মঙ্গলবার ভোরে রামপাল উপজেলার বগুড়া নদীর চর থেকে তাদের আটক করা হয় বলে দুপুরে বাগেরহাট পুলিশ অফিসে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে ২২ কেজি হরিণের মাংসসহ যুবক আটক
এ নিয়ে দুই সপ্তাহে পৃথক অভিযানে ১১১ কেজি হরিণের মাংস, ১৯টি হরিণের এবং একটি বাঘের চামড়া উদ্ধার করা হলো। এসময়ের মধ্যে বাঘ ও হরিণ শিকারি চক্রের ৯ সদস্যকে আটক করা হয়েছে।
সদ্য আটক দুজন হলেন-রামপাল উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের আব্দুর রহমান শেখ (৫২) ও তার ছেলে মোস্তাকিন শেখ (২৭)।
বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাফিন মাহমুদ জানান, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে জেলা ডিবি পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে বগুড়া নদীর চর থেকে হরিণ শিকারি চক্রের সদস্য ওই দুজনকে আটক করে। এসময় তাদের কাছ থেকে ৪২ কেজি হরিণের মাংস উদ্ধার করা হয়। ওই মাংসের মধ্যে তিনটি মাথা পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে ওই শিকারিচক্র দুদিন আগে সুন্দরবনে প্রবেশ করে হরিণ শিকার করার পর জবাই করে। এরপর মাংস তৈরি করে বিক্রির জন্য লোকালয়ে নিয়ে আসে। এরা পেশাদার হরিণ শিকারি।
আরও পড়ুন: বাঘ আতঙ্ক শেষে পঞ্চগড়ে বনবিড়াল আটক
এ ব্যপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
এর আগে রবিবার রাতে বন বিভাগ শরণখোলা থেকে ২২ কেজি হরিণের মাংসসহ এক শিকারিকে আটক করে।
তার আগের দিন শনিবার রাতে কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের সদস্যরা বাগেরহাট জেলার মোংলা উপজেলার দিগরাজ বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৪৭ কেজি হরিণের মাংস এবং একটি মাথাসহ তিনজন হরিণ শিকারি ও পাচারকারিকে আটক করে।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে হরিণের মাংস ও মাথাসহ আটক ৩
এছাড়া গত ২৩ জানুয়ারি ভোরে বাগেরহাট জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ শরণখোলা উপজেলা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১৯টি হরিণের চামড়াসহ হরিণ শিকারি ও পাচারকারি সিন্ডিকেটের দুজনকে আটক করে। ১৯ জানুয়ারি সন্ধ্যায় সুন্দরবন বিভাগ ও র্যাব যৌথ অভিযান চালিয়ে শরণখোলা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে একটি বাঘের চামড়াসহ বাঘ শিকারি চক্রের সদস্য গাউস ফকিরকে আটক করে।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে বাঘের চামড়াসহ ‘শিকারি’ আটক