নিহত সাজেদুল ইসলাম (১৮) নাটোর জেলার নলডাঙ্গা থানার বাশিলা মধ্যপাড়া এলাকার মোস্তাক শাহর ছেলে ও সাভার তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের হরিণধরা এলাকার বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: আশুলিয়ায় জঙ্গল থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার
মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, বাবা-মায়ের সাথে হরিণধরা এলাকার ঈমান আলীর বাড়িতে ভাড়া থেকে স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করে আসছিলেন সাজেদুল। কিছুদিন আগে তার সাথে হরিণধরা এলাকার পেশাদার ছিনতাইকারী কাদের মিয়ার ছেলে মিলন (২৪), খোকন মিয়ার ছেলে শাওন (২২), ইব্রাহিম মিয়ার ছেলে ইমনের সাথে (২৩) পরিচয় হয়। তিন ছিনতাইকারী হরিণধরা ও বাগবাড়ি মোড় এলাকায় বিভিন্ন গার্মেন্টস শ্রমিকসহ নানা বয়সী মানুষের কাছ থেকে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা পয়সা ও মোবাইল ফোন ছিনতাই করলে সাজেদুল ইসলাম প্রতিবাদ করে। ওই তিন ছিনতাইকারী তাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। গত ২৮ ডিসেম্বর পোশাক কারখানা ছুটির পরে সাজেদুল ইসলাম বাড়ি ফিরলে ছিনতাইকারীরা তাকে কৌশলে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে অপহরণ করে এবং ছুরিকাঘাতে ও কুপিয়ে হত্যা করে লাশ বস্তায় ভরে ইট দিয়ে বেঁধে গুম করার জন্য ঝাউচর এলাকার ধলেশ্বরী নদীতে ফেলে দেয়।
আরও পড়ুন: বেনাপোল বন্দরের পিওনের লাশ উদ্ধার
এদিকে, এঘটনার পর নিহতের মা সাজেদা বেগম তিন ছিনতাইকারীর নামে সাভার মডেল থানায় অপহরণের লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে শনিবার পুলিশ ছিনতাইকারী মিলনকে আটক করে। পরে তার দেয়া তথ্যের মাধ্যমে ধলেশ্বরী নদী থেকে সাজেদুলের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। এঘটনায় আরও দুই ছিনতাইকারীকে আটক করতে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছে।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে পুকুর থেকে নারীর লাশ উদ্ধার
অপরদিকে, সাভারের জামিসং এলাকায় ফজলুল হকের ছেলে মিলন মিয়া (২০) খুনের রহস্য উৎঘাটন করেছে সাভার মডেল থানা পুলিশ। এঘটনায় পুলিশ হত্যাকারী জামসিং এলাকার আব্দুর রবের ছেলে বাবু মিয়াকে (২৩) আটক করেছে।
সাভার থানার ওসি এ এফ এম সায়েদ জানান, গত এক মাস আগে ঝগড়ার জের ধরে মিলন মিয়াকে হত্যার পরিকল্প করেন তার প্রতিবেশী বাবু, ইমন, রাজন, জয় ও সুমন নামের পাঁচ যুবক। পরে ৩ ডিসেম্বর প্রকাশ্যে জামসিং এলাকায় মিলন মিয়াকে কুপিয়ে হত্যা করে তারা। এরপর থেকে হত্যাকারীরা বাড়ি ঘরে তালা ঝুলিয়ে পালিয়ে যায়। পরে নিহত যুবকের বাবা ফজলুল ইমন মিয়াকে প্রধান আসামি করে আরও অজ্ঞাত ব্যক্তিদের নাম উল্লেখ করে সাভার মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। পুলিশ মামলাটি গুরুত্ব সহকারে নিয়ে আসামিদের আটক করতে অভিযানে নামে। শনিবার গোপন সংবাদের ভিতিত্তে ধামরাইর বাথুলী এলাকায় অভিযান চালিয়ে হত্যাকারী বাবুকে আটক করে সাভার মডেল থানা পুলিশ। এ সময় হত্যাকারী বাবু মিলনকে হত্যার কথা স্বীকার করে পুলিশের কাছে জবাববন্দি দেয়।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে মেঘনার তীর থেকে বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার
ওসি জানান, আটক দুই হত্যাকারীকে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির জন্য রবিবার সকালে আদালতে পাঠানো হয়েছে ও অন্য আসামিদের আটক করতে অভিযান চলছে।