প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সকল প্রকার সহযোগিতা বাড়ানোর পাশাপাশি বর্তমান অভিবাসী ইস্যুটির সমাধানের জন্য অনুরোধ করেছে।
বাংলাদেশে নবনিযুক্ত মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার হাজনা বিনতি মো. হাসিম বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমের সাথে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এসব বিষয়ে কথা বলেন।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির কাছে মালয়েশিয়া, শ্রীলঙ্কা, মিশরের দূতদের পরিচয়পত্র পেশ
প্রতিমন্ত্রী ঢাকায় মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার হিসাবে হাজনার নিয়োগের জন্য আন্তরিকভাবে অভিনন্দন জানান এবং সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
শাহরিয়ার আলম বলেন, মালয়েশিয়া বাংলাদেশের বিশ্বস্ত বন্ধু এবং অংশীদার, স্বাধীনতার পর থেকে দুদেশের দৃঢ় দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক রয়েছে।
‘বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি শ্রমিক এবং পেশাদার মালয়েশিয়ায় বসবাস করছেন এবং উভয় দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখছেন,’ বলেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে একটি উন্নত অর্থনীতির দেশ এবং কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলায় মালয়েশিয়া উল্লেখযোগ্য সফলতা দেখিয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশে ফিরলেন মালয়েশিয়ায় গ্রেপ্তার রায়হান কবির
প্রবাসীদের উন্নত সেবা নিশ্চিত করতে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর নির্দেশনা
বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে বিজ্ঞান-প্রযুক্তি, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, বাণিজ্য, পর্যটন, জ্বালানিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অংশীদারিত্ব প্রসার ও বৈচিত্র্যময় করার বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন প্রতিমন্ত্রী।
দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের সাম্প্রতিক প্রবণতার কথা উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী নতুন উদ্যোগের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি পণ্যের আরও বেশি প্রবেশাধিকারের জন্য শুল্ক ছাড়কে আরও কমানোর অনুরোধ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: একাত্তরের গণহত্যার জন্য ইসলামাবাদের আনুষ্ঠানিক ক্ষমা প্রার্থনা চায় ঢাকা
অভিবাসী শ্রমিকদের নিয়মিতকরণ এবং স্বেচ্ছাসম্মত প্রত্যাবাসনের কর্মসূচির কথা উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী কোভিড-১৯ মহামারিতে বাংলাদেশি প্রবাসীদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য মালয়েশিয়ার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
হাইকমিশনার নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় শ্রমিক ও শিক্ষার্থীদের ফিরিয়ে নেয়ার আশ্বাস দেন এবং এই বিষয়গুলো শিগগরই সমাধান হবে বলে আশ্বাস দেন।
প্রতিমন্ত্রী শক্তিশালী রাজনৈতিক সমর্থন এবং রোহিঙ্গাদের পক্ষে মানবিক সহায়তার জন্য মালয়েশিয়ার প্রতি ধন্যবাদ জানান এবং প্রত্যাবাসন ইস্যুতে আসিয়ান ও মালয়েশিয়া উভয়ের কাছ থেকে সক্রিয় ভূমিকা চান।
তিনি রোহিঙ্গাদের সেবায় কক্সবাজারে হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা ও ধারাবাহিকতার প্রশংসা করেন।