাজটা আমার মনের খুব কাছের একটা কাজ। আমাদের প্রোডাকশন হাউজ মনপাচিত্রের এটা প্রথম শ্যুট করা কাজ। গল্পের দিক থেকে এটা বেশ ইউনিক। আশা করছি, দর্শকরা চরকিতে শর্টফিল্মটা বেশ উপভোগ করবে।’
আরও পড়ুন: গুঞ্জন সত্যি করে বিয়ে করলেন বিদ্যা সিনহা মিম
প্রথম নির্মাণ নিয়ে পরিচালক মুনতাকিম বলেন, ‘কাজটা করার সময় অনেক ধরনের বাধা-বিপত্তি আসছে। বিশেষ করে আমরা যে লোকেশনে শ্যুট করেছি সেই জায়গাটা অনেক চ্যালেঞ্জিং ছিল। সব মিলিয়ে আমরা চেষ্টা করেছি কাজটা সততার সঙ্গে করার।’
এই স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে আরও অভিনয় করেছেন শতাব্দী ওয়াদুদ, নাসির উদ্দিন খান, তাসনুভা তিশা, এস এম তুষার, হুমায়রা স্নিগ্ধা, আহসাবুল ইয়ামিন রিয়াদ ও মুনসিফ উজ জামান প্রমুখ।
আরও পড়ুন: সায়েন্স ফিকশন সিনেমায় জুটি বাঁধলেন নিরব-স্পর্শিয়া
২ বছর আগে
নতুন বছরে প্রথম ওয়েব ফিল্মে হিমি
নাটক, বিজ্ঞাপন ও ওয়েব কনটেন্ট নিয়ে বেশ ব্যস্ততায় দিন কাটাচ্ছেন অভিনেত্রী জান্নাতুল সুমাইয়া হিমি। তাকে এবার দেখা যাবে ওয়েব ফিল্মে। বড়পর্দায় না হলেও ক্যারিয়ারের প্রথম সিনেমা নিয়ে উচ্ছ্বসিত তিনি। বলা যায়, বছরের শেষটা এই তারকার ষোল আনা পূর্ণ হলো।
হিমির নতুন বছর শুরু হবে ‘দ্য হোলি গান’ শিরোনামে ওয়েব ফিল্ম দিয়ে। যেটি নির্মাণ হবে কয়েকজন নারীর ভিন্ন ভিন্ন গল্প নিয়ে। যার একজন এই অভিনেত্রী।
‘দ্য হোলি গান’ প্রসঙ্গে হিমি বলেন, ‘দেশের একটি ওটিটি প্ল্যাটফর্মের জন্য ওয়েব ফিল্মটি নির্মিত হবে। বিস্তারিত আগামী মাসে অফিশিয়ালি জানানো হবে। এখানে আমি ছাড়া আরও কয়েকজন অন্য নারীর চরিত্রগুলো করবেন।’
আরও পড়ুন: তিশার কোলে আসছেন নতুন অতিথি
অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘সিনেমা মানেই বড় কিছু। ক্যারিয়ারের প্রথম কাজ। সেভাবে প্রস্তুতি নিয়েই ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানো চেষ্টা করব। নতুন বছরে নতুন এক উদ্যোগ নিয়ে কাজটি করতে পারব আশা করি।’
২০২২ হিমির জন্য বিশেষ একটি বছর। একদিকে প্রথম সিনেমা, অন্যদিকে গ্র্যাজুয়েট হচ্ছেন তিনি। তাই বছরটা শুধু কাজ করে নয়, পরিবার নিয়েও ঘুরে বেড়াতে চান এই তারকা।
হিমি বলেন, ‘২০২২ সালে আমার গ্র্যাজুয়েশন শেষ হচ্ছে। অনেকটা প্রেশার কমবে। বছরটা কাজের পাশাপাশি নিজেকে সময় দিতে চাই। আর পরিবারকে নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।’
নতুন বছর মানে তারকাদের ক্যারিয়ার নিয়ে নতুন পরিকল্পনা। হিমি এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘খুব দ্রুত এগিয়ে যেতে চাই না। এখনও শেখার সময় আমার। চাওয়া থাকবে, এমন কিছু কাজ যেন করতে পারি যেগুলোর মধ্য দিয়ে শেখার পরিধিটা বাড়বে।’
পড়ুন: বছরের আলোচিত ৫ বাংলা ওয়েব সিরিজ
সেন্সর পেল সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত ‘শান’
২ বছর আগে