বন্দরের বাংলাহিলি কাস্টমস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান লিটন বলেন, ‘ভারতে আজ প্রজাতন্ত্র দিবস পালন করা হচ্ছে। এ জন্য ভারতের ব্যবসায়ীরা আজ হিলি স্থলবন্দরের মাধ্যমে কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যার কারণে সকাল থেকে এই বন্দর দিয়ে আমদানি ও রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ আছে।‘
আরও পড়ুন: ভারত থেকে হিলি দিয়ে চাল আমদানি ফের বন্ধ
তবে, বন্দরের বাংলাদেশ অংশের পানামা পোর্টের অভ্যন্তরে পণ্য খালাস ও বোঝাই করার কাজ স্বাভাবিক থাকছে। আগামীকাল বুধবার থেকে বন্দরের নিয়মিত কার্যক্রম পুনরায় শুরু হবে, উল্লেখ করেন আব্দুর রহমান।
এর আগে, বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ১৬ ডিসেম্বর হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পণ্য আমদানি ও রপ্তানিসহ সব কার্যক্রম বন্ধ ছিল। এ দিন বন্দরের বেসরকারি অপারেটর পানামা পোর্টেও পণ্য খালাস ও বোঝাই করা বন্ধ রাখা হয়।
আরও পড়ুন: হিলি স্থলবন্দরে ৬ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
হিলি দিয়ে চাল আমদানি:
দেশের বাজারে চালের দামে স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে ৯ জানুয়ারি হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে চাল (অ-বাসমতি) আমদানি শুরু হয়। ওই দিন বিকালে ১১২ মেট্রিক টন চাল বোঝাই তিনটি ভারতীয় ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করে। নওগাঁর আমদানিকারক একটি প্রতিষ্ঠান এই চাল আমদানি করে।
গেল বছরের ৩০ মে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে সর্বশেষ দেশে চাল আমদানি হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ইছামতি নৌপথে চুনাপাথর আমদানি কয়েক ঘণ্টা চলে ফের বন্ধ
স্থলবন্দরের কয়েকজন চাল আমদানিকারক জানান, দেশে ভরা মৌসুমেও চালের বাজারে দামের লাগাম টানা যাচ্ছিল না। প্রতিনিয়ত দামের ঊর্ধ্বগতিতে ক্রেতারা হাঁপিয়ে উঠছিলেন। এ অবস্থায় সরকার দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ভারতসহ বিভিন্ন দেশ থেকে বেসরকারিভাবে অ-বাসমতি সিদ্ধ চাল আমদানি করার সিদ্ধান্ত নেয়। যার ফলে হিলিসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার আমদানিকারকেরা সরকারের কাছে চাল আমদানির জন্য আবেদন করেন। গত ৩ ও ৫ জানুয়ারি দেশের ২৯ আমদানিকারক সরকারের খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে অনুমতি পেয়ে প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে চাল আমদানির জন্য এলসি করেন।
পেঁয়াজ আমদানি:
সাড়ে ৩ মাস পর ভারত সরকার নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলে ২ জানুয়ারি থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আবারও শুরু হয় পেঁয়াজের আমদানি।
আরও পড়ুন: বার্ড ফ্লু: মুরগির বাচ্চাসহ ডিম আমদানি বন্ধে ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ
হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকেরা জানান, ভারত সরকার গত বছরের ১৪ সেপ্টেবম্বর অভ্যন্তরীণ বাজারে সংকট ও মূল্যবৃদ্ধির অজুহাতে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে। এর ফলে দেশে পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা দেখা দিলে দাম কয়েকগুণ বেড়ে যায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে আমদানিকারকেরা মিয়ানমার, পাকিস্তান, মিশর, তুরস্ক ও চীন থেকে বিপুল পরিমাণে পেঁয়াজ আমদানি করেন।