ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহতদের ৫০ লাখ টাকা এবং দগ্ধ হয়ে আহতদের ২০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশনা চেয়ে রিট আবেদন করা হয়েছে।
রবিবার সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই রিট আবেদন করেন। একইসঙ্গে ঘটনার প্রকৃত কারণ উদঘাটনে বিচারিক অনুসন্ধানের জন্য কমিশন গঠনের নির্দেশনাও চাওয়া হয়েছে এই রিটে।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিআইডব্লিওটিএর চেয়ারম্যান এবং লঞ্চের মালিক হামজালাল শেখকে বিবাদী করা হয়েছে।
রিট আবেদনটি আগামীকাল সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি এম.ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো.মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে শুনানির জন্য উপস্থাপন করা হতে পারে বলে জানান এই রিটকারী আইনজীবী।
আরও পড়ুন: মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর ছবির স্বত্ব ব্যক্তির নয়, রাষ্ট্রের: হাইকোর্ট
আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ জানান, ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ নামের লঞ্চটিতে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে আগুনের ঘটনায় মৃত ব্যক্তিদের জন্য ৫০ লাখ এবং গুরুতর আহত ব্যক্তিদের ২০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। তাদেরকে কেন না ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে সেই মর্মে রুল জারির আর্জিও জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে অন্তবর্তী আদেশ প্রার্থনাও করা হয়েছে। নিহতদের পরিবারকে তাৎক্ষণিক ১০ লাখ টাকা এবং আহতদের চিকিৎসার জন্যে ৫ লাখ টাকা দিতে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চটিতে স্মরণকালের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় এ পর্যন্ত ৪১ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে, এবং এখনো নিখোঁজ রয়েছেন শতাধিক মানুষ। খবর পেয়ে বরিশাল, পিরোজপুর, বরগুনা ও ঝালকাঠির কোস্টগার্ড ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধারকাজ শুরু করেন। আগুনে দগ্ধ ৮১ জনের মধ্যে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ৪৬ জন। ২২ জনকে পাঠানো হয়েছে ঢাকায়। বাকি ১৬ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। তবে পুড়ে যাওয়া লঞ্চটিতে কতজন যাত্রী ছিল তার সঠিক তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না।
আরও পড়ুন: মাসুদ রানা সিরিজের ২৬০ বইয়ের স্বত্ব আনোয়ার হোসেনের নয়: হাইকোর্ট