বাংলাদেশের সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি অক্টোবরে পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট ভিত্তিতে ৮ দশমিক ৯১ শতাংশে নেমে এসেছে, যা সেপ্টেম্বরে ৯ দশমিক ১ শতাংশ ছিল।
মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, টাকার অবমূল্যায়নকে ইতিবাচকভাবে বিবেচনা করা উচিত। কারণ এটি বাজারে মার্কিন ডলারের সরবরাহ বাড়াতে সাহায্য করে।
এক প্রশ্নের জবাবে মান্নান বলেন, আইএমএফ যাই বলুক না কেন বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩৫ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি: আগস্টে ৯.৫% শতাংশ, ১২ বছরে সর্বোচ্চ
চলতি বছরের আগস্টে দেশে সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৫ শতাংশে। অর্থনীতির এই গুরুত্বপূর্ণ এবং সংবেদনশীল সূচকটি গত ১২ বছরের মধ্যে আগস্টে সর্বোচ্চ ছিল।
২০১০-১১ অর্থবছরে দেশের গড় মূল্যস্ফীতির হার ছিল ১০ দশমিক ৯২ শতাংশ। এরপর এই সূচক ৯ শতাংশের ওপরে ওঠেনি।
আন্তর্জাতিক বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির কারণে কয়েক মাস ধরে দেশে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির প্রবণতা ছিল।
৫ আগস্ট জ্বালানি তেলের দাম ৪২ থেকে ৫১ শতাংশ বাড়িয়েছে সরকার। ডিজেলের দাম লিটারপ্রতি ৩৪ টাকা, অকটেনের দাম ৪৬ টাকা এবং পেট্রোলের দাম ৪৪ টাকা বেড়েছে।
জ্বালানির দাম বৃদ্ধির এই রেকর্ড মূল্যস্ফীতিতে প্রভাব ফেলেছে।
আরও পড়ুন: সহিংসতায় দ্রব্যমূল্য ও মূল্যস্ফীতি কমানো যাবে না: পরিকল্পনামন্ত্রী