জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের সরকারের কাছে করোনায় কর্মহীনদের পরিবারের জন্য প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা করে সহায়তার দাবি করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘মহামারিজনিত কারণে যারা বেকার হয়ে গেছেন তাদের পরিবারের কয়েক কোটি সদস্য ভালো অবস্থায় নেই। সুতরাং, সরকারের জন্য প্রতিটি পরিবারকে প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা সহায়তা দেয়া অপরিহার্য হয়ে উঠেছে।
রবিবার এক বিবৃতিতে সংসদের বিরোধী দলীয় উপনেতা এই দাবি করেন। তিনি বলেন, সরকারকে অবশ্যই মহামারির এই সংকটময় সময়ে মারাত্মক আর্থিক সংকটের মুখোমুখি হওয়া মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে।
বিভিন্ন গবেষণার ফলাফল উল্লেখ করে জি এম কাদের বলেন, করোনার সময়কালে প্রায় আড়াই কোটি মানুষের জীবনমান দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে এসেছে। যেখানে মহামারির আগে দেশে প্রায় সাড়ে তিন কোটি দরিদ্র মানুষ ছিল।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য খাতের বাজেট লুট হচ্ছে: জিএম কাদের
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, দরিদ্র ও অসহায় মানুষকে সাহায্য করার জন্য সরকারের বরাদ্দ খুবই অপ্রতুল।
৩ লাখ ৩৩ হাজার ১১৬ জন অধিবাসীর একটি নির্বাচনী আসনে বার্ষিক সরকারি সহায়তা বিশ্লেষণ করে তিনি বলেন, সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই এলাকার প্রায় এক লাখ ৯ হাজার ৯৪৫ জন (প্রায় ৩৩ শতাংশ) দরিদ্র। সরকার ২০২০-২০২১ অর্থবছরে এই এলাকায় এক কোটি ১৯ লাখ ৪২ হাজার ৭০ টাকা নগদ সহায়তা দিয়েছে। শিশুখাদ্য ও পশুখাদ্যের পাশাপাশি ৮৮ লাখ ৯৯ হাজার ৬৭৯ টাকা মূল্যের খাদ্যশস্য বিতরণ করা হয়েছে এবং মোট বরাদ্দ ছিল দুই কোটি ১০ লাখ ৪১ হাজার ৭৪৯ টাকা। সুতরাং, মাথাপিছু বরাদ্দ ছিল বছরে ১৯১ টাকা এবং মাসে মাত্র ১৬ টাকা। একজন দরিদ্র ব্যক্তি কিভাবে প্রতি মাসে মাত্র ১৬ টাকা সরকারি সাহায্য নিয়ে বাঁচবে?
আরও পড়ুন: জীবন বাঁচাতে ফিল্ড হাসপাতাল নির্মাণের বিকল্প নেই: জিএম কাদের
জিএম কাদের এ ব্যাপারে আরও বলেন, আমি সরকারের কাছে দাবি করছি যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত প্রতিটি পরিবারকে (কর্মহীনদের) প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করুন। যদি স্বচ্ছভাবে দুই কোটি পরিবারের মধ্যে অর্থ বিতরণ করা হয়, তাহলে তা দরিদ্রদের জন্য একটি বড় সাহায্য হবে। এতে প্রতি মাসে খরচ হবে মাত্র ২০ হাজার কোটি টাকা।
আরও পড়ুন: সংসদে স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে ‘নির্লজ্জ’ আখ্যা দিয়ে পদত্যাগ দাবি