যশোর ও খুলনাসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পাঁচ জেলার মানুষ সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড (এসজিসিএল) এর গ্যাসের দাম বৃদ্ধির শুনানির দিকে তাকিয়ে আছে।
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি, পাঁচটি জেলায় গৃহস্থালীর কাজে ভোক্তা পর্যায়ে দুই চুলার জন্য গ্যাসের দাম বর্তমান ৯৭৫ টাকা থেকে ১০৮০ টাকা এবং এক চুলার জন্য ৯২৫ টাকা থেকে ৯৯০ টাকা সুপারিশ করেছে।
যদিও এসজিসিএল দুই চুলার জন্য গ্যাসের দাম ২১০০ টাকা (১১৫ শতাংশ বৃদ্ধি) এবং এক চুলার জন্য ২০০০ টাকা (১১৬ শতাংশ বৃদ্ধি) করতে চেয়েছিল।
মঙ্গলবার নগরীর বিয়াম মিলনায়তনে বিইআরসির গণশুনানির দ্বিতীয় দিনে এসজিসিএল কর্মকর্তারা এ প্রস্তাব দেন।
শুনানিতে বিইআরসি চেয়ারম্যান আবদুল জলিল, সদস্য মকবুল-ই-এলাহী চৌধুরী, বজলুর রহমান ও মোহাম্মদ আবু ফারুক উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব: গণশুনানিতে তোপের মুখে পেট্রোবাংলা
সূচনা বক্তব্যে আবদুল জলিল গ্যাসের দাম বৃদ্ধির সম্ভাব্য সামাজিক প্রভাব আমলে না নেয়ায় গ্যাস বিতরণ কোম্পানিগুলোর সমালোচনা করেন।
তিনি বলেন, কোনো সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে জনগণের স্বার্থ বিবেচনা করা উচিত।
তিনি আরও বলেন, সবার আগে জনগণের স্বার্থ। মূল্যবৃদ্ধির আগে এর সামাজিক প্রভাব বিবেচনা করা উচিত ছিল। কিন্তু গ্যাস কোম্পানিগুলো এগুলো উপেক্ষা করছে।
বিইআরসি কারিগরি কমিটি প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের দাম বিদ্যুৎ খাতের জন্য বর্তমান ৪ দশমিক ৪৪ টাকা থেকে ৫ দশমিক ৩৪ টাকা, ভোক্তা পর্যায়ে ব্যবহারের জন্য ১৩ দশমিক ৮৫ টাকা থেকে ১৫ দশমিক ৫০ টাকা, সার কারখানার জন্য ৪ দশমিক ৪৪ টাকা থেকে ৫ দশমিক ৩৪ টাকা, চা শিল্পের জন্য ১০ দশমিক ৭০ থেকে ১২ দশমিক ৬৫ টাকা, বাণিজ্যিক গ্রাহকদের জন্য ২৩ টাকা থেকে ২৭ দশমিক ৬০ টাকা, ৪৩ টাকা থেকে ৪৯ দশমিক ৫০ টাকা এবং গৃহস্থালী গ্রাহকদের জন্য মিটারযুক্ত গ্যাস ওভেনের জন্য ১২ দশমিক ৬০ টাকা থেকে ১৮ টাকা করার সুপারিশ করেছে।
আরও পড়ুন: গ্যাসের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে ৩ দিনের গণশুনানি শুরু সোমবার
গ্যাসের দাম আরও বাড়লে জনগণের জন্য বড় চাপ হবে: জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা