শিক্ষা
এইচএসসি পরীক্ষার ফল: ৬৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কেউ পাস করেনি
২০২৪ সালের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষায় দেশের ৬৫টি কলেজ থেকে কেউ পাস করতে পারেনি।
গত বছর এ সংখ্যা ছিল ৪২টি। সেই হিসাবে এবার কেউ পাস করেনি এমন কলেজের সংখ্যা ২৩টি বেড়েছে।
৯টি সাধারণ, মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ড মিলিয়ে ১১টি শিক্ষা বোর্ডে গড় পাসের হার ৭৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) বেলা ১১টায় সব বোর্ডের ওয়েবসাইট ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একযোগে এ ফল প্রকাশ করা হয়।
এ বছর জিপিএ-৫ পেয়েছে এক লাখ ৪৫ হাজার ৯১১ জন শিক্ষার্থী।
সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৭৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ, মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ডে পাসের হার ৯৩ দশমিক ৪০ শতাংশ ও ৮৮ দশমিক ০৯ শতাংশ।
এ বছর জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৯১১ শিক্ষার্থী যা গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি। গত বছর পেয়েছিল ৯২ হাজার ৫৯৫ জন।
পাসের হারের দিক থেকে সবচেয়ে এগিয়ে আছে সিলেট আর সবচেয়ে পিছিয়ে আছে ময়মনসিংহ।
পাসের হার সিলেট বোর্ডে ৮৫ দশমিক ৩৮ শতাংশ, বরিশালে ৮১ দশমিক ৮৫ শতাংশ, রাজশাহীতে ৮১ দশমিক ২৪ শতাংশ, ঢাকায় ৭৯ দশমিক ২১ শতাংশ, দিনাজপুরে ৭৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ, কুমিল্লায় ৭১ দশমিক ১৫ শতাংশ, চট্টগ্রামে ৭০ দশমিক ৩২ শতাংশ, যশোরে ৬৪ দশমিক ২৯ শতাংশ এবং ময়মনসিংহে ৬৩ দশমিক ২২ শতাংশ।
চলতি বছরে ২ হাজার ৬৯৫টি কেন্দ্রে ৯ হাজার ১৯৭ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১৩ লাখ ৩১ হাজার ৫৮ জন পরীক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছিল, যার মধ্যে সফলভাবে উত্তীর্ণ হয়েছে ১০ লাখ ৩৫ হাজার ৩০৯ জন।
গত ৩০ জুন এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়। প্রথম প্রকাশিত রুটিন অনুযায়ী- ৮ দিন পরীক্ষা হওয়ার পর কোটাসংস্কার আন্দোলন ঘিরে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ১৮ জুলাইয়ের সব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। এরপর তিন দফায় পরীক্ষা স্থগিত করে সরকার।
বাতিল পরীক্ষাগুলোতে এসএসসি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীর প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে এইচএসসিতেও একই নম্বর দিয়ে ফল তৈরি করেছে শিক্ষা বোর্ড। তাছাড়া বিভাগ ও বিষয়ে মিল না থাকলে সেক্ষেত্রে সাবজেক্ট ম্যাপিং নীতিমালা অনুসরণ করা হয়েছে।
৪৪০ দিন আগে
ময়মনসিংহে আইসিটি ও ইংরেজিতে অকৃতকার্যের কারণে কমেছে পাসের হার
ময়মনসিংহে এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় ৬৩ দশমিক ২২ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ হাজার ৮২৬ জন।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১১টায় বোর্ড চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. আবু তাহের এক সংবাদ সম্মেলনে ফলাফল ঘোষণা করেন।
তিনি জানান, এবার ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডে ৭৭ হাজার ৬২১ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাস করেছে ৪৯ হাজার ৬৯ জন। ফেল করেছে ২৮ হাজার ৫৫২ জন।
পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে এবারও এগিয়ে রয়েছে মেয়েরা। ছেলেরা জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ হাজার ১০৯ জন এবং মেয়েরা পেয়েছে ২ হাজার ৭১৭ জন।
আরও পড়ুন: এইচএসসির ফলাফলে চমক দেখালো সিলেটের শিক্ষার্থীরা
গত বছর এই বোর্ডে পাসের হার ছিল শতকরা ৭০ দশমিক ৪৪ শতাংশ। এবার পাসের হার কমেছে ৭ দশমিক ২২ শতাংশ।
এবার আইসিটি ও ইংরেজিতে অকৃতকার্যের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় পাশের হার কমেছে বলে জানান বোর্ড চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. আবু তাহের।
তিনি বলেন, এ ব্যাপারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধানদের সঙ্গে আমরা মতবিনিময় করব। যাতে ভালো করে পাঠদান করে পাশের হার বাড়ানো যায়। এ বিষয়ে শিক্ষকদের উচ্চতর প্রশিক্ষণ দিয়ে আরও দক্ষ করে তুলতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে সুপারিশ করা হবে।
ব্যক্তিগতভাবে বোর্ডের পক্ষ থেকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনায় বসবেন বলেও জানান তিনি।
এছাড়াও ময়মনসিংহ বিভাগের ৪ জেলার মোট ২৯৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৫টি প্রতিষ্ঠানের শতভাগ পরীক্ষার্থী কৃতকার্য হয়েছে এবং ৪টি প্রতিষ্ঠানের সব পরীক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়েছে।
আরও পড়ুন: বরিশালে বেড়েছে পাসের হার ও জিপিএ-৫
৪৪০ দিন আগে
এইচএসসির ফলাফলে চমক দেখালো সিলেটের শিক্ষার্থীরা
চলতি বছরে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় সর্বোচ্চ পাসের হার সিলেট মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডে। সিলেটের পাসের হার ৮৫ দশমিক ৩৯ শতাংশ। গত বছর এইচএসসি পরীক্ষায় সিলেট বোর্ডে পাসের হার ছিল ৭৩ দশমিক ৭ শতাংশ। সেই হিসাবে এবার পাসের হার প্রায় ১২ শতাংশ বেড়েছে।
সিলেট শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এবারের এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা, পাসের হার এবং জিপিএ-৫ প্রাপ্তি সব ক্ষেত্রেই এগিয়ে রয়েছে মেয়েরা।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) এইচএসসি ও সমমানের প্রকাশিত ফলাফলে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
এদিন বেলা ১১টার দিকে সিলেট শিক্ষা বোর্ডের সম্মেলনকক্ষে ফল প্রকাশ করেন সিলেট শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. জাকির আহমদ।
পরে বিস্তারিত ফলাফল তুলে ধরেন বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অরুন চন্দ্র পাল।
আরও পড়ুন: এইচএসসির ফলাফলে এগিয়ে আছে মেয়েরা
ফলাফলে দেখা যায়, সিলেট শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসির পরীক্ষায় এবার অংশ নিয়েছে ৮৩ হাজার ১৫৬ জন অংশ নিয়ে ৭১ হাজার ১২ জন পাস করেছে।
এর মধ্যে ছাত্রী ৪৯ হাজার ৩৫৪ জন। এর মধ্যে পাস করেছে ৪২ হাজার ৬৬১ জন। পাসের হার ৮৬ দশমিক শূন্য ৪৪। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ হাজার ৮২৯ জন।
অন্যদিকে ছাত্রদের মধ্যে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে ৩৩ হাজার ৮১১ জন। এর মধ্যে পাস করেছে ২৮ হাজার ৩৫১ জন। পাসের হার ৮৩ দশমিক ৮৫। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ হাজার ৮৬৯ জন।
এছাড়াও গত বছরের তুলনায় সিলেটে পাসের হার ও জিপিএ-৫ দুটিই বেড়েছে। এবার সিলেট বোর্ডে পাসের হার ৮৫ দশমিক ৩৯। যা গত বছরের তুলনায় ১৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ বেশি। গত বছর পাসের হার ছিল ৭১ দশমিক ৬২। গত কয়েক বছর সিলেটে জিপিএ কম থাকলেও এবছর রেকর্ড ৬ হাজার ৬৯৮ জন জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন। গত বছর জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১ হাজার ৬৯৯ জন শিক্ষার্থী।
