কক্সবাজারের চকরিয়ায় মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় পাঁচ ভাইয়ের পর গুরুতর আহত রক্তিম শীলও (৩৩) মারা গেলেন। দীর্ঘ ১৪ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে তিনি মারা যান।
চমেক হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. হারুনুর অর রশিদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দুর্ঘটনার পর প্রথমে তাকে চমেক হাসপাতালে সেখান থেকে ম্যাক্স হাসপাতাল হয়ে জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে গত পাঁচ দিন আগে চমেক হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করানো হয়।
এর আগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি ভোরে সড়কের পূর্ব পাশে মৃত বাবার উদ্দেশে পূজা দিয়ে বাড়ী ফিরতে একসঙ্গে রাস্তা পার হচ্ছিল ৯ ভাই-বোন। এসময় কক্সবাজারমুখি একটি কাভার্ড ভ্যান তাদের ধাক্কা দিলে পাঁচ ভাই নিহত এবং তিন ভাই-বোন আহত হন।
আরও পড়ুন: চকরিয়ায় পিকআপের ধাক্কায় ৪ সহোদর ভাই নিহত
ঘটনাস্থলে নিহত চারজন হলেন— ডুলাহাজারা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের হাসিনা পাড়া এলাকার মৃত ডা. সুরেশ চন্দ্র শীলের ছেলে ডা. অনুপম শীল (৪৬) এবং তার তিন ভাই নিরুপম শীল (৪০), দীপক শীল (৩৫) ও চম্পক শীল (৩০)। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর মারা যান স্মরণ সুশীল (৩২) নামের আরও এক ভাই।
দুর্ঘটনায় আহত হয়ে ওই হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন রক্তিম শীল ও হীরা শীল। তাদের দুজনের মধ্যে থেকে রক্তিম শীল আজ মঙ্গলবার সকালে মারা যান।
এ ঘটনায় ওই রাতে নিহতদের ভাই প্লাবন সুশীল বাদী হয়ে চকরিয়া থানায় অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে মামলা করেন।
গত ১১ ফেব্রুয়ারি ঘটনায় অভিযুক্ত চালক সাহিদুল ইসলাম সাইফুলকে ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তাকে তিন দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে পিকআপের চাপায় ৫ ভাই নিহতের ঘটনায় সেই চালক আটক