১০৬ রানে গুটিয়ে গিয়েও অসাধারণ বোলিং পারফরম্যান্সে নেপালের বিপক্ষে ২১ রানের জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। এর ফলে ঈদুল আজহার দিন দেশবাসীর আনন্দে বাড়তি খুশি যুক্ত করে সুপার এইট নিশ্চিত করেছে টাইগাররা।
সোমবার সেন্ট ভিনসেন্টের আর্নোস ভেল ক্রিকেট গ্রাউন্ডের বোলিংবান্ধব উইকেটে টস জিতে বাংলাদেশকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠান নেপাল অধিনায়ক রোহিত পাউড়েল।
শুরুতে ব্যাট করে তিন বল বাকি থাকতেই ১০৬ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। লক্ষ্য তাড়ায় নেমে বাংলাদেশি বোলারদেরও তোপের মুখে পড়েন নেপালি ব্যাটাররা। শেষ পর্যন্ত চার বল হাতে রেখেই ৮৫ রানে নেপালকে অলআউট করে ২১ রানের জয় নিশ্চিত করে টাইগাররা।
আরও পড়ুন: বৃষ্টিতে ডুবল পাকিস্তানের স্বপ্ন, শেষ আটে যুক্তরাষ্ট্র
এদিন নির্ধারিত ৪ ওভারে মাত্র ৭ রানের খরচায় ৪ উইকেট নিয়ে রেকর্ড গড়েছেন তানজিম সাকিব। ম্যাচসেরার পুরস্কারটি তাই উঠেছে তার হাতেই।
মোস্তাফিজুরও ৭ রানের খরচায় নিয়েছেন ৩ উইকেট। এছাড়া সাকিব দুটি ও তাসকিন একটি উইকেট নেন।
নেপালের হয়ে ব্যাট হাতে সর্বোচ্চ ২৭ ও ২৫ রান করেন যথাক্রমে ষষ্ঠ ও সপ্তম ব্যাটার কুশল মাল্লা ও দীপেন্দ্র সিং আইরি।
লক্ষ্য তাড়ায় নেমে তানজিমকে চার মেরে ইনিংস শুরু করলেও তাকে ওই একটি বাউন্ডারিই মারতে পেরেছেন প্রতিপক্ষের ব্যাটাররা। মাঝের দুটি ওভার মেইডেন এবং শেষের ওভারে দুটি সিঙ্গেল দেন তিনি। আর ওয়াইড থেকে আরও এক রানে মোট সাত রান দিয়েছেন প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলা এই বোলার।
প্রথম ওভারে ৫ রান দিয়ে উইকেট না পেলেও দলীয় তৃতীয় ও নিজের দ্বিতীয় ওভারেই জোড়া সাফল্য পান তানজিম। পঞ্চম ওভারে ফের মেইডেনসহ এক উইকেট নিলে ষষ্ঠ ওভারে চার রান দিয়ে আরও একটি উইকেট তোলেন মুস্তাফিজ। ফলে পাওয়ার প্লেতে ২৪ রান তুলতেই ৪ উইকেট হারায় নেপাল।
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপে আর দেখা যাবে না বোল্টকে!
সপ্তম ওভারে নিজের স্পেলের শেষ ওভার বোলিংয়ে এসে আরও একটি উইকেটের দেখা পান তানজিম। সাত ওভার শেষে ২৬ রানে ৫ উইকে হারানো নেপালেকে এরপর পথ দেখান কুশল ও দীপেন্দ্র। এই দুজনে মিলে ৫২ রানের জুটি গড়ে টাইগারদের হারানোর শঙ্কায় ফেলেন। তবে ১৬.৪তম ওভারে ব্রেকথ্রু এনে দলকে স্বস্তি এনে দেন মুস্তাফিজ। পরের ওভারে তাসকিনকে একটি ছক্কা হাঁকিয়ে বিদায় নেন দীপেন্দ্রও। ১৯তম ওভারটি মেইডেন দিয়ে মুস্তাফিজ আরও একটি উইটেক নিলে পরের ওভারের প্রথম দুই বলে দুই উইকেট নিয়ে বাকি কাজটুকু সারেন সাকিব।
ফলে ২১ রানের জয় নিয়ে শেষ আটের টিকিট কেটে মাঠ ছাড়ে টাইগাররা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এটি সবচেয়ে কম রান করে প্রতিপক্ষকে আটকে দেওয়ার ঘটনা।
মজার বিষয় হচ্ছে এই তালিকার প্রথম পাঁচটির চারটিই চলতি বিশ্বকাপে ঘটেছে। দ্বিতীয় রেকর্ডটি দক্ষিণ আফ্রিকার, বাংলাদেশের বিপক্ষে ১১৪ রান করেও জয় পেয়েছিল তারা। তৃতীয়টিও তাদের, এই নেপালের বিপক্ষেই ১১৬ রানের।
সুপার এইটের ‘গ্রুপ ১’ এ ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও আফগানিস্তানকে পেয়েছে বাংলাদেশ। সেমিফাইনালে খেলার লক্ষ্যে আগামী ২১ জুন অস্ট্রেলিয়া, ২২ জুন ভারত ও ২৫ জুন আফগানিস্তানের মুখোমুখি হবে টাইগাররা।