রবিবার সকাল ৯টার দিকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে একটি র্যালি বের হয়। এ সময় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের ব্যানার, ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে বিক্ষোভে যোগ দিতে দেখা যায়।
এর আগে নগরীর অলোকার মোড়ে বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা জমায়েত হতে থাকে। এ সময় তাদের সাথে ছাত্র ফেডারেশন এবং সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট যুক্ত হয়। শিক্ষার্থীদের র্যালিটি নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে গিয়ে একটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, বুয়েটের মতো সর্বোচ্চ পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এক শিক্ষার্থীকে ৫ ঘণ্টা ধরে টর্চার করা হয়েছে। এতে নিশ্চিত বুয়েট প্রশাসনের পরোক্ষ মদদ রয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় এনে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করতে হবে।
তারা আরও বলেন, কেউ খুন হবার জন্য বা খুনি হবার জন্য কোথাও ভর্তি হয় না। বুয়েটে এর আগেও একাধিক শিক্ষার্থী খুন হয়েছে। এই খুনি হওয়ার প্রক্রিয়া বন্ধ করতে হবে। আববার হত্যার সাথে পূর্বে যারা হত্যা হয়েছিল তাদেরও সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
ছাত্রলীগের এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর বুয়েটে নতুন শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিয়ে অভিভাবকরা শঙ্কা প্রকাশ করছে বলে বক্তব্যে উল্লেখ করে শিক্ষার্থীরা।
ছাত্রলীগের নৃশংসতার শিকার হয়ে গত ৬ অক্টোবর দিবাগত মধ্যরাতে বুয়েটের ইলেকট্রিকাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ (২১) নিহত হন।