কোভিড-১৯ বিরতির পর বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় ফেরা হবে এ সিরিজের মধ্যে দিয়ে।
গত বছরের মার্চে ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশ শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে। গত অক্টোবরে শ্রীলঙ্কা সফরের কথা থাকলেও কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে সিরিজটি স্থগিত হয়ে যায়।
বাংলাদেশে রওনা হওয়ার আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের কোভিড-১৯ পরীক্ষা করা হয়। একজন ক্রিকেটার পজেটিভ হওয়ায় তাকে স্কোয়াড থেকে বাদ দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘দুর্বল’ ক্যারিবীয়দের হালকাভাবে নিচ্ছে না বাংলাদেশ
ঢাকায় পৌঁছার পর সফরকারী দলের সব সদস্যকে আরও একবার কোভিড-১৯ পরীক্ষা করা হবে এবং তিন দিনের রুম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। এরপর তাদের আবার করোনা পরীক্ষা করা হবে। যারা নেগেটিভ শনাক্ত হবেন পরবর্তী চার দিন শুধু তারাই আন্তস্কোয়াড অনুশীলন করতে পারবেন।
সাত দিন পর তাদের আরও একটি কোভিড-১৯ পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হবে।
আসন্ন সিরিজ সামনে রেখে বাংলাদেশ দল রবিবার তাদের অনুশীলন শুরু করবে।
এর আগে, বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ দলের সব সদস্যের কোভিড-১৯ পরীক্ষা হয় এবং প্রত্যেকে নেগেটিভ হন। শনিবার তাদের আরেকটি পরীক্ষায় যারা নেগেটিভ হবেন তারাই অনুশীলনে যোগ দেবেন।
কোভিড-১৯ সংক্রমণ থেকে সব ক্রিকেটার, কর্মী এবং সংশ্লিষ্ট অন্যদের নিরাপদ রাখতে একটি জৈব-সুরক্ষা বলয়ের ব্যবস্থা করতে হবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে।
আরও পড়ুন: মাশরাফিকে ছাড়াই উইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশের দল ঘোষণা
মাশরাফির ফিরে আসার সুযোগ নেই, বিসিবি প্রধানের ইঙ্গিত
উইন্ডিজদের দ্বিতীয় সারির দল নিয়ে হতাশ বাশার
বিসিবি অপারেশনস কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান শনিবার বলেন, ‘বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সাথে নিচ্ছি। ক্রিকেটারদের জৈব-সুরক্ষা বলয়ে রাখার মধ্য দিয়েই আমরা দুটি ঘরোয়া টুর্নামেন্ট- বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপ এবং বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের আয়োজন করেছি। তাই এটি কীভাবে নিশ্চিত করা যায় তা আমরা জানি।’
আকরাম বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়া-ভারত সিরিজের মতো এ সিরিজে বাংলাদেশ স্টেডিয়ামে দর্শক ঢোকার অনুমতি দেবে না। বিসিবি এখনও এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছে এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে দর্শকদের অনুমতি না দেয়ার কথা বিবেচনায় রেখেছে।’
মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ২০ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। ২২ জানুয়ারি একই ভেন্যুতে দ্বিতীয় ম্যাচটি হবে।
আরও পড়ুন: সম্মিলিত সিদ্ধান্তে দলের বাইরে মাশরাফি: প্রধান নির্বাচক
তৃতীয় ওয়ানডে এবং প্রথম টেস্ট চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে যথাক্রমে ২৫ জানুয়ারি এবং ৩-৭ ফেব্রুয়ারি হবে। ১১ ফেব্রুয়ারি দুদলের মধ্যকার শেষ টেস্ট মিরপুরে অনুষ্ঠিত হবে।
কোভিড-১৯ বিরতির পর ওয়েস্ট ইন্ডিজ দুটি সিরিজ খেলেছে- ইংল্যান্ড এবং নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। অপরদিকে বাংলাদেশ এখনও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে পারেনি।
বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক আকরাম বলেন, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজ একটি ভালো দল। তাদের অনেক ভালো মানের খেলোয়াড় রয়েছে।’
‘আমরা জানি তাদের নিয়মিত খেলোয়াড়দের কেউ কেউ এ সফরে আসবে না। তারপরও তাদের ভালো একটি দল রয়েছে। তাই তাদের হালকাভাবে নেয়া উচিত হবে না,’ বলেন তিনি।