তিনি বলেন, এ সময় বিচারকরা অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে ভার্চুয়াল কোর্ট পরিচালনা করে কঠিন দুঃসময়েও দেশে বিচারকাজ চালু রেখেছেন যা বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে। এর মাধ্যমে গোটা বিচার বিভাগের দক্ষতা ও সক্ষমতারও পরিচয় ফুটে উঠেছে। বিচার বিভাগের আজকের অবস্থানের পেছনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদানও অনস্বীকার্য।
আরও পড়ুন: ভার্চুয়াল কোর্টের সফলতার জন্য বিচারক ও আইনজীবীদের প্রশিক্ষণ প্রয়োজন: আইনমন্ত্রী
শুক্রবার বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট দিবস উপলক্ষে সুপ্রিম কোর্ট অডিটরিয়ামে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, সুপ্রিম কোর্টের বিগত ৪৮ বছরের পথচলায় আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বহু উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে। দেরিতে হলেও ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা ও জেলহত্যা মামলার বিচার এবং ১৯৭১-এর মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের অবদান ভুলবার নয়। দেশে বিচারহীনতার যে সংস্কৃতি তৈরি হয়েছিল তা থেকে বাঙালি জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করতে এসব হত্যাকাণ্ডের বিচারের কথা জাতি আজীবন স্মরণ রাখবেন।
আরও পড়ুন: যৌন নির্যাতনের অপরাধ কখনোই সহ্য করা হবে না: আইনমন্ত্রী
সংবিধানের পঞ্চম ও সপ্তম সংশোধনী বাতিলের রায় একদিকে যেমন বন্দুকের নলের মাধ্যমে অবৈধ ও অগণতান্ত্রিকভাবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলকারীদের তাড়িয়েছে অন্যদিকে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ভিত্তিকে সুদৃঢ় করেছে, বলেন তিনি।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা গর্বের সাথে বলতে পারি আজকের বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট সম্পূর্ণ স্বাধীন। কিন্তু এ অবস্থানে পৌঁছানোর জন্য যে কঠিন সংগ্রাম করতে হয়েছিল তা স্মরণ না করলে ভবিষ্যত পথচালয় ভ্রান্তি হতে পারে।’
আরও পড়ুন: ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করায় অপরাধ কমবে: আইনমন্ত্রী
স্মরণ রাখতে হবে যে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করার পর দীর্ঘ ২১ বছর একটি মামলা পর্যন্ত রুজু হয়নি। বরঞ্চ এ হত্যাকাণ্ডের বিচার যাতে না হয় সে জন্য একটি ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছিল, বলেন তিনি।
‘শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচার চেয়ে বহুবার এ কোর্টে এসেছেন। কিন্তু তার ক্ষেত্রে বিচারের বাণী নিভৃতে কেঁদেছে। তিনি তার পরিবারের হত্যাকাণ্ডের বিচার চাইতে পারেননি। এক অদৃশ্য অপশক্তির ভয়ে তখনকার কোর্টগুলো এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেনি। পিতার হত্যাকাণ্ডের বিচার পাওয়ার জন্য তাকে সরকারে আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে,’ বলেন আনিসুল হক।
আরও পড়ুন: স্বল্প সুদে দীর্ঘ মেয়াদি ঋণ পাবেন আইনজীবীরা: আইনমন্ত্রী
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার, বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, অ্যাটর্নি জেনারেল ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এএম আমিন উদ্দিন ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বক্তব্য দেন।