প্রকাশিত ফলাফল অনুযায়ী, পাসের হারে এ বছর শীর্ষে থাকা সিলেট বোর্ডের পরেই রয়েছে বরিশাল বোর্ড। বরিশালে পাসের হার ৮১ দশমিক ৮৫ শতাংশ। তার কাছাকাছি অবস্থানে রাজশাহী বোর্ডও। রাজশাহীতে পাসের হার ৮১ দশমিক ২৪ শতাংশ।
পাসের হারে এরপর পর্যায়ক্রমে রয়েছে ঢাকা বোর্ড ৭৯ দশমিক ২১ শতাংশ, দিনাজপুরে ৭৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ, কুমিল্লায় ৭১ দশমিক ১৫ শতাংশ, চট্টগ্রামে ৭০ দশমিক ৩২ শতাংশ, যশোরে ৬৪ দশমিক ২৯ শতাংশ।
এদিকে, ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড এবং মাদরাসা ও কারিগরি মিলিয়ে ১১টি বোর্ডের হিসাবে পাসের হারে সবচেয়ে এগিয়ে মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড। এ বছর এ বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত আলিম পরীক্ষায় পাসের হার ৯৩ দশমিক ৪০ শতাংশ। এরপরই অবস্থান করছে কারিগরি বোর্ড, সেখানে পাসের হার ৮৮ দশমিক ০৯ শতাংশ।
গত ৩০ জুন এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়। প্রথম প্রকাশিত রুটিন অনুযায়ী- ৮ দিন পরীক্ষা হওয়ার পর কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ১৮ জুলাইয়ের সব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। এরপর তিন দফায় পরীক্ষা স্থগিত করে সরকার।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর ১১ আগস্ট থেকে নতুন সময়সূচিতে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। তবে স্থগিত পরীক্ষাগুলো না নিতে আন্দোলনে নামেন একদল পরীক্ষার্থী।
তাদের দাবি ছিল, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরীক্ষা বন্ধ থাকার বিষয়টি তাদের মানসিক চাপে ফেলেছে। তাই অবশিষ্ট পরীক্ষাগুলো বাতিল করতে হবে। একপর্যায়ে পরীক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে স্থগিত পরীক্ষাগুলো বাতিল করা হয়।
বাতিল পরীক্ষাগুলোতে এসএসসি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীর প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে এইচএসসিতেও একই নম্বর দিয়ে ফল তৈরি করে শিক্ষা বোর্ড। তাছাড়া বিভাগ ও বিষয়ে মিল না থাকলে সেক্ষেত্রে সাবজেক্ট ম্যাপিং নীতিমালা অনুসরণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ: পাসের হার ৭৭.৭৮ শতাংশ, ১ লাখ ৪৫ হাজার জিপিএ-৫
৪৪০ দিন আগে
এইচএসসির ফলাফলে এগিয়ে আছে মেয়েরা
চলতি বছরের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষায় পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে এগিয়ে আছে মেয়েরা।
৯টি সাধারণ, মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ড মিলিয়ে ১১টি শিক্ষা বোর্ডে গড় পাসের হার ৭৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ। এর মধ্যে ছাত্রীদের পাসের হার ৭৯ দশমিক ৯৫ শতাংশ। অন্যদিকে ছাত্রদের পাসের হার ৭৫ দশমিক ৬১ শতাংশ।
মেয়েরা ছেলেদের চেয়ে জিপিএ-৫ পাওয়ার ক্ষেত্রেও এগিয়ে রয়েছে। ১ লাখ ৪৫ হাজার ৯১১ জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের মধ্যে ছাত্রী ৮০ হাজার ৯৩৩ জন আর ছাত্র ৬৪ হাজার ৯৭৮ জন।
এবছর পাসের হার কিছুটা কমেছে। গত বছর ১১টি বোর্ডে গড় পাসের হার ছিল ৭৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ যা এ বছর ৭৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
আরও পড়ুন: এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ: পাসের হার ৭৭.৭৮ শতাংশ, ১ লাখ ৪৫ হাজার জিপিএ-৫
সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৭৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ, মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ডে পাসের হার ৯৩ দশমিক ৪০ শতাংশ ও ৮৮ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) বেলা ১১টায় সব বোর্ডের ওয়েবসাইট ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একযোগে এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ করা হয়।
পাসের হারের দিক থেকে সবচেয়ে এগিয়ে আছে সিলেট আর সবচেয়ে পিছিয়ে আছে ময়মনসিংহ।
পাসের হার সিলেট বোর্ডে ৮৫ দশমিক ৩৮ শতাংশ, বরিশালে ৮১ দশমিক ৮৫ শতাংশ, রাজশাহীতে ৮১ দশমিক ২৪ শতাংশ, ঢাকায় ৭৯ দশমিক ২১ শতাংশ, দিনাজপুরে ৭৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ, কুমিল্লায় ৭১ দশমিক ১৫ শতাংশ, চট্টগ্রামে ৭০ দশমিক ৩২ শতাংশ, যশোরে ৬৪ দশমিক ২৯ শতাংশ এবং ময়মনসিংহে ৬৩ দশমিক ২২ শতাংশ।
চলতি বছরে ২ হাজার ৬৯৫টি কেন্দ্রে ৯ হাজার ১৯৭ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১৩ লাখ ৩১ হাজার ৫৮ জন পরীক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছিল, যার মধ্যে সফলভাবে উত্তীর্ণ হয়েছে ১০ লাখ ৩৫ হাজার ৩০৯ জন।
গত ৩০ জুন এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়। প্রথম প্রকাশিত রুটিন অনুযায়ী- ৮ দিন পরীক্ষা হওয়ার পর কোটাসংস্কার আন্দোলন ঘিরে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ১৮ জুলাইয়ের সব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। এরপর তিন দফায় পরীক্ষা স্থগিত করে সরকার
বাতিল পরীক্ষাগুলোতে এসএসসি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীর প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে এইচএসসিতেও একই নম্বর দিয়ে ফল তৈরি করেছে শিক্ষা বোর্ড। তাছাড়া বিভাগ ও বিষয়ে মিল না থাকলে সেক্ষেত্রে সাবজেক্ট ম্যাপিং নীতিমালা অনুসরণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আগামীকাল যেভাবে জানা যাবে এইচএসসির ফলাফল
৪৪০ দিন আগে
এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ: পাসের হার ৭৭.৭৮ শতাংশ, ১ লাখ ৪৫ হাজার জিপিএ-৫
২০২৪ সালের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে।
৯টি সাধারণ, মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ড মিলিয়ে ১১টি শিক্ষা বোর্ডে গড় পাসের হার ৭৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) বেলা ১১টায় সব বোর্ডের ওয়েবসাইট ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একযোগে এ ফল প্রকাশ করা হয়।
সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৭৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ, মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ডে পাসের হার ৯৩ দশমিক ৪০ শতাংশ ও ৮৮ দশমিক ০৯ শতাংশ।
এ বছর জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৯১১ শিক্ষার্থী যা গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি। গত বছর পেয়েছিল ৯২ হাজার ৫৯৫ জন।
আরও পড়ুন: আগামীকাল যেভাবে জানা যাবে এইচএসসির ফলাফল
পাসের হারের দিক থেকে সবচেয়ে এগিয়ে আছে সিলেট আর সবচেয়ে পিছিয়ে আছে ময়মনসিংহ।
পাসের হার সিলেট বোর্ডে ৮৫ দশমিক ৩৮ শতাংশ, বরিশালে ৮১ দশমিক ৮৫ শতাংশ, রাজশাহীতে ৮১ দশমিক ২৪ শতাংশ, ঢাকায় ৭৯ দশমিক ২১ শতাংশ, দিনাজপুরে ৭৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ, কুমিল্লায় ৭১ দশমিক ১৫ শতাংশ, চট্টগ্রামে ৭০ দশমিক ৩২ শতাংশ, যশোরে ৬৪ দশমিক ২৯ শতাংশ এবং ময়মনসিংহে ৬৩ দশমিক ২২ শতাংশ।
চলতি বছরে ২ হাজার ৬৯৫টি কেন্দ্রে ৯ হাজার ১৯৭ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১৩ লাখ ৩১ হাজার ৫৮ জন পরীক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছিল, যার মধ্যে সফলভাবে উত্তীর্ণ হয়েছে ১০ লাখ ৩৫ হাজার ৩০৯ জন।
গত ৩০ জুন এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়। প্রথম প্রকাশিত রুটিন অনুযায়ী- ৮ দিন পরীক্ষা হওয়ার পর কোটাসংস্কার আন্দোলন ঘিরে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ১৮ জুলাইয়ের সব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। এরপর তিন দফায় পরীক্ষা স্থগিত করে সরকার।
বাতিল পরীক্ষাগুলোতে এসএসসি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীর প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে এইচএসসিতেও একই নম্বর দিয়ে ফল তৈরি করেছে শিক্ষা বোর্ড। তাছাড়া বিভাগ ও বিষয়ে মিল না থাকলে সেক্ষেত্রে সাবজেক্ট ম্যাপিং নীতিমালা অনুসরণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: এইচএসসি’র ফল প্রকাশ ১৫ অক্টোবর
৪৪০ দিন আগে
আগামীকাল যেভাবে জানা যাবে এইচএসসির ফলাফল
২০২৪ সালের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে।
সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডগুলোর চেয়ারম্যানরা ফল ঘোষণা করবেন।
এ বছর সিলেট বিভাগ ছাড়া সারাদেশে ৩০ জুন থেকে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। বন্যার কারণে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সিলেট বিভাগে পরীক্ষা শুরু হয় ৯ জুলাই।
শিক্ষার্থীরা এসএমএস ও অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের মাধ্যমে তাদের ফলাফল দেখতে পারবেন।
আরও পড়ুন: এইচএসসি’র ফল প্রকাশ ১৫ অক্টোবর
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের (www.dhakaeducationboard.gov.bd) www.educationboardresults.gov.bd, or www.eduboardresults.gov.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে "Result"-এ ক্লিক করে প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের ইআইআইএন নম্বর দিয়ে রেজাল্ট শিট ডাউনলোড করতে পারবে। এছাড়াও, শিক্ষার্থীরা তাদের রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর ব্যবহার করে তাদের পৃথক ফলাফল শিট ডাউনলোড করতে পারেন।
বোর্ডের অফিসিয়াল অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপের মাধ্যমেও ফলাফল পাওয়া যাবে। এছাড়া যেসব শিক্ষার্থী এসএমএসের মাধ্যমে প্রাক-নিবন্ধন করবেন তারা সরাসরি মোবাইল ফোনে ফল জানতে পারবেন।
প্রাক-নিবন্ধন করতে শিক্ষার্থীদের যেকোনো মোবাইল অপারেটরের মেসেজ অপশনে গিয়ে (ইংরেজিতে) এইচএসসি<>বোর্ডের নাম (প্রথম ৩ অক্ষর)<>রোল<>বছর টাইপ করে পাঠাতে হবে ১৬২২২ নম্বরে।
পরীক্ষা শুরুর আট দিন পর, কোটা সংস্করণ আন্দোলন এবং পরবর্তী গণঅভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে এ বছর সমস্ত পরীক্ষা স্থগিত করা হয়।
এসএসসির ফলের ভিত্তিতে অন্যান্য বিষয়ের জন্য সাবজেক্ট ম্যাপিং পদ্ধতি ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
সারাদেশে ২ হাজার ২৭৫টি কেন্দ্রে ৯ হাজার ৪৬৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা বোর্ড ও কারিগরি বোর্ডের মোট ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল।
আরও পড়ুন: এইচএসসির ফল প্রকাশ শিগগিরই: শিক্ষা মন্ত্রণালয়
৪৪১ দিন আগে
শাবিপ্রবিতে অবাঞ্ছিত ও আজীবন নিষিদ্ধ সেই উর্মি!
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টাকে নিয়ে কটূক্তি, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত আবু সাঈদকে সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করে আলোচনায় আসেন লালমনিরহাটের সহকারী কমিশনার তাপসী তাবাসসুম উর্মি।
এ ঘটনার পর সাময়িক বরখাস্ত লালমনিরহাটের সহকারী কমিশনার, সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রী তাপসী তাবাসসুম উর্মিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে অবাঞ্ছিত ও আজীবন নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে শাবিপ্রবির সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, জুলাই বিপ্লবের শহীদ আবু সাইদকে সন্ত্রাসী আখ্যা দেওয়া, জুলাই-আগস্ট গণহত্যা তদন্ত সাপেক্ষ ও অমীমাংসিত বলে গণহত্যার সমর্থন করাসহ ফেসবুকে নানা বিভ্রান্তিকর লেখার মাধ্যমে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও বিপ্লবী ছাত্রজনতার বিপ্লবকে অস্বীকার করার জন্য শাবিপ্রবির সাবেক শিক্ষার্থী তাপসী তাবাসসুম উর্মিকে ক্যাম্পাসে আজীবন অবাঞ্চিত ও নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
এতে শাবিপ্রবি প্রশাসনের কাছে তাপসী তাবাসসুম উর্মীর সনদ বাতিলের দাবিও জানান শিক্ষার্থীরা।
এছাড়াও বর্তমান সরকারের কাছে শাবিপ্রবির সাধারণ শিক্ষার্থীরা দাবি করছে যে, তাপসী তাবাসসুম উর্মিকে দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে এসে বিচার করা হোক। জুলাই বিপ্লব অস্বীকার ও শহীদদের নিয়ে কটুক্তি এবং রাষ্ট্রদ্রোহের জন্য তার কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা হোক।
এর আগে বুধবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে সাময়িক বরখাস্ত সহকারী কমিশনার (নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট) তাপসী তাবাসসুমের (উর্মি) বিরুদ্ধে লালমনিরহাটে মানহানি ও রাষ্ট্রদ্রোহের এজাহার দায়ের করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি তাহিয়াতুল হাবিব মৃদুল।
আরও পড়ুন: সহকারী কমিশনার উর্মির বিরুদ্ধে মানহানি মামলার আবেদন
৪৪৪ দিন আগে
বিগত ১৫ বছরের অপরাধের বিচার কার্যক্রম শুরু করেছে বাকৃবি প্রশাসন
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) গত সাড়ে ১৫ বছরে ঘটে যাওয়া নির্যাতন, যৌন হয়রানি, র্যাগিং, ইভটিজিং, গেস্ট রুমে নির্যাতন, সিট বাণিজ্য এবং চাঁদাবাজির বিচার প্রক্রিয়া শুরু করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বিচার কার্যক্রমের শুরুতেই অনলাইন ও অফলাইন পদ্ধতিতে নির্ধারিত ফরম পূরণের মাধ্যমে অভিযোগ দায়ের করার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে।
বুধবার (৯ অক্টোবর) অফলাইনে নির্ধারিত ফরম পূরণের করে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ দায়েরের পদ্ধতি শুরু হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) থেকে অনলাইনেও অভিযোগ করতে পারবে শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে বেলা সাড়ে ১২টায় অভিযোগনামা বক্সের উদ্ভোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া।
আরও পড়ুন: পুলিশকে জনবান্ধব ফোর্সে রূপান্তরের নির্দেশ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার
শিক্ষার্থীদের বিচারের আশ্বাস দিয়ে অভিযোগ কার্যক্রমে তাদের সহযোগিতা কামনা করে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বাকৃবির গণতদন্ত কমিশন।
বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা যায়, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হওয়া শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন, যৌন হয়রানি, র্যাগিং, ইভটিজিং, গেস্ট রুমে নির্যাতন, সিট বাণিজ্য এবং চাঁদাবাজিসহ সব অন্যায়ের সুষ্ঠু বিচারের লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ দায়ের করার আহ্বান জানিয়েছে বাকৃবির তদন্ত কমিশন। গত সাড়ে ১৫ বছর সময়কালে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা এ অভিযোগ জানাতে পারবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে অনলাইন ফর্মপূরণ, অভিযোগ পত্রের ফর্ম ডাউনলোড করে হাতে পূরণ বা সরাসরি ফর্মটি হাতে লিখে প্রশাসন ভবন, ছাত্রবিষয়ক বিভাগ এবং কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে স্থাপিত নির্দিষ্ট অভিযোগ বাক্সের জমা দিতে পারবেন শিক্ষার্থীরা। বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে অভিযোগকারী শিক্ষার্থীদের পরিচয় এবং সার্বিক গোপনীয়তা রক্ষার বিষয়েও আশ্বাস দিয়েছেন তদন্ত কমিটির সদস্যরা। পাশাপাশি, অভিযুক্ত ব্যক্তি/ব্যক্তিবর্গ-কে চিহ্নিত করে শাস্তির সুপারিশের উদ্দেশ্যে আগামী ১০ নভেম্বরের মধ্যে নির্ধারিত ফর্ম পূরণ করে তদন্ত কমিটির নিকট অভিযোগ দায়েরের অনুরোধও জানানো হয়েছে।
অপরাধীদের শাস্তির বিষয়ে তদন্ত কমিশনের সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান সরকার বলেন, অভিযুক্তদের অপরাধ প্রমাণ হলে যথাযুক্ত শাস্তির জন্য সুপারিশ করা হবে। তবে অপরাধের মাত্রা বিবেচনায় চলমান শিক্ষার্থী অন্যারকারী হলে ছাত্রত্ব বাতিল, সাময়িক বহিষ্কার বা বহিষ্কারও করা হতে পারে। যদি অপরাধী চাকরিতেও চলে যায় তাকে/ তাদের সার্টিফিকেট বাতিলসহ ফৌজদারি মামলার জন্যও প্রশাসনকে সুপারিশ করবে তদন্ত কমিশন। আমাদের সঙ্গে আইনজীবী প্যানেলও থাকবে। তাদের পরামর্শ অনুযায়ী বিষয়টি ফৌজদারি মামলার অন্তর্ভুক্ত হলে সেভাবে আগানো হবে।
চাকরিতে চলে গেছেন বা বিদেশে অবস্থানরত সাবেক শিক্ষার্থীদের অভিযোগের বিষয়ে জানান, চলে যাওয়া শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে না এসেও অনলাইনে সংযোগ থেকে তাদের অভিযোগ কিংবা প্রমাণ দিতে পারবে। অন্যায়কারী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী হলে তার সার্টিফিকেট বাতিল বা তার কর্মক্ষেত্রে নোটিশ পাঠিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত ২২ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রোফরেস্ট্রি বিভাগের অধ্যাপক ড. জি এম মুজিবর রহমানকে সভাপতি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক, কৃষি সম্প্রসারণ শিক্ষা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান সরকারকে সদস্য সচিব করে এবং ময়মনসিংহ জজ কোর্টের আইনজীবী মো. খালেদ হোসেন টিপুকে উপদেষ্টা করে মোট ২৬ সদস্যের তদন্ত কমিশনটি গঠন করা হয়।
আরও পড়ুন: অনুপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
৪৪৫ দিন আগে
খালেদা জিয়ার ম্যুরাল স্থাপনের সিদ্ধান্তে জবিতে অস্থিরতা
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ম্যুরাল স্থাপনের সিদ্ধান্তের সরাসরি বিরোধিতা করছে ছাত্র সংসদের একাংশ।
শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে যেকোনো ধরণের ‘ব্যক্তি পূজা’র বিরোধিতা করেছে। তারা বিশ্বাস করে যে ম্যুরালটি ব্যক্তি পূজার নামান্তর।
তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর এক বিবৃতিতে স্পষ্ট করে জানিয়েছে, এটি কোনো ম্যুরাল নয়, এটি তার ছবি সম্বলিত একটি ফলক।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে ফলক বা ম্যুরাল স্থাপনের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন একদল শিক্ষার্থী।
সংবাদ সম্মেলনে তারা ঘোষণা দেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সিদ্ধান্ত বাতিল না করলে বুধবার তারা ম্যুরাল স্থাপনের বিরোধিতা করে একটি আবেদনে গণ সাক্ষর সংগ্রহ শুরু করবেন। রবিবার শিক্ষা উপদেষ্টার কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগসহ এই আবেদন জমা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। পাশাপাশি দাবি মানা না হলে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ারও হুঁশিয়ারি দেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী এ কে এম রাকিব বলেন, 'আমরা সম্প্রতি জেনেছি যে, ২০ অক্টোবর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ১১ ফুট লম্বা ম্যুরাল স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে আত্মপ্রচারের জন্য ম্যুরাল স্থাপনের রীতিকে জনপ্রিয় করে তোলার যে পথ হাসিনা দেখিয়েছিলেন প্রশাসন সেই পথেই হাঁটছে। আমরা মনে করি, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য এই ধরনের ব্যক্তি পূজাকে ব্যবহার করছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ইংরেজি বিভাগের ১৩তম ব্যাচের ফরহাদ হোসেন, লোক প্রশাসন বিভাগের ১৬তম ব্যাচের সূর্ণা আক্তার রিয়া ও ইংরেজি বিভাগের ১৭তম ব্যাচের সিফাত হাসান সাকিব।
জবাবে প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তাজামুল হক বলেন, 'প্রশাসনিক ভবনের সামনে শুধু একটি ছোট ফলক থাকবে, তাতে ম্যুরাল থাকবে না। যার জন্য ফলকটি লাগানো হচ্ছে, তিনি যদি এই বিতর্ক সম্পর্কে জানতেন, তাহলে তিনি নিজেও কষ্ট পেতেন।’
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ছাত্র বিষয়ক কমিটির সমন্বয়ক অধ্যাপক ড. রইচ উদ্দিন বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে ম্যুরাল সংস্কৃতির বিরুদ্ধে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে, এটি কোনও ম্যুরাল হবে না, তবে কেবল একটি ছবি সম্বলিত একটি ফলক হবে।’
৪৪৬ দিন আগে
বাকৃবি ও ম্যাভেরিক ইনোভেশনের সমঝোতা স্মারক সই
বাকৃবির সঙ্গে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান ম্যাভেরিক ইনোভেশনের শিক্ষা ও গবেষণায় সহযোগিতামূলক সম্পর্ক তৈরিতে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।
পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগের আয়োজনে বাকৃবির পশুপালন অনুষদের ডিন অফিসের সম্মেলন কক্ষে সোমবার (৭ অক্টোবর) ওই সমঝোতা স্মারক সই হয়।
আরও পড়ুন: পবিপ্রবির নতুন উপাচার্য বাকৃবির অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম
বাকৃবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেন, ম্যাভেরিক ইনোভেশনের দেখাদেখি অন্যান্য প্রতিষ্ঠান এগিয়ে আসলে কৃষক বা খামারিরাই লাভবান হবে। তার উৎপাদিত পণ্যের সঠিক মূল্য পাবে।
উপাচার্য বলেন, বাকৃবির গবেষণাগারে বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবিত ফলাফল মাঠ পর্যায়ে প্রয়োগ করতে না পারলে দেশের কোনো লাভ হবে না। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জনগণের টাকায় পড়াশোনা করছে।
উপাচার্য আরও বলেন, এই টাকার সঠিক মূল্যায়ন তখনই হবে যখন শিক্ষার্থীরা তাদের অর্জিত জ্ঞানকে মাঠ পর্যায়ে প্রয়োগের মাধ্যমে দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে। একটি প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তারা খুব সহজেই ওই সুযোগটি পেতে পারে।
ইউজিসির অধ্যাপক ড. সচ্ছিদান্দন দাস চৌধুরী বলেন, দেশের জন্য পশুপালন অনুষদের পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মূল কাজ শিক্ষার্থীদের শিক্ষাদান করা ও গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করা। সম্পূর্ণ গবেষণাভিত্তিক প্রতিষ্ঠান না হয়েও বাকৃবির গবেষকরা দেশের কল্যাণে অভূতপূর্ব অবদান রেখেছে।
তিনি আরও বলেন, বাকৃবি ও ম্যাভেরিক ইনোভেশনের সমঝোতা স্মারক সইয়ের মাধ্যমে দেশই প্রকৃতপক্ষে উপকৃত হবে। কারণ একত্রিত হয়ে কাজ করায় গবেষণার মান বৃদ্ধি পাবে, আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলেও সমাদৃত হবে।
তবে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রাণীর উৎপাদনমুখী গবেষণাকে এগিয়ে রাখার কথাও জানান অধ্যাপক ড. সচ্ছিদান্দন দাস।
ম্যাভেরিক ইনোভেশনের ড. কবির চৌধুরী বলেন, একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাখাতে সামর্থ্য অনেক বেশি। তবে নলেজ শেয়ারিং, যৌথভাবে কাজ করলে আরও অনেক বেশি কিছু অর্জন সম্ভব।
আরও পড়ুন: ওয়েবমেট্রিক্স র্যাংকিংয়ে দেশের সেরা বাকৃবি
৪৪৭ দিন আগে