প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার বলেছেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রণীত পরিকল্পনা অনুযায়ী দেশ চালালে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা কেউ থামাতে পারবে না।
তিনি বলেন, ‘দেশ যদি এই পরিকল্পনা নিয়ে চলে তাহলে দেশের অগ্রযাত্রাকে কেউ থামাতে পারবে না। এটা আমার দৃঢ় বিশ্বাস।’
আওয়ামী লীগের ৭৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় সংসদে এক অনির্ধারিত আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।
সংসদ নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার আগামীতে বাংলাদেশকে একটি উন্নত দেশে পরিণত করার পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ গ্রহণ করেছে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে সমৃদ্ধ ও উন্নত করার পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের সেবা করে ক্ষমতায় থাকলে ভবিষ্যতে বাংলাদেশ অবশ্যই একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ মানে বাংলাদেশের স্বাধীনতা, মাতৃভাষায় কথা বলার অধিকার, উন্নত ও সোনার বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের জন্ম একটি বিশেষ কারণে।
তিনি উল্লেখ করেন, পাকিস্তান সৃষ্টির মাত্র সাত মাস পর পাকিস্তানি শাসকরা তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান (বর্তমানে বাংলাদেশ) এবং এর জনগণের প্রতি বৈরী মনোভাব দেখায়।
তিনি বলেন, তৎকালীন পাকিস্তানি শাসকরা বাঙালিদের মাতৃভাষায় কথা বলতে বাধা দেয়, বাঙালিদের আর্থ-সামাজিকভাবে শোষণ ও নির্যাতন করে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এ প্রেক্ষাপটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ভাষা আন্দোলনেতৃত্ব দেন, ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করেন এবং আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়।’
পড়ুন: তারেক রহমানের নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি আরও উল্লেখ করেন, আওয়ামী লীগ ১৯৪৯ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে এদেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় নিয়োজিত রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের জনগণের সংগঠন। আওয়ামী লীগ সবসময় দেশের নির্যাতিত ও অবহেলিত মানুষের জন্য আন্দোলন করেছে। এর জন্য আ.লীগের অনেক নেতাকর্মী জীবন দিয়েছেন।’
সরকারপ্রধান বলেন, যে কোনো দুর্যোগে আ.লীগের নেতাকর্মীরা সবসময় দেশের মানুষের পাশে আছে।
তিনি বলেন, ‘জনগণের সেবা করা আমাদের দায়িত্ব এবং কর্তব্য। এটা আমাদের আদর্শ।’
শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর সামরিক শাসকদের ছিনিয়ে নেয়ার পর আওয়ামী লীগ দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছে।
তিনি বলেন, গণতন্ত্র অব্যাহত থাকায় বাংলাদেশের উন্নয়ন হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের নিজস্ব সম্পদে পদ্মা সেতু নির্মিত হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এভাবে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে এবং কখনই অন্যের উপর নির্ভরশীল হবে না এবং কখনও কারও কাছে ভিক্ষা চাইবে না। বাংলাদেশ তার নিজস্ব মর্যাদায় বিশ্ব অঙ্গনে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে।’
আলোচনায় অংশ নেন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আমির হোসেন আমু ও তোফায়েল আহমেদ।
পড়ুন: পদ্মা সেতু আমাদের জাতীয় গর্ব: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